১৪ মে, ১৯৭১
- বরিশালের
বাকাই গ্রামে পাকবাহিনীর সৈন্যরা প্রবেশ করলে গ্রামবাসীর সাথে তাদের তুমুল
সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে গ্রামবাসীর বল্লম ও রামদার আঘাতে চারজন পাকসেনা
নিহত হয়।
- কুমিল্লার ডাকাতিয়া নদীর পারে
পরিকোট নামক জায়গায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরক্ষা ব্যূহের ওপর নদীর পাড় থেকে
পাকসেনাবাহিনী গোলন্দাজ বাহিনীর সহায়তায় প্রচন্ড আক্রমণ চালায়। আক্রমণের
মুখে মুক্তিযোদ্ধারা টিকতে না পেরে ব্যূহ ত্যাগ করে পিছু হটে যায়।
- দুপুরে পাকবাহিনী গোলন্দাজ বাহিনীর সহায়তায় চৌদ্দগ্রাম আক্রমণ করে।
৪-৫ঘন্টা যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধারা চৌদ্দগ্রামের বিপরীতে ভারত সীমান্তের
রাঙ্গামুড়া এলাকায় আশ্রয় গ্রহণ করে।
- হেমায়েত উদ্দিনের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর একটি দল গোপালগঞ্জের
কোটালীপাড়া থানা আক্রমণ করে। এই অভিযানে ৫৪ জন পুলিশ আত্মসমর্পণ করে।
মুক্তিযোদ্ধারা হেমায়েতপুর গ্রামে আওয়ামী লীগ কর্মী লক্ষ্মীকান্ত বলের
অনুরোধে ঘাঁটি স্থাপন করে।
- লে. জেনারেল এ.এ.কেনিয়াজী অধিকৃত বাংলাদেশের সহকারী সামরিক শাসক নিযুক্ত হন।
- জাতিসংঘ পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আগা শাহী বাংলাদেশ পরিস্থিতি
সম্পর্কে সামাজিক কমিটিতে বলেন, পূর্ব পাকিস্তান প্রশ্নে কোনো আন্তর্জাতিক
বিরোধ নেই।
- পিডিপির সহ-সভাপতি মৌলভী ফরিদ আহমদ বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের সাম্প্রতিক
ঘটনাবলি ভারত ও অন্যান্য বিদেশী রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রের শেষ
পরিণতি।পাকিস্তানের সেনাবাহিনী খালিদ-বিন-ওয়ালিদের সত্যিকার বংশধর।
সেনাবাহিনী শুধু দেশকে নয়, পূর্ব পাকিস্তানিদের রক্ষা করার জন্য এগিয়ে
এসেছে। শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চ বাংলাদেশ ঘোষণার কর্মসূচি নিয়েছিলেন।
- খুলনা ও ময়মনসিংহে আলবদর বাহিনী দুজন মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে নিয়ে গিয়ে তাঁদের ওপর পৈশাচিক অত্যাচার চালায় এবং তাঁরা শহীদ হন ।
- কক্সবাজার মহকুমা ন্যাপের আহ্বায়ক মাহমুদুল হক চৌধুরী বলেন- ‘যে দল
পাকিস্তানের আদর্শ ও সংহতিতে বিশ্বাস করে না তার সাথে যুক্ত থাকা সমুচিত
নয়’ - এই বক্তব্য দিয়ে কক্সবাজার ভাসানী ন্যাপ-এর বিলুপ্তি ঘোষণা করেন ।
- সাবেক এমএনএ আবদুর রব এবং খান চৌধুরী ফজলে রবের নেতৃত্বে বরিশাল জেলা শান্তি কমিটি গঠিত হয়।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
Post a Comment Blogger Facebook
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.