মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩০ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ৩০ নভেম্বর, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>ডাউকি সাবসেক্টর ট্রুপস্ এবং ৩য় বেঙ্গল রেজিমেন্ট যৌথভাবে মেজর সাফায়াত জামিলের কমান্ডে রাধানগর পাক অবস্থানের ওপর আক্রমণ অব্যাহত রাখে। দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা ব্যাপী তীব্র যুদ্ধের পর রাধা নগর শত্রুমুক্ত হয়। সংঘর্ষে ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। কয়েকজন আহত হন। এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এখানে একজন পাঠান সুবেদারকে মুক্তিযোদ্ধারা জীবিত ধরে আনতে সক্ষম হয়। </li> </ul> <ul> <li>একই সময় মুক্তিবাহিনী ও সম্মিলিত মিত্রবাহিনী গোয়াইনঘাটের দিকে অগ্রসর হয় এবং গোয়াইনঘাট নিজেদের নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। </li> </ul> <ul> <li>টেংরাটিলা পাকহানাদার মুক্ত করার জন্য সেক্টর কমান্ডার মেজর শওকত স্বয়ং আক্রমণ পরিচালনার ভার গ্রহন করেন। সকাল ৭টায় মুক্তিবাহিনী প্রথম আক্রমণ করে। পাকবাহিনী প্রতিরক্ষা ব্যুহ খুবই দৃঢ় ছিল। চতুর্দিক থেকে প্রবল আক্রমণের ফলে পাকবাহিনী টিকতে না পেরে অবশেষে তাদের রেশন, গোলা-বারুদ ফেলে রেখে একটি পায়েচলা পথে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। </li> </ul> <ul> <li>৩নং সেক্টরের মুক্তিবাহিনীর সংঙ্গে আখাউড়াতে পাকবাহিনীর প্রচন্ড লড়াই চলছে। এস ফোর্স কম্যান্ডার লে. কর্নেল সফিউল্লাহ তাঁর ২য় ও একাদশ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টএবং সেক্টর ট্রুপস্-এর দুটি কোম্পানী নিয়োগ করেন। পরিকল্পনা হলো, একাদশ বেঙ্গল রেজিমেন্ট মেজর নাসিমের নেতৃত্বে সিলেট থেকে অগ্রসরমান পাকসেনাদের গতিপথ রুদ্ধ করবে। কম্ন্ডার মেজর নাসিম ইতিমধ্যে মুকুন্দপুর, হরশপুর ইত্যাদি এলাকা নিজ নিয়ন্ত্রণে আনেন। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তানী মুখপাত্র রাওয়ালপিন্ডিতে বলেন, আজ পূর্বাঞ্চলের সীমান্তবর্তী ১৮টি স্থানে ভারতীয়রা [মুক্তিবাহিনী] আক্রমণ পরিচালনা করে। রংপুর ও দিনাজপুরের পঞ্চগড়ে প্রবল চাপ সৃষ্টি করা হয়। পাকিস্তানী বাহিনী পঞ্চগড় ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। </li> </ul> <ul> <li>সামরিক কর্তৃপক্ষ ২২ জন বাঙ্গালি পুলিশ অফিসারকে ঢাকায় সামরিক আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। </li> </ul> <ul> <li>রাওয়ালপিন্ডিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জামায়াতের আমীর গোলাম আজম বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সদস্য এবং রাজাকাররা পাকিস্তানকে রক্ষার জন্য প্রাণ দিচ্ছে। আমরা এটা আমাদের কর্তব্য মনে করেই বিচ্ছিন্নতাবাদী ও রাষ্ট্রবিরোধী লোকদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা দান করছি। </li> </ul> <ul> <li>যুদ্ধ পরিস্থিতি রিপোর্ট - ৮নং সেক্টরঃ G-0665 Gono Bahini. En attacked own Gono Bahini dt-30/11/71 base Aburi QO 7743 on 280800 Nov. and firing continued upto 1700 hrs. Own cas 5 Pak tps and 32 Razakars dead. Own cas 1 Gono Bahini dead, 1 Gonobahini wounded. Captured 3 Razakar. Captured 1 Rifle. </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩০ নভেম্বর, ১৯৭১

৩০ নভেম্বর, ১৯৭১ ডাউকি সাবসেক্টর ট্রুপস্ এবং ৩য় বেঙ্গল রেজিমেন্ট যৌথভাবে মেজর সাফায়াত জামিলের কমান্ডে রাধানগর পাক অবস্থানের ওপর আক্রমণ অব্যাহত রাখে। দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা ব্যাপী তীব্র যুদ্ধের পর রাধা নগর …

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৯ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ২৯ নভেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>টেংরাটিলাতে ছিলো পাকিস্তানের একটা বড় ঘাঁটি। মুক্তিবাহিনী টেংরাটিলা আক্রমণ করার জন্য ৩য় বেঙ্গলের ক্যাপ্টেন মহসীন এবং ক্যাপ্টন আকবরের নেতৃত্বে টেংরাটিলার উদ্দেশে রওনা হয়। </li> </ul> <ul> <li>ডাউকি সাবসেক্টর ট্রুপস এবং ৩য় বেঙ্গল রেজিমেন্ট যৌথভাবে মেজর সাফায়াত জামিলের কম্যান্ডে রাধানগর আক্রমণ করে। দীর্ঘ কয়েকঘন্টা ধরে এখানে তীব্র যুদ্ধ চলে। </li> </ul> <ul> <li>সারাদিন যশোরের সীমান্ত ফাঁড়িতে মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের পর রাতে পাকিস্তানীরা তাদের ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে কমলপুর ফাঁড়ি ত্যাগ করে। </li> </ul> <ul> <li>ঢাকায় ইস্টার্ণ কমান্ডের কমান্ডার লে. জেনারেল এ.এ.কে. নিয়াজী বিদেশী সাংবাদিকদের কাছে বলেন, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। এ অঘোষিত যুদ্ধে কেবল মুক্তিবাহিনী নয়, ভারতীয় সেনাবাহিনীও শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। </li> </ul> <ul> <li>জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে পাঠানো এক পত্রে পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট পূর্বাঞ্জলের সীমান্ত এলাকায় জাতিসংঘ পযবেক্ষক মোতায়েনের আবেদন জানান। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী গাইবান্ধা মহকুমার কালির বাজারে পাক অবস্থানের ওপর অতর্কিত আক্রমণে ৬ জন পাকপুলিশ এবং রাজাকারকে গ্রেফতার করে। এই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনী শত্রুপক্ষের ৯টি রাইফেল এবং ৪শত গুলি হস্তগত করে। এখানে মুক্তিবাহিনীর একজন সদস্য শহীদ হন। </li> </ul> <ul> <li>কুড়িগ্রামের মোগলপুর অঞ্চলে মুক্তিবাহিনী রাজাকারের ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়ে পাঁচটি রাইফেল ও দুইশত গুলি অধিকার করে। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কর্নেল ওসমানী মুজিবনগরে বলেন- আমার ছেলেরা এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। মাত্র কয়েক মাসেই তাঁরা পৃথিবীর যে কোন সুশিক্ষিত সেনাবাহিনীর সাথে পাল্টা দেবার মতো দুর্ধর্ষ হয়ে উঠেছে। আর দেরী নয়, এখনই চরম আঘাত হানতে হবে। </li> </ul> <ul> <li>যশোরের মুন্সিগঞ্জের বড়খালীতে মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের ওপর পাকবাহিনী আক্রমণ করলে মুক্তিবাহিনী তা প্রতিহত করে। মুক্তিবাহিনী এখানে একটি সেতু ধ্বংশ করে দিয়ে পাকবাহিনীর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এই যুদ্ধে ১২ জন পাকহানাদার নিহত হয়। মুক্তিবাহিনীর ২ জন সদস্য শহীদ হন। </li> </ul> <ul> <li>যুদ্ধ পরিস্থিতি রিপোর্ট - ৮ নং সেক্টরের দলিল পত্র থেকেঃ G-0656 dt- 29/11/71 Own tps laid ambush at Moheskundi on en ptl 6364 M/S 789/16 on 271400 Nov. En cas 4 dead. Own cas nil.</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৯ নভেম্বর, ১৯৭১

২৯ নভেম্বর, ১৯৭১ টেংরাটিলাতে ছিলো পাকিস্তানের একটা বড় ঘাঁটি। মুক্তিবাহিনী টেংরাটিলা আক্রমণ করার জন্য ৩য় বেঙ্গলের ক্যাপ্টেন মহসীন এবং ক্যাপ্টন আকবরের নেতৃত্বে টেংরাটিলার উদ্দেশে রওনা হয়। ডাউকি সাবসেক…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৮ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ২৮ নভেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট নিকোলাই পদগর্নি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার কাছে পাঠানো এক পত্রে বাংলাদেশের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে নিঃশর্ত মুক্তিদানের পরামর্শ দেন। </li> </ul> <ul> <li>মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন পাক-ভারত পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়ানোর জন্য ক্ষমতা অনুযায়ী সবকিছু করার অনুরোধ জানিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ও সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি কোসিগিনের কাছে চিঠি পাঠান। </li> </ul> <ul> <li>ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী রাজস্থানের জয়পুরে এক জনসভায় বলেন, ভারত পূর্ববঙ্গের জনগণের মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রশ্নে পাকিস্তানের সাথে বিরোধের ব্যাপারে জাতিসংঘ অথবা বৃহৎ শক্তিবর্গের চাপের মুখে নতি স্বীকার করবে না। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনীর গেরিলারা আড়িখোলা ও পূবাইলের মধ্যবর্তী রেলসেতু বিস্ফোরক লাগিয়ে উড়িয়ে দিলে ঢাকা-নরসিংদী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। </li> </ul> <ul> <li>ক্যাপ্টেন মুসলিম তাঁর বাহিনী নিয়ে ১২দিন ধরে পাকঘাঁটি তাহেরপুর অবরোধ করে রেখেছিলেন। দীর্ঘদিনের অবরোধে পাকসেনারা মনোবল একেবারে হারিয়ে ফেলে। এমতাবস্থায় ক্যাপ্টেন মুসলিম একটি কোম্পানী নিয়ে ভোর ৫টায় তাহেরপুর আক্রমণ করেন। সকাল ৬টার মধ্যে তাহেরপুর শত্রুমুক্ত হয়। পাকসেনারা চরম ক্ষতি স্বীকার করে এখান থেকে পালিয়ে যায়। এই যুদ্ধে ৩ জন পাকসৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>যৌথ বাহিনীর প্রবল আক্রমণের ফলে পাকবাহিনী হিলি থেকে জয়পুরহাটের দিকে অবস্থান নিলে যৌথ বাহিনী সেখানেও আক্রমণ পরিচালনা করে। এই যুদ্ধে জয়পুরহাট পুরোপুরি শত্রুমুক্ত হয়। যুদ্ধে পাকবাহিনিীর চারটি ট্যাংক ধ্বংস হয়। ৪৫০ জন পাকসৈন্য এই যুদ্ধে প্রাণ হারায়। রাতে মুক্তিবাহিনী আক্রমণ চালেয়ে গৌরিনগরের একটি এলাকা দখল করে নেয়। এই যুদ্ধে ১২ জন পাকসৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>নোয়াখালীতে মুক্তিবাহিনী তাঁদের অবস্থান সুদৃঢ় করে একযোগে ফেনীত পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফেনী এলাকার দখল নিয়ে তুমুল যুদ্ধ চলছিল। </li> </ul> <ul> <li>দিনাজপুরে মুক্তিবাহিনী অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে পঞ্চগড় থেকে দক্ষিণে পুতুলিয়া পযন্ত অগ্রসর হয়। </li> </ul> <ul> <li>করাচীতে নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কোয়ালিশন পার্টির সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার স্বার্থে ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণার জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানানো হয়। </li> </ul> <ul> <li>সম্মিলিত বাহিনী নাগেশ্বরী ও বেপারীহাট মুক্ত করে। বেপারীহাট যুদ্ধে সিপাহী এম. এফ. আলী আকবর এবং সিপাহী এম. এফ. আবুল হোসেন শহীদ হন। এর পরপরই ধরলা নদীর উত্তর তীরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল হানাদারমুক্ত হয়। </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৮ নভেম্বর, ১৯৭১

২৮ নভেম্বর, ১৯৭১ সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট নিকোলাই পদগর্নি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার কাছে পাঠানো এক পত্রে বাংলাদেশের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে নিঃশর্ত মুক্তিদানের পরামর্শ দেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৭ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div> <br /> <br /> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;"></span>২৭ নভেম্বর, ১৯৭১<br /> <span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;"></span><span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;"></span><span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;"></span><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তানি বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি হিলি শত্রুমুক্ত করার জন্য মুক্তিবাহিনী ও যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে হিলির তিন দিক থেকে আক্রমণ করা হয়। হিলির পতন হলে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে উত্তর বাংলা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে আশঙ্কায় পাকিস্তানি সেনারা মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তারা এখানে দূরপাল্লার ভারী কামান ও ট্যাংক ব্যবহার করে মুক্তিবাহিনীর অগ্রগতি ঠেকাতে পারেনি। হানাদাররা বেশ কয়েকটি ট্যাংক হারাতে বাধ্য হয়। এ যুদ্ধে ৮০ জন পাকিস্তানি হানাদার খতম হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: left;"> <li><span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;"> রাজশাহীর নবাবগঞ্জ থেকে তিন মাইল দূরে ইসলামপুর ও চাটুইডুবিতে পাকিস্তানি বাহিনীর অবস্থানের ওপর মুক্তিবাহিনী মর্টার ও মেশিনগান নিয়ে প্রবল আক্রমণ চালায়। হানাদার বাহিনী এই যুদ্ধে ভারী মেশিনগান, ৮১ এমএম মর্টারের গোলা এবং ২৫ পাউন্ড ওজনের কামানের গোলা ব্যবহার করে। এ যুদ্ধে ১২৫ জন পাকিস্তানি সেনা ও ২৫০ জন রাজাকার নিহত হয়। মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীর ১৫টি বাংকার ধ্বংস করে দেয়। এ যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর নায়েক কাসেম মোহর আলী প্রবল বিক্রমের পরিচয় দেন।</span></li> </ul> </div> <div> <ul style="text-align: left;"> <li><span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;"> মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল রাজশাহীতে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ আক্রমণ করে রাজশাহীর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার শারদার টেলিযোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেয়।</span></li> </ul> <ul style="text-align: left;"> <li><span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;"> যশোরের মুন্সীগঞ্জে মুক্তিবাহিনী রাজাকার ঘাঁটিতে আক্রমণ করে চার রাজাকারকে ধরতে সক্ষম হয়। এখানে রাজাকারদের কাছ থেকে চারটি রাইফেল উদ্ধার করা হয়।</span></li> </ul> <ul style="text-align: left;"> <li><span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;"> জামায়াত নেতা গোলাম আযম রাওয়ালপিন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আক্রমণই হলো প্রতিরক্ষার বড় অস্ত্র। যুদ্ধের সময় প্রত্যাঘাত না করে কোনো জাতি টিকে আছে এমন নজির ইতিহাসে নেই।</span></li> </ul> <span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;"> সূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</span></div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৭ নভেম্বর, ১৯৭১

২৭ নভেম্বর, ১৯৭১ পাকিস্তানি বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি হিলি শত্রুমুক্ত করার জন্য মুক্তিবাহিনী ও যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে হিলির তিন দিক থেকে আক্রমণ করা হয়। হিলির পতন হলে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে উত্তর বাংলা বিচ্ছ…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৬ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ২৬ নভেম্বর, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>শিলিগুড়ি থেকে প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে যে, মুক্তিবাহিনী রংপুর ও দিনাজপুরের প্রায় সাড়ে চারশ বর্গমাইল এলাকা মুক্ত করেছে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুষ্টিয়ার দর্শনা রেলস্টেশন এলাকায় প্রচন্ড লড়াই চলছে। এদিকে দিনাজপুর জেলার পচাগড় এবং খুলনা জেলার বসন্তপুরের পতন ঘটেছে মুক্তিবাহিনীর হাতে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঝিনাইদহ পাঁচমাথার মোড়ে (ফাইভ পয়েন্ট ক্রসিং) মুক্তিবাহিনী আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করায় যশোর ক্যান্টনমেন্টের সঙ্গে পাকফৌজের যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন বিচ্ছিন্ন। মুক্তিবাহিনী পাঁচমাথার মোড়ে কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা রাস্তায় বিরাট ব্যারিকেড গড়ে তোলায় ঝিনাইদহ থেকে পাকসৈন্যরা যশোরের দিকে যেতে পারছে না। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঈশ্বরদীর টেলিফোন একচেঞ্জ মুক্তিযোদ্ধারা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। থানা আক্রমণ করে অনেক অস্ত্রশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা দখল করেছে। রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত করায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>রংপুরে মুক্তিবাহিনীর দুর্নিবার গতির সামনে পাক হানাদাররা বেসামাল হয়ে পড়েছে। হানাদারদের ঘাঁটি পারুলিয়া ধ্বংস করে মুক্তিফৌজ হাতিবান্ধা থানাটি সম্পূর্ণভাবে দখল করে নিয়েছে। রংপুরের রৌমারী, পাটগ্রাম, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও আরো অনেক মুক্ত এলাকায় বাংলাদেশের পতাকা উড়ছে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কিশোরগঞ্জের প্যারাভাঙ্গা নামক স্থানে হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে ৮ জন পাকসেনাকে খতম করে শেষ পযন্ত সহযোদ্ধাদের বাঁচাতে গিয়ে এইদিন শহীদ হন খায়রুল জাহান। মুক্তিযুদ্ধকালে গেরিলা ট্রেনিং নিয়ে তিনি ভারতের আগরতলায় মেজর হায়দারের অধীনে প্রথমে ২নং সেক্টর ও পরে মেজর শফিউল্লাহর অধীনে ৩নং সেক্টরে গ্রুপ কমান্ডার হিসেবে যোগ দেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানি এক সামরিক আদেশে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সকল কমিটি, উপ-কমিটি নিষিদ্ধ করে পার্টির নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।</li> </ul> <div style="text-align: justify;"> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৬ নভেম্বর, ১৯৭১

২৬ নভেম্বর, ১৯৭১ শিলিগুড়ি থেকে প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে যে, মুক্তিবাহিনী রংপুর ও দিনাজপুরের প্রায় সাড়ে চারশ বর্গমাইল এলাকা মুক্ত করেছে। কুষ্টিয়ার দর্শনা রেলস্টেশন এলাকায় প্রচন্ড লড়াই চলছে। এদিকে দিন…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৫ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ২৫ নভেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>মরণপণ লড়াই করে মুক্তিবাহিনী ফুলগাজি, আনন্দপুর আর চাঁদগাছি বাজার থেকে পাকিস্তানিদের হটিয়ে দিয়েছে। শুধু তিনমাইল দূরের পথ ‘ফেনী’ এলাকার দখল নেওয়া বাকি। এছাড়া পরশুরাম থানা এলাকায় মুক্তিবাহিনীর পূর্ণ কতৃত্ব রয়েছে। </li> </ul> <ul> <li>আনন্দবাজার পত্রিকার রিপোর্ট :  </li> </ul> <blockquote class="tr_bq"> মুক্তিবাহিনীর সূত্রে ঘোষণা করা হয় যে সাতক্ষীরা মহকুমার প্রতিটি থানা মুক্ত হয়েছে। মুক্তিবাহিনী এখন খুলনার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।</blockquote> <blockquote class="tr_bq"> এদিকে পাকসেনা ও মুক্তিবাহিনীর মধ্যে মেহেরপুর শহর দখল নিয়ে জোড় লড়াই চলছে। দিনাজপুর শহরের আমবাগান ছেড়ে পাবাহিনী সৈয়দপুরের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে।</blockquote> <blockquote class="tr_bq"> সন্ধ্যায় মুক্তিবাহিনী যশোরের ঝিকরগাছা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানি সৈন্যদের তাড়িয়ে দিয়ে তাদের ঘাঁটিগুলি দখল করেছে। এখন ঝিকরগাছার সব জায়গায় বাংরাদেশের পতাকা উড়ছে। শত্রু পালিয়ে যাবার সময় বহু অস্ত্রশস্ত্র ফেলে গিয়েছে। উল্লেখ্য, ঝিকরগাছা গত ৮ এপ্রিল মুক্তিবাহিনীর হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিলো।</blockquote> <blockquote class="tr_bq"> প্রচন্ড যুদ্ধ চলার পর রংপুর এবং দিনাজপুর জেলার প্রায় ৪৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা মুক্তিবাহিনী দখল করে য়েছে। এদিকে রাঙ্গামাটিতে লড়াই চলছে। পাকসেনা-মুক্তিযোদ্ধা মুখোমুখি। সেখানে ১৩ জন রাজাকার রাইফেল ও গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করেছে।</blockquote> <blockquote class="tr_bq"> লাহোরে পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর গোলাম আজম এক বক্তৃতায় ভারতের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করার আহবান জানিয়ে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি পূর্ব পাকিস্তানের অস্তিত্বের প্রতি একটি ভয়ানক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। </blockquote> </div> <div> তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৫ নভেম্বর, ১৯৭১

২৫ নভেম্বর, ১৯৭১ মরণপণ লড়াই করে মুক্তিবাহিনী ফুলগাজি, আনন্দপুর আর চাঁদগাছি বাজার থেকে পাকিস্তানিদের হটিয়ে দিয়েছে। শুধু তিনমাইল দূরের পথ ‘ফেনী’ এলাকার দখল নেওয়া বাকি। এছাড়া পরশুরাম থানা এলাকায় মুক্তিব…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৪ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ২৪ নভেম্বর, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>চারদিনে সর্বমোট ৪৫ ঘন্টা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর অবশেষে চৌগাছা পাক হানাদার মুক্ত হয়। চৌগাছার যুদ্ধে ক্যাপ্টেন হুদা এবং এম.এ. মঞ্জুর ও অন্যান্য অফিসার নেতৃত্ব দেন। </li> </ul> <ul> <li>বিবিসি-র বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা বলেছে, আজ চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর মুক্তিবাহিনীর বিমান থেকে বোমা বর্ষণ করা হয়েছে। উপরন্তু একটি গান বোট, দুইটি তৈলবাহী জাহাজ,৪টি খাদ্যবাহী জলযান বাংলাদেশ নৌ-কমান্ডোরা ডুবিয়ে দিয়েছে। </li> </ul> <ul> <li>ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী পার্লামেন্টে বলেন, ভারত সরকার জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করবে না। তিনি পাকিস্তানের সাথে ভারতের অঘোষিত যুদ্ধ সম্পর্কিত পাকিস্তানের অভিযোগকে সম্পূর্ণ বানোয়াট বলে অভিহিত করেন। </li> </ul> <ul> <li>রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, উপমহাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিকীকরণে পাকিস্তান যে, কোনো বৃহৎ শক্তির উদ্যোগকে স্বাগত জানাবে। উপমহাদেশের বর্তমান সংকট নিরসনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অথবা সোভিয়েত ইউনিয়ন যদি কোনো দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগ গ্রহণ করে, তাহলে তাকে স্বাগত জানানো হবে। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সকল অফিসার ও জোয়ানকে অবসরকালীন ছুটি বাতিল করে কর্মস্থলে রিপোর্ট করতে নির্দেশ দেয়া হয়। এই দিন কোনো রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ঢাকায় সান্ধ্য আইন জারি করা হয়। </li> </ul> <ul> <li>যুদ্ধ সম্পর্কিত রিপোর্ট </li> </ul> <blockquote class="tr_bq"> On night 22/23 Nov. Ganobahini blown off 2 bridges in Between Satkhira and Mohammadpur. On night 21/22 Nov. Ganobahini attacked one en Jeep on road Satkhira Jessore. En cas 3 dead incl one Capt.</blockquote> </div> <div> তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৪ নভেম্বর, ১৯৭১

২৪ নভেম্বর, ১৯৭১ চারদিনে সর্বমোট ৪৫ ঘন্টা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর অবশেষে চৌগাছা পাক হানাদার মুক্ত হয়। চৌগাছার যুদ্ধে ক্যাপ্টেন হুদা এবং এম.এ. মঞ্জুর ও অন্যান্য অফিসার নেতৃত্ব দেন। বিবিসি-র বরাত দিয়ে আ…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৩ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ২৩ নভেম্বর, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পাকবাহিনী বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে ইয়াহিয়া খান জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। ইয়াহিয়া খান বলেন, পাকিস্তান বৈদেশিক আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছে এবং দেশে মারাত্মক জরুরি অবস্থা বিরাজ করছে। </li> </ul> <ul> <li>পাকবাহিনীর তীব্র আক্রমণে চন্দ্রপুর (কসবা) মুক্তিযোদ্ধাদের হাতছাড়া হয়। এই যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের লাশ এবং আহত মুক্তিযোদ্ধাদের আনার জন্য মেজর আইনউদ্দিন বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে পাঠান। কিন্তু তাদের মধ্য থেকেও কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা পাক সেনাদের আক্রমণে শহীদ হন। এই যুদ্ধে ভারতীয় গান পজিশনে ৬জন সৈন্য শহীদ হন। </li> </ul> <ul> <li>মন্দভাগ অবস্থান পুনর্দখল করার জন্য পাকবাহিনী একত্র হলে মুক্তিবাহিনী সুযোগ বুঝে পাক অবস্থানের ওপর আক্রমণ পরিচালনা করে। এতে পাকবাহিনীর অনেক সৈন্য হতাহত হয়। পরে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। মন্দভাগ পুনর্দখল করতে অসমর্থ হয়ে পাকবাহিনী সালদা নদীর কাছে মনোরা রেল সেতুর নিকটবর্তী মুক্তিবাহিনী অবস্থানের ওপর হামলা চালায়। ১০৬ আর. আর গোলন্দাজ বাহিনীর সহায়তায় পাকসেনারা মুক্তিবাহিনীর একটি বাঙ্কার ধ্বংস করতে সক্ষম হয়। মুক্তিবাহিনী সমস্ত শক্তি দিয়ে পাকবাহিনীকে প্রতিরোধ করলে শেষ পর্যন্ত শত্রুবাহিনী পর্যুদস্ত হয়ে বুড়িচং এবং কুর্মিটলার দিকে সরে যায়। যুদ্ধে কয়েকজন পাকসেনা নিহত হয়। মুক্তিবাহিনীর একজন শহীদ এবং ৪ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>খুলনার শ্রীরামপুরে মুক্তিবাহিনী পাকসৈন্যদের অবস্থানের ওপর মর্টার আক্রমণ চালিয়ে ৬জন শত্রুসেনা ও রাজাকারকে হত্যা করে। </li> </ul> <ul> <li>কেন্দ্রীয় জামাত নেতা মাওলানা আবদুর রহিম, অধ্যাপক গোলাম আজম, এ.কে.এম. উইসুফ ও আবদুল খালেক সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য পাকিস্তানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। </li> </ul> <ul> <li>গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ জাতির উদ্দেশে এক বেতার ভাষণ দেন। ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত আড়াই মাস পূর্বে আপনাদের কাছে মুক্তি সংগ্রামের পর্যালোচনা করেছিলাম। গত আড়াই মাসে আমাদের সাফল্য এসেছে নানা দিক থেকে। তিনি বলেন, অশ্রু ও রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতার জন্য আমরা লড়ছি সে স্বাধীনতা লাভের দিনটি নিকটতর হয়েছে। তিনি জনগণের কাছে আহবান জানিয়ে বলেন, মুক্তি সংগ্রামের বর্তমান পর্যায়কে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে চলুন। </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৩ নভেম্বর, ১৯৭১

২৩ নভেম্বর, ১৯৭১ সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পাকবাহিনী বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে ইয়াহিয়া খান জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। ইয়াহিয়া খান বলেন, পাকিস্তান বৈদেশিক আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছে এবং …

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২২ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ২২ নভেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>পাকবাহিনী ২১ তারিখের চৌগাছা যুদ্ধে সুবিধা করতে না পেরে গরীবপুর এবং জগন্নাথপুরে প্রতিরক্ষা ব্যুহ তৈরি করেছিল। যৌথবাহিনী পাক প্রতিরক্ষার ওপর প্রচন্ড আক্রমণ করে। পাকবাহিনী এই যুদ্ধে বিমান বাহিনীর সাহায্য নিয়েছিল। মিত্রবাহিনীও বিমান ব্যবহার করে। যুদ্ধে পাকবাহিনীর ৩ খানা স্যাবার জেট ধ্বংস হয়। এছাড়াও পাকবাহিনী এই যুদ্ধে ১৩টি ট্যাঙ্ক এবং বেশ কিছু সৈন্য হারাতে বাধ্য হয়। </li> </ul> <ul> <li>ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী নয়াদিল্লিতে বলেন, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ভারতের সাথে সৎ প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক বজায় রাখার যে আহবান জানিয়েছেন তা যদি আন্তরিকতার সাথে করে থাকেন, তা হলে ভারত একে স্বাগত জানাবে। তিনি আরো বলেন,প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া যদি এ ব্যাপারে হন, তবে তাঁর উচিত বাংলাদেশের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দেয়া। </li> </ul> <ul> <li>যুদ্ধ পরিস্থিতি রিপোর্টঃ বানপুর সাব সেক্টর </li> </ul> <blockquote class="tr_bq"> GB ptl fire on en pons Krishanapur Ghat 6400 M/S 79/A14 on 171130 Nov. En cas 5 dead. Own cas nil. Ptl fire on en ptl at Dhamghar 5766 M/S 79A/10 on 191500 Nov. En cas 1 Pak army and 2 Razakars dead.Own cas nil. </blockquote> <ul> <li>কসবা থেকে ৩ মাইল উত্তরে চন্দ্রপুর পাক ঘাঁটিতে যৌথ বাহিনী আক্রমণ পরিচালনা করে। এই যুদ্ধে যৌথ বাহিনীর ক্ষতি হয় বেশি। ভারতীয় বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডরি শিখ মেজর এবং তিনজন জুনিয়ার কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারসহ সর্বমোট ৪৫ জন সেনা যুদ্ধে শহীদ হন এবং মুক্তিবাহিনী শহীদ হন ২২ জন। আহত হন ৩৪ জন সৈন্য। মুক্তিবাহিনীর লে. খন্দকার আবদুল আজিজ এই যুদ্ধে শহীদ হন। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী নোয়াখালীর দুর্গাপুর এলাকায় পাক অবস্থানের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ করে ৭ জন পাক হানাদারকে হত্যা করে এবং ১০ জনকে আহত করে। </li> </ul> <ul> <li>পাক বাহিনীর একটি জিপ যশোর থেকে সাতক্ষীরায় আসার সময় মুক্তিবাহিনী কর্তৃক আক্রান্ত হয়। এই আক্রমণে ১ জন পাক ক্যাপ্টেনসহ ৩ জন শত্রু সৈন্য নিহত হয়। জিপটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২২ নভেম্বর, ১৯৭১

২২ নভেম্বর, ১৯৭১ পাকবাহিনী ২১ তারিখের চৌগাছা যুদ্ধে সুবিধা করতে না পেরে গরীবপুর এবং জগন্নাথপুরে প্রতিরক্ষা ব্যুহ তৈরি করেছিল। যৌথবাহিনী পাক প্রতিরক্ষার ওপর প্রচন্ড আক্রমণ করে। পাকবাহিনী এই যুদ্ধে বিম…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২১ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ২১ নভেম্বর, ১৯৭১<br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>টাইমস সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য পশ্চিমা নেতৃবৃন্দের কাছে এই মর্মে চরমপত্র দিয়েছেন দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ সমস্যার সমাধান না হলে ভারত সরকার জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করবেন, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেবেন, বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি করবেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকাশ্যে সমর্থন দেবেন। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কাছে প্রেরিত এক জরুরি পত্রে অবিলম্বে বাংলাদেশ সঙ্কট সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>যুদ্ধ সংক্রান্ত গোপন রিপোর্ট: </li> </ul> <div style="text-align: justify;"> <blockquote class="tr_bq"> 21.11.71 D Coy Boyra </blockquote> <blockquote class="tr_bq"> 1. About 200 Pak tps conc Amjhupi 5328 M/S. 79A/10 Daradi 5825M/S 79A/10 from Meherpur.G.1: A-1 </blockquote> <blockquote class="tr_bq"> 2. 30 Razakars with one N/Sub seen Meherpur Power House 4932 M/S. 79A/9 about 80 Pak tps vocational Institute 4831 and graveyard 4830 M/S. 79A/9 4 jeeps and 4 X 3 toner also seen in that area.G.1: A</blockquote> </div> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী কুমিল্লার নতুন বাজারে রাজাকারের ঘাঁটিতে আক্রমণ করে ১৩ জন রাজাকারকে বন্দী করে। মুক্তিবাহিনী রাজাকারদের কাছ থেকে ১৩টি রাইফেল এবং প্রচুর গোলাবারুদ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেটের শ্রীঘাট গোয়াইনঘাট সড়কে মুক্তিবাহিনীর পেতে রাখা মাইনের বিস্ফোরণে পাকবাহিনীর একটি জীপ ধ্বংস হয়। এতে ঐ জীপের ১ জন মেজরসহ আরো ৫ জন শত্রু সৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুরে মুক্তিবাহিনীর সাথে পাক হানাদারবাহিনীর এক সম্মুখ যুদ্ধে ৭ জন পাক সেনা নিহত হয়। ঐ যুদ্ধে মুক্তিবাহিনী মর্টার ব্যবহার করে। মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর কাছ থেকে ১১০০ এ্যামুনিশন ও ১টি চীনা রাইফেল উদ্ধার করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>যশোরের চৌগাছায় মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী যৌথভাবে পাকবাহিনীর ওপর আক্রমণ করে। উভয় পক্ষ এই যুদ্ধে ট্যাঙ্ক এবং ভারী কামান ব্যবহার করে। যৌথ বাহিনীর প্রচন্ড আক্রমণে পাকবাহিনী পিছু হঠতে বাধ্য হয়। যুদ্ধে পাকবাহিনীর ছয়টি ট্যাঙ্ক ধ্বংস হয়। ১৪টি চীনা স্যাফি ট্যাঙ্ক নিয়ে প্রায় ৫০০ পাকসৈন্য যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল।</li> </ul> <div style="text-align: left;"> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২১ নভেম্বর, ১৯৭১

২১ নভেম্বর, ১৯৭১ টাইমস সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য পশ্চিমা নেতৃবৃন্দের কাছে এই মর্মে চরমপত্র দিয়েছেন দুই সপ্তাহের মধ্যে…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২০ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> ২০ নভেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>ভারতীয় পার্লামেন্টে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বলেন, ভারত আশা করে জাতিসংঘ মহাসচিব পূর্ববঙ্গে গৃহযুদ্ধের অবসানে আত্মনিয়োগ করবেন। তিনি বলেন, পূর্ববঙ্গের সাড়ে সাত কোটি মানুষের ভাগ্য ও অধিকার প্রতিষ্ঠার সমস্যাকে ধামাচাপা দিয়ে এটিকে পাক-ভারত বিরোধে রূপান্তরিত করলে তা শুধু সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলবে। তিনি বলেন, আমি মহাসচিবকে এই নিশ্চয়তা দিতে চাই পাকিস্তান আক্রমণ করার অথবা পাকিস্তানের সাথে সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার কোনো ইচ্ছেই আমাদের নেই। </li> </ul> <ul> <li>টেংরাটিলা আক্রমণের পূর্বে সেক্টর কম্যান্ডার মেজর শওকত তাঁর বাঁশতলা সেক্টর হেড কোয়ার্টারে এক সভা আহবান করেন। সভায় টেংরাটিলা আক্রমণের বিষয় নিয়ে মেজর শওকত বিস্তারিত আলোচনা করেন। ঐ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্যাপ্টেন মহসীন, ক্যাপ্টেন আকবর, ক্যাপ্টেন হেলাল, লেঃ মাহবুবার রহমান এবং কয়েকজন এফ.এফ. লিডার। </li> </ul> <ul> <li>কালীগঞ্জে মুক্তিবাহিনীর সাথে পাকবাহিনীর সংঘর্ষ হয়। কালীগঞ্জের ওয়াপদা কলোনীতে পাকসেনাদের একটি কোম্পানী অবস্থান করছিল। তাদের সাথে বেশ কিছু রাজাকারও ছিল। এই যুদ্ধে মিত্রবাহিনীর ৩য় রাজপুত ব্যাটালিয়ন হিঙ্গলগঞ্জ থেকে মুক্তিবাহিনীকে আর্টিলারী সাপোর্ট দেয়। দুঘন্টা স্থায়ী যুদ্ধে পাকবাহিনীর কোন ক্ষতি না হলেও ৪০ জন পাকসৈন্য মুক্তিবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনীর তীব্র আক্রমণে পাকবাহিনী নৌকুচি থেকে আহমদনগরে যে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল তা বিপযস্ত হয়ে পড়ে। পাকবাহিনী এখান থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়। </li> </ul> <ul> <li>সাহেবগঞ্জ সাবসেক্টর বাহিনী মেজর নওয়াজেশ উদ্দিন-এর কমান্ডের অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। প্রচন্ড সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে রায়গঞ্জ মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এলেও তরুণ মুক্তিযোদ্ধা লে. আশফাকুস সামাদ যুদ্ধে শহীদ হন। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার তাকে মরণোত্তর বীর উত্তম উপাধি প্রদান করেন। উল্লেখ্য ঐ যুদ্ধে ২০ জন পাকসৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী কিশোরগঞ্জের গচিহাটায় সদ্য- নির্মিত রেলওয়ে ব্রীজ ধ্বংস করে দেয়। এর অব্যবহিত পরেই কিশোরগঞ্জে পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। ফলে কিশোরগঞ্জ শহর জনমানব শূন্য হয়ে পড়ে।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২০ নভেম্বর, ১৯৭১

২০ নভেম্বর, ১৯৭১ ভারতীয় পার্লামেন্টে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বলেন, ভারত আশা করে জাতিসংঘ মহাসচিব পূর্ববঙ্গে গৃহযুদ্ধের অবসানে আত্মনিয়োগ করবেন। তিনি বলেন, পূর্ববঙ্গের সাড়ে সাত কোটি মানুষের ভাগ্য ও অধিকা…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৯ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ১৯ নভেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>পাটগ্রাম সাবসেক্টর কম্যান্ডার ক্যাপ্টেন মতিউর রহমানের নির্দেশে সাবসেক্টর ট্রুপস্ পাকিস্তানিদের সুদৃঢ় ঘাঁটি বড়খাতা আক্রমণ করে। মুক্তিবাহিনীর তীব্র আক্রমণের মুখে তারা ডিফেন্স ছেড়ে হাতিবান্ধা নামক স্থানে পুনরায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলে। </li> </ul> <ul> <li>বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ দেশবাসীর প্রতি ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সে দিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন আমরা স্বাধীন বাংলাদেশে সবাই একসাথে ঈদ উদযাপন করবো। </li> </ul> <ul> <li>ভালুকা রাজাকার ঘাঁটি হতে একজন রাজাকার (আবদুল হাকিম) রাইফেলসহ পালিয়ে গিয়ে মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী কুমিল্লার রাজনগরে পাক ও রাজাকারের এক যৌথ বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালিয়ে ২ জন পাকসৈন্যকে নিহত করে। মুক্তিবাহিনী এখান থেকে ৫ জন রাজাকারকে রাইফেলসহ ধরে ফেলে। </li> </ul> <ul> <li>ময়মনসিংহে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর একটি জিপের ওপর আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর জিপটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। ৩ জন পাকসৈন্য এই আক্রমণে নিহত হয়। মুক্তিবাহিনী ৩টি রাইফেলসহ জিপটি তাদের দখলে আনে। </li> </ul> <ul> <li>যুদ্ধ পরিস্থিতি রিপোর্ট: বানপুর সাব সেক্টর </li> </ul> <blockquote class="tr_bq"> 19.11.71 GB ptl fired on en ptl Khamarpur 3207 M/S 79E/6 on 161600 Nov. En cas 5 pak tps and 4 Razakars dead. K-133 GB Kh. Jahangir  Arrested and brought to camp on 180600 Nov. who surrendered to pak army with arms. </blockquote> </div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৯ নভেম্বর, ১৯৭১

১৯ নভেম্বর, ১৯৭১ পাটগ্রাম সাবসেক্টর কম্যান্ডার ক্যাপ্টেন মতিউর রহমানের নির্দেশে সাবসেক্টর ট্রুপস্ পাকিস্তানিদের সুদৃঢ় ঘাঁটি বড়খাতা আক্রমণ করে। মুক্তিবাহিনীর তীব্র আক্রমণের মুখে তারা ডিফেন্স ছেড়ে হাতি…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৮ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ১৮ নভেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>সংবাদপত্র দেশবাংলা ১ম বর্ষ, ৪র্থ সংখ্যা : দেশবাংলা পত্রিকার শিবির প্রতিনিধির রিপোর্টে বলা হয়:  </li> </ul> <blockquote class="tr_bq"> ভারত সরকার বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থীদের কতিপয় খাদ্য দ্রব্যাদির প্রয়োজন মেটাবার জন্য “ইউরোপীয় কমন মার্কেটের” নিকট আবেদন জানিয়েছে। এছাড়াও এ-যাবৎকাল বিভিন্ন সূত্রে যে পরিমাণ সাহায্য প্রতিশ্রুতি হয়েছে তা হিসেবে ধরার পর আরো ৩১১,০০০ টন চাল, ১৭৫,০০০ টন গম, ৫০,০০০ টন চিনি, ১৮৭,০০০ টন ডাল, ৪০,০০০টন লবণ, ৮,৩০০টন গুঁড়োদুধ এবং ৪,৩৪,০০০ খানা কম্বল ই.সি.এম-এর কাছে সাহায্য হিসেবে চাওয়া হয়।</blockquote> <blockquote class="tr_bq"> প্রধান সামরিক আইন প্রশাসন জেনারেল ইয়াহিয়া খান ফিলিপাইনস্থ পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত কে.কে. পন্নী, নয়াদিল্লীতেপাকিস্তানের কাউন্সিলর হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ও কাঠমুন্ডুতে সেকেন্ড সেক্রেটারি এ.এম.মুস্তাফিজুর রহমানকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন। কুটনীতিকবৃন্দ বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য ঘোষনা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়।</blockquote> <blockquote class="tr_bq"> ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জনৈক মুখপাত্র ঘোষণা করেন, পাক-ভারত উপমহাদেশে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য পাকিস্তান ও ভারতের নেয়া যে কোন পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে যাবে। তবে সে এতে কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করবে না। </blockquote> <ul> <li>যুদ্ধ পরিস্থিতি রিপোর্ট: বানপুর সাব সেক্টর </li> </ul> <blockquote> G-0750 </blockquote> <blockquote> Gano Bahini pti fired while en digging dt 18.11.71 bunker at Raghunathpur ghat 6007 M/S  79A/10 on 161500Nov. En cas 3 dead 8  Wounded. Own cas nil.  </blockquote> <ul> <li>পাকবাহিনী একদল রাজাকারকে সঙ্গে নিয়ে রাজশাহীর আগরা পুকুরের দিকে অগ্রসর হতে থাকলে মুক্তিবাহিনী হঠাৎ পাকবাহিনীর ওপর আক্রমণ করে। এই আক্রমণে ১০ জন পাক সৈন্য নিহত হয় এবং কিছু সংখ্যক রাজাকার মারা যায়। এই যুদ্ধে একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ এবং দুইজন মুক্তিযোদ্ধা সামান্য আহত হয়। </li> </ul> </div> <div> <div> <div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর </div> </div> </div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৮ নভেম্বর, ১৯৭১

১৮ নভেম্বর, ১৯৭১ সংবাদপত্র দেশবাংলা ১ম বর্ষ, ৪র্থ সংখ্যা : দেশবাংলা পত্রিকার শিবির প্রতিনিধির রিপোর্টে বলা হয়:  ভারত সরকার বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থীদের কতিপয় খাদ্য দ্রব্যাদির প্রয়োজন মেটাবার জন্য “…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৭ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ১৭ নভেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>ঢাকায় রাত সাড়ে আটটা থেকে ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। কারফিউর সময় পাকবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে ঢাকানগরীর বিভিন্ন স্থানে ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। সেনাবাহিনী এসময় গোটা নগরী তল্লাশী করে কয়েক’শ তরুনকে মুক্তিযোদ্ধা সন্দেহে আটক করে। </li> </ul> <ul> <li>কুমিল্লা, খলনা ও বরিশাল জেলার বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধা ও পাকসেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। </li> </ul> <ul> <li>করাচিতে পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ভুট্টো বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামত উপেক্ষা করে যদি পুতুল সরকার গঠন করা হয় তবে বিপ্লব অনিবার্য। পাকিস্তানের জনগণ কোন অবস্থায় পুতুল সরকার গ্রহণ করবে না। </li> </ul> <ul> <li>মিয়া মমতাজ দৌলতানা জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পাকিস্তান অর্জনের লক্ষ্যে মুসলমানরা যে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগ্রাম করছে, সেই চেতনাতেই পাকিস্তানবাদী ৭টি দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তারা পাকিস্তান টিকিয়ে রাখতে জীবন দিয়ে কাজ করে যাবে। পাকিস্তানের দেশপ্রেমিক জনগণও তাদের সঙ্গে রয়েছে। </li> </ul> <ul> <li>জেনারেল নিয়াজি আজ লালমনিরহাট সফর করেন। তিনি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ঘরোয়াভাবে আলোচনা করে শত্রু নিধনের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। সফরকালে তিনি স্থানীয় রাজাকার, মুজাহিদ ও পূর্ব পাকিস্তান বেসামরিক বাহিনীর সঙ্গেও আলোচনা করেন। নিয়াজির সঙ্গে আলোচনার সময় রাজাকার ও মুজাহিদরা পাকিস্তানের শত্রুরা সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার মত প্রকাশ করে। </li> </ul> <ul> <li>জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে পাকিস্তানি দলের নেতা মাহমুদ আলী জাতিসংঘে চীনের অন্তর্ভুক্তিতে চীনা প্রতিনিধিদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জাতিসংঘের যেসব লক্ষ্য এখনও অর্জিত হয়নি, চীনের অন্তর্ভুক্তির ফলে সেসব লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা জোরদার হবে। </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৭ নভেম্বর, ১৯৭১

১৭ নভেম্বর, ১৯৭১ ঢাকায় রাত সাড়ে আটটা থেকে ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। কারফিউর সময় পাকবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে ঢাকানগরীর বিভিন্ন স্থানে ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। সেনাবাহিনী এসময় গোটা নগরী…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৬ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: left;"> ১৬ নভেম্বর, ১৯৭১</div> <div> <ul style="text-align: left;"> <li>ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী নয়াদিলালীতে কংগ্রেস দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে ভাষণদানকালে বলেন, দু’এক মাস কিংবা তারও আগে বাংলাদেশ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা যায়। </li> </ul> </div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তরুণ চিকিৎসক ডা: আজহারুল হক এবং ডা: কবীরের মৃতদেহ মতিঝিলে নটরডেম কলেজের দক্ষিণে সার্কুলার রোডস্থ ব্রিজের নিচ হতে হাত পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পাকিস্তানের দোসর এদেশীয় রাজাকার এবং পাকবাহিনীর সদস্যরা তাঁদেরকে বাসভবন থেকে অপহরণ করে হত্যা করে। </li> </ul> <ul> <li>পাকবাহিনীর সঙ্গে আজমিরীগঞ্জে মুক্তিবাহিনীর এক ভয়াবহ যুদ্ধ হয়। আজমিরীগঞ্জে কম্যান্ডার জগৎজ্যোতি দাস তার ৪৫ জনের একটি দল নিয়ে অবস্থান করছিলেন। বেলা ১১টায় পাকবাহিনী জগৎজ্যোতির বাহিনীর সঠিক অবস্থান জেনে তাঁদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। জগৎজ্যোতি পাকবাহিনীর আকস্মিক আক্রমণে প্রস্তুত ছিলেন না। তথাপি অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিরক্ষাব্যুহ রচনা করে প্রতি আক্রমণ চালালেন। আড়াইঘন্টা স্থায়ী এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও শেষ মুহূর্তে জগৎজ্যোতি দাস এবং উপেন্দ্র শহীদ হলেন। ফলে মুক্তিবাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে, আজমিরীগঞ্জ পাকবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা পুলিশ স্টেশন আক্রমণ করে ৬ জন শত্রুসেনাকে হত্যা করে। একই দিন রাজশাহী জেলার গোদাগোরিতে‘মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর ওপর আক্রমণ চালিয়ে ৬ জন পাক সৈন্যকে নিহত এবং ৪ জনকে আহত করে। ঐ যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর দু’জন সদস্য আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>যুদ্ধ পরিস্থিতি রিপোর্ট : বানপুর সাব সেক্টর  </li> </ul> <blockquote class="tr_bq"> G-0117 16.11.71 <br /> dt 15.11.71</blockquote> </div> <blockquote> <div style="text-align: justify;"> Niamito Bahini two ferry boats completely destroyed at Kamarkhali Ghat SQ-480/M/S 79E/10 on 120300 Nov. NB/GB raided en posn Sailkupa SQ-1521 M/S 79E/2 on 12 Nov.En cas 2 Razakars dead. Own cas nil. Gono Bahini raided Audulbaria en pons SQ-7595 M/S 79A/15 on 140100 Nov. en cas 12 Razakars dead. Own cas 2 wounded.  </div> </blockquote> <div style="text-align: justify;"> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৬ নভেম্বর, ১৯৭১

১৬ নভেম্বর, ১৯৭১ ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী নয়াদিলালীতে কংগ্রেস দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে ভাষণদানকালে বলেন, দু’এক মাস কিংবা তারও আগে বাংলাদেশ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা যায়…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৫ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" width="640" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <br /> ১৫ নভেম্বর, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়, গত ২৫ মার্চের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়জিত চারজন সিএসপি ও একজন ইপিএস অফিসারের মৃত্যৃ হয়েছে। </li> </ul> <ul> <li>এদের মধ্যে কুষ্টিয়ার ডিসি নাসিম ওয়াকার আহমেদ ৩১ মার্চ, চুয়াডাঙ্গার এসডিও মোহাম্মদ ইকবাল ১৫ এপ্রিল, নঁওগার এসডিও মোহাম্মদ নিরারুল হামিদ ১৬ এপ্রিল, সিরাজগঞ্জের এসডিও এ.কে শামসুদ্দিন ২০ মে এবং যশোরের সাব-জজ মোজাফফর হোসেন (ইপিসিএস) ৩ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। </li> </ul> <ul> <li>ঢাকার বাসাবো এলাকায় শান্তিবাহিনীর সভা চলাকালে গেরিলারা হামলা করলে ৩ জন শান্তিবাহিনীর সদস্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের বিশেষ দূত ও আজাদ কাশ্মীরের প্রশাসক ইব্রাহিম খান তিউনিসে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের সমস্যার সমাধান কল্পে পাকিস্তান ভারতের সাথে আলোচনা করতে প্রস্তুত। </li> </ul> <ul> <li>সাতক্ষীরাতে মুক্তিবাহিনী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে তা ধ্বংস করে দেয়। </li> </ul> <ul> <li>নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের কাছে মাইন বিস্ফোরণে দুজন কুটনীতিক নিহত হন। এরাঁ ঢাকাস্ত পশ্চিম জার্মান কনসুলেটের কর্মকর্তা ছিলেন। এদিকে শীতলক্ষ্মা তীরে ডকে বোমা বিস্ফোরণে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়। </li> </ul> <ul> <li>নোয়াখালীর ছাগলনাইয়াতে পাক অবস্থানের উপর হামলা চালিয়ে মুক্তিবাহিনী ৫ জন পাকসৈন্যকে হত্যা করে। </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৫ নভেম্বর, ১৯৭১

১৫ নভেম্বর, ১৯৭১ পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়, গত ২৫ মার্চের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়জিত চারজন সিএসপি ও একজন ইপিএস অফিসারের মৃত্যৃ হয়েছে। এদের মধ্যে কুষ্টিয়ার ডিসি…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৪ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> ১৪ নভেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>পশ্চিম দক্ষিণাঞ্চলের কোম্পানী কমান্ডাদের ফতেপুরে জরুরীভাবে একত্র হবার নির্দেশ দিয়ে কাদের সিদ্দিকী তাদের কাছে থেকে যুদ্ধের সার্বিক অবস্থার রিপোর্ট নেন। পরে তিন-চার মাইল দূরত্ব বজায় রেখে ঢাকা টাঙ্গাইল সড়ক বরাবর অবস্থান গ্রহণ এবং রাস্তার নিখুঁত খোঁজখবর নিতে সকল কমান্ডাদের নির্দেশ দিয়ে পাঠালেন। </li> </ul> <ul> <li>খুলনায় শ্রমিক সমাবেশে মেজর জেনারেল রাও ফারমান আলী সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে দেশে শিল্পোন্নয়নের গতি বাড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি ভারতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনী ভারতের আক্রমণ প্রতিহত করতে প্রস্তুত। বাইরের কোন শক্তি পাকিস্তানের সংহতি ও অখন্ডতা বিনষ্ট করতে সক্ষম হবে না।’ </li> </ul> <ul> <li>খুলনার সাতক্ষীরায় মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর একটি জীপ এ্যামবুশ করে ধ্বংস করে দেয়। এই আক্রমণে একজন ক্যাপ্টেন-সহ ৪ জন শত্রু সৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>রংপুর জেলার মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর ৩টি পরিবহন এ্যামবুশ করে। এতে পাকবাহিনীর দুটি পরিবহন ধ্বংস হয়ে যায়। একই দিন মুক্তিবাহিনী লালমনিরহাটে এক যুদ্ধে প্রচুর গোলাবারুদ হস্তহত করে। </li> </ul> <ul> <li> যুদ্ধ পরিস্থিতি</li> </ul> <blockquote class="tr_bq"> G-0742 14.11.71 <br /> Dt-14.11.71</blockquote> </div> <div style="text-align: justify;"> <blockquote> <div> Gono Bahini Ptl fired on Guarding br SQ-0304 M/S 79E/2 on 112300 Nov. on road Chuadanga – The nidah. En cas reported 4 wounded. Own cas I wounded. Ptl fired en posn Hansadah SQ – 7386 M/S 79A/15 on 122200 Nov. same ptl blew three rly crossings lines at Uthali 7197 M/S 79A/15 on 1323 30 Nov. </div> </blockquote> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৪ নভেম্বর, ১৯৭১

১৪ নভেম্বর, ১৯৭১ পশ্চিম দক্ষিণাঞ্চলের কোম্পানী কমান্ডাদের ফতেপুরে জরুরীভাবে একত্র হবার নির্দেশ দিয়ে কাদের সিদ্দিকী তাদের কাছে থেকে যুদ্ধের সার্বিক অবস্থার রিপোর্ট নেন। পরে তিন-চার মাইল দূরত্ব বজায় রে…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৩ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ১৩ নভেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>সুবেদার মেজর লুৎফর রহমান নিজ প্লাটুন নিয়ে লক্ষ্মীপুর রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করেন। এই আকস্মিক আক্রমণে বহু রাজাকার হতাহত হয়। এখানে সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করে। </li> </ul> <ul> <li>মহিমাগঞ্জের দুলুর নেতৃত্বে ও মিহিপুরের বাবলু, খালেক, হামিদ, খলিল, নরুল, শুকু, ফিনু, জগলু, হালু, লিটু এবং অন্যান্য গেরিলাদের সহযোগিতায় সুকানপুকুর রেল স্টেশনের ধারে মিহিরপুরের নিকট একটি পাকসৈন্যবাহী স্পেশাল ট্রেন ডিনামাইট দিয়ে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়া হয়। ফলে প্রায় দেড়শত পাকসৈন্য মৃত্যুবরণ করে। </li> </ul> <ul> <li>মিত্রবাহিনীর সহায়তায় মুক্তিবাহিনী ভুরঙ্গামারী সম্পূর্ণরূপে হানাদার মুক্ত করে। এই অভিযানে ভারতীয় বাহিনীর নেতৃত্ব দেন ব্রিগেডিয়ার যোশী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচালনা করেন সেক্টর কমান্ডার কে.এম.বাশার ও সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর নওয়াজেশ। এই যুদ্ধে প্রচুর গোলাবারুদ সম্মিলিত বাহিনীর হাতে আসে। এই যুদ্ধে বহু পাকসৈন্য নিহত হয় এবং ৩ জনকে বন্দী করা হয়। </li> </ul> <ul> <li>হামজাপুর সাবসেক্টরে ঘনেপুর বি.ও.পি আক্রমণ করে ৩০ জন পাকসেনাকে হত্যা করে। </li> </ul> <ul> <li>লে. কর্নেল তাহের রাত ৩.২০ মিনিটে মুক্তিফৌজ কোম্পানী কমান্ডারদের ডেকে কামালপুর পাকঘাঁটি আক্রমণ করার পরিকল্পনা অবহিত করেন। তিনি কোম্পানী কমান্ডারদের মোট ৮৫ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে কামালপুরের আশেপাশে গ্রামে এ্যামবুশ নিয়ে থাকার নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য কর্নেল তাহের ঐ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৩ নভেম্বর, ১৯৭১

১৩ নভেম্বর, ১৯৭১ সুবেদার মেজর লুৎফর রহমান নিজ প্লাটুন নিয়ে লক্ষ্মীপুর রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করেন। এই আকস্মিক আক্রমণে বহু রাজাকার হতাহত হয়। এখানে সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করে। মহিমাগ…

Read more »

উচ্চারণগুলি শোকের - আবুল হাসান

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj1TdC4bwQQujTHyeHzgrF8sgfoyVGqv9wgkcVdelJ32wWYMVGuLrDrFniNNfF-dfT1aAGWjEzmJ7BiGv54kdZ0hry5ZrtlA7I6axjkJsImoelaZh9fylH4-BVgc_B7D3NkdnnfqGD3Obw/s1600/mk.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj1TdC4bwQQujTHyeHzgrF8sgfoyVGqv9wgkcVdelJ32wWYMVGuLrDrFniNNfF-dfT1aAGWjEzmJ7BiGv54kdZ0hry5ZrtlA7I6axjkJsImoelaZh9fylH4-BVgc_B7D3NkdnnfqGD3Obw/s640/mk.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="font-size: 12.8px;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> আবুল হাসানের ‘উচ্চারণগুলি শোকের’ মুক্তিযুদ্ধের উপর রচিত শ্রেষ্ঠ কবিতাগুলির একটি। মুক্তিযুদ্ধের অনেক কবিতাই স্বভাবজ কারণেই রাগী ও শ্লোগানধর্মী; সেই ভীড়ে এ কবিতাটি ব্যতিক্রমী শৈল্পিক। বিজয়ের পরপরই তিনি কেন এমন কবিতা লিখেছিলেন, সেটা ভাবনার খোরাক জাগায়। স্বাধীনতার লাল সূর্য হাতে পেয়ে উৎসবে যখন মেতে ওঠে সমগ্র বাংলাদেশ তখন স্বজন হারানোর বেদনা ফুটেছে কবি আবুল হাসান এর ‘উচ্চারণগুলি শোকের’ কবিতায়।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div class="uiStreamMessage userContentWrapper" data-ft="{"type":1,"tn":"K"}" style="text-align: justify;"> <br /> <div style="text-align: center;"> লক্ষী বউটিকে</div> <span style="font-size: small;"><div style="text-align: center;"> আমি আজ আর কোথাও দেখিনা,</div> <span style="font-weight: normal;"><div style="text-align: center;"> হাটি হাটি শিশুটিকে</div> <span class="messageBody" data-ft="{"type":3}"><div style="text-align: center;"> কোথাও দেখিনা,</div> <span class="userContent"><div style="text-align: center;"> কতগুলি রাজহাঁস দেখি</div> <div style="text-align: center;"> নরম শরীর ভরা রাজহাঁস দেখি,</div> <div style="text-align: center;"> কতগুলি মুখস্থ মানুষ দেখি, বউটিকে কোথাও দেখিনা</div> <div style="text-align: center;"> শিশুটিকে কোথাও দেখিনা !</div> <div style="text-align: center;"> তবে কি বউটি রাজহাঁস ?</div> <div style="text-align: center;"> তবে কি শিশুটি আজ</div> <div style="text-align: center;"> সবুজ মাঠের সূর্য, সবুজ আকাশ ?</div> <div style="text-align: center;"> অনেক রক্ত যুদ্ধ গেলো,</div> <div style="text-align: center;"> অনেক রক্ত গেলো,</div> <div style="text-align: center;"> শিমুল তুলোর মতো</div> <div style="text-align: center;"> সোনারূপো ছড়ালো বাতাস ।</div> <div style="text-align: center;"> ছোটো ভাইটিকে আমি</div> <div style="text-align: center;"> কোথাও দেখিনা,</div> <div style="text-align: center;"> নরোম নোলক পরা বোনটিকে</div> <div style="text-align: center;"> আজ আর কোথাও দেখিনা !</div> <div style="text-align: center;"> কেবল পতাকা দেখি,</div> <div style="text-align: center;"> কেল উৎসব দেখি ,</div> <div style="text-align: center;"> স্বাধীনতা দেখি,</div> <div style="text-align: center;"> তবে কি আমার ভাই আজ</div> <div style="text-align: center;"> ঐ স্বাধীন পাতাকা ?</div> <div style="text-align: center;"> তবে কি আমার বোন, তিমিরের বেদীতে উৎসব ?</div> </span></span></span></span></div> </div>

উচ্চারণগুলি শোকের - আবুল হাসান

আবুল হাসানের ‘উচ্চারণগুলি শোকের’ মুক্তিযুদ্ধের উপর রচিত শ্রেষ্ঠ কবিতাগুলির একটি। মুক্তিযুদ্ধের অনেক কবিতাই স্বভাবজ কারণেই রাগী ও শ্লোগানধর্মী; সেই ভীড়ে এ কবিতাটি ব্যতিক্রমী শৈল্পিক। বিজয়ের পরপরই তিনি…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১২ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১২ নভেম্বর, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>কুষ্টিয়ায় মুক্তিবাহিনী আলমডাঙ্গা পাকসেনা ঘাঁটি আক্রমণ করে। পাকসেনারা পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর ১৭ জন সৈন্য নিহত হয়। অপরদিকে ২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। </li> </ul> <ul> <li>অপর এক ঘটনায় আলমডাঙ্গায় মুক্তিযোদ্ধাদের এক সফল অভিযানে পাকবাহিনীর একজন পশ্চিম পাকিস্তানি রেঞ্জার, ১৯ জন রাজাকার ও একজন পশ্চিম পাকিস্তানি পুলিশ নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>সিলেটে মুক্তিবাহিনীর এ্যামবুশ দল আড়িয়াল নামক স্থানে পাকসেনাদের একটি দলকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ৭ জন পাকসেনা নিহত হয়। অপরদিকে মুক্তিবাহিনীর একজন যোদ্ধা আহত হন। </li> </ul> <ul> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কর্নেল বাজার এলাকায় পাকসেনাদের এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ৮ জন পাকসেনা নিহত হয়। অন্যদিকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। অপর দিকে এক ঘটনায় চাইলাশিয়া এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের এ্যামবুশে পাকবাহিনীর ৭ জন সৈন্য নিহত হয় ও ৫ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>৪নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী জুড়ী-গোয়ালবাড়ী এলাকায় পাকবাহিনীর ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালায়। এই সংঘর্ষে ৫ জন সৈন্য ও একজন রাজাকার নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>১নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর এক প্লাটুন যোদ্ধা পাকবাহিনীর একটি টহলদার দলকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ৭ জন পাকসেনা নিহত হয় ও আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>৭নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর দুই কোম্পানী যোদ্ধা ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর সহায়তায় রাজারামপুর পাকসেনা ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই যুদ্ধে পাকাবাহিনীর একজন অফিসারসহ ১০ জন সৈন্য ও ৬০ জন রাজাকার নিহত হয় এবং ১২ জন রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বন্দী হয়। অপরদিকে ৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। </li> </ul> <ul> <li>পূর্ব পাকিস্তানের ঘটনাবলি সম্পর্কে পাকিস্তানিদের বক্তব্য বহির্বিশ্বকে জানানোর উদ্দেশে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের কয়েকটি দেশ সফর শেষে ফিরে জামায়াতে ইসলামির সেক্রেটারী জেনারেল চৌধুরী রহমত এলাহী জানান, পাকিস্তান আক্রান্ত হলে বিশ্ব পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াবে। </li> </ul> <ul> <li>তিনি আরো বলেন, ইসলামী রাষ্ট্রগুলো পাকিস্তানকে ইসলামের দুর্গ মনে করে। </li> </ul> <ul> <li>ফরাশি প্রেসিডেন্ট র্জজ পম্পিদু ও পশ্চিম জার্মান চ্যান্সেলর উইলি ব্রান্ট পাকিস্তানের জেনারেল ইয়াহিয়া খানের কাছে জরুরি পত্র পাঠান। </li> </ul> <ul> <li>চীন সফর শেষে দেশে ফিরে জুলফিকার আলী ভূট্টো বলেন, পাকিস্তান আর এখন একা নয়। যেকোন ধরনের আক্রমনে চীন পাকিস্তানকে পূর্ণসমর্থন দেবে। </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১২ নভেম্বর, ১৯৭১

১২ নভেম্বর, ১৯৭১ কুষ্টিয়ায় মুক্তিবাহিনী আলমডাঙ্গা পাকসেনা ঘাঁটি আক্রমণ করে। পাকসেনারা পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর ১৭ জন সৈন্য নিহত হয়। অপরদিকে ২ …

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১১ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১১ নভেম্বর, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ বাহিনীর একদল গেরিলা যোদ্ধা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশের পথে কুমিল্লার অদূরে বেতিয়ারা নামক স্থানে পাকসেনাদের দ্বারা আকস্মিকভাবে আক্রান্ত হন। গেরিলা যোদ্ধারা চরম বিপদের মুখে বীরত্বের সাথে পাকসেনাদের প্রতিহত করে। এই যুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা নিজামইদ্দিন আজাদ ও সিরাজুম মুনিরসহ ৯ জন যোদ্ধা শহীদ হন। </li> </ul> <ul> <li>কুমিল্লায় মুক্তিবাহিনী কামালপুর পাকসেনা ঘাঁটির ওপর মর্টারের সাহায্যে তীব্র আক্রমণ চালায়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৫ জন সৈন্য নিহত ও ১২ জন আহত হয়। অপর এক ঘটনায় মুক্তিবাহিনীর আরেক দল যোদ্ধা চাওড়া নামক স্থানে পাকসেনাদের এ্যামবুশ করে। এতে ২ জন পাকসেনা নিহত ও ৩ জন আহত হয় । </li> </ul> <ul> <li>দুপুরে বায়তুল মোকাররম বিপণী কেন্দ্রের সামনে গেরিলাদের পুঁতে রাখা গাড়িবোমা বিস্ফোরণে ৬ জন নিহত ও ৫৫ জন আহত হয়। অপরদিকে সামরিক কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল থেকে একজন গেরিলাকে গ্রেফতার করে। </li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরের মুক্তিবাহিনী নাস্তি-গুগরি সড়কে পাকসেনাদের এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে মাইন বিস্ফোরণে পাকবাহিনীর ১০ জন সৈন্য ও একজন রাজাকার নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>পাকবাহিনীর ৩টি জঙ্গী বিমান বেলা ৩-৫০মিনিটে মুক্তিবাহিনীর বেলুনিয়া এবং পরশুরাম অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। বিমানগুলো এক সময় এল.এম.জি-র আওতায় এলে মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ চালায়। এতে একটি বিমান ভূপতিত হয়। </li> </ul> <ul> <li>বন-এ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও পশ্চিম জার্মান চ্যান্সেলার উইলি ব্রান্টের মধ্যে আলোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে ইন্দিরা গান্ধী সাংবাদিকদের বলেন, ভারত পূর্ববঙ্গের অধিবাসীদের নিজের পছন্দ মতো একটি রাজনৈতিক সমাধান আশা করে। </li> </ul> <ul> <li>প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ অথবা সাহায্য করার অভিযেগে আটক ব্যাক্তিদের বিচারের জন্য বিশেষ আদালত গঠনের নির্দেশ দেন। </li> </ul> <ul> <li>ঢাকার সামরিক কর্তৃপক্ষ এক ঘোষণায় প্রদেশের সকল বেসামরিক এলাকায় ট্রেঞ্চ খননের নির্দেশ জারি করে। </li> </ul> <ul> <li>বিবিসি-র চীন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ডেভিড ক্লার্ক পাকিস্তানি প্রতিনিধিদলের চীন সফরের ওপর বিশেস পর্যালোচনা করেন । ক্লার্ক জানান, পাকিস্তান প্রতিনিধিদলের চীন সফরের উদ্দেশ্য হচ্ছে চীনের কাছ থেকে আরো বেশি সাহায্য লাভ করা । পাকিস্তান জঙ্গী বিমান এবং আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহের জন্যে চীনকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে। </li> </ul> <ul> <li>তিনি জানান, সিনকিয়াং এবং করাচীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী পথে চীনের অস্ত্রশস্ত্র পাকিস্তানে পৌঁছতে শুরু করেছে।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১১ নভেম্বর, ১৯৭১

১১ নভেম্বর, ১৯৭১ ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ বাহিনীর একদল গেরিলা যোদ্ধা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশের পথে কুমিল্লার অদূরে বেতিয়ারা নামক স্থানে পাকসেনাদের দ্বারা আকস্মিকভাবে …

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১০ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ১০ নভেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী ৮নং সেক্টরের আলীপুর নামক স্থানে পাকসোনদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৫ জন সৈন্য নিহত ও কয়েকজন আহত হয়।অপর দিকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। </li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরেরতেরাইল নামক স্থানে মুক্তিবাহিনী রাজাকারদের ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এতে ১৬ জন রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বন্দী হয়। মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকারদের কাছ থেকে ১৬টি রাইফেল, ১১টি বেয়নেট এবং কিছু গোলাবারুদ দখল করে। </li> </ul> <ul> <li>সিলেটে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের বড়লেখা ঘাঁটির ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ১৫ জন সৈন্য নিহত হয় এবং মুক্তিযোদ্ধারা বিপুল পরিমান অস্ত্র শস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করে। </li> </ul> <ul> <li>৭নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কুড়িগ্রামের কাছে পাকসেনা বোঝাই একটি ট্রেনকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে মাইন বিস্ফোরণে পাকবাহিনী বোঝাই ট্রেনটির ৮টি বগি ধ্বংস এবং একজন অফিসারসহ ৮ জন পাকসেনা নিহত হয়। অপর এক ঘটনায় মুক্তিবাহিনী পাকসেনা বোঝাই একটি গাড়ীকে কুড়িগ্রাম থেকে চিলমারী যাবার পথে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে গাড়ীর ড্রাইভারসহ ৩ জন পাকসৈন্য ও ৩ জন রাজাকার নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ১০ম বেঙ্গলের দুই কোম্পানি যোদ্ধা সকাল ১০টায় পাকবাহিণীর দক্ষিণ চিতলিয়া অবস্থানের ওপর গোলন্দাজ বাহিনীর সহায়তায় ব্যাপক আক্রমণ চালায় । ৩ ঘন্টা যুদ্ধের পর পাকসেনারা চিতলিয়া থেকে পালিয়ে মুন্সীহাটের দক্ষিণে ও পাঠান নগরের কাছে অবস্থান নেয় এবং মূল ঘাঁটি ফেনীতে পিছিয়ে নেয়। এই যুদ্ধে পাকসেনাদেও ব্যাপক ক্ষতি হয় ও চিতলিয়া রেল স্টেশন ধ্বংস হয় এবং মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র, অয়্যারলেস সেট, রেশন দখল করে। অপরদিকে ৫জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও ১৩ জন আহত হন। </li> </ul> <ul> <li>রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর ৮০ জন দুর্বৃত্ত সাদা পোশাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের ওপর হামলা চালায়। এক ঘন্টারও বেশি সময় হলে অবস্থানকালে দুর্বৃত্তরা সময় হলে অবস্থানকালে দুর্বৃত্তরা ছাত্রী ও শিক্ষয়িত্রীদের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে এবং তাদের ওপর নির্যাতন চালায়। এ সময় হলের সামনের রাস্তায় সামরিক ভ্যান ও জীপ টহল দেয়। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর সহকারী ্রপধান মওলানা আবদুর রহিম পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ডা. মালিকের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি গভর্নরকে পূর্ণ নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে শান্তি ও স্বাভাবিক অবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং পাকিস্তানের অখন্ডতা ও সংহতি রক্ষার উদ্দেশ্যে যে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে জনসাধারণ সরকারের পাশে থাকবে। </li> </ul> <ul> <li>লেঃ জেনারেল নিয়াজী ফেনী, বেলোনিয়া ও চট্টগ্রাম এলাকা সফর করে হানাদার বাহিনী কে আরো সক্রিয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের মোকাবেলার নির্দেশ দেন। </li> </ul> <ul> <li>পিডিপি নেতা নুুরুল আমিন পশ্চিম পাকিস্তানের লায়ালপুরে আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, নির্বাচনে বিজয়ের পরে বেআইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগ নেতারা বর্বরোচিত কার্যকলাপ শুরু করলে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হয়। সেনাবাহিনী বিদ্রোহ দমনে এগিয়ে এলে আওয়ামী নেতারা ভারতে গিয়ে নতুন কৌশলে হামলা শুরু করে।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১০ নভেম্বর, ১৯৭১

১০ নভেম্বর, ১৯৭১ মুক্তিবাহিনী ৮নং সেক্টরের আলীপুর নামক স্থানে পাকসোনদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৫ জন সৈন্য নিহত ও কয়েকজন আহত হয়।অপর দিকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ৮নং সেক্ট…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৯ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div class="separator" style="clear: both; text-align: left;"> ০৯ নভেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী ১০ম বেঙ্গলের দুই কোম্পানী যোদ্ধা রাত সাড়ে এগারোটায় পরশুরাম ও বেলুনিয়া পাকঘাঁটির ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই অভিযানে অনেক পাকসৈন্য নিহত হয় এবং মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র দখল করে। চারঘন্টা যুদ্ধের পর পাকসেনারা তাদের পরশুরাম ও বেলুনিয়া ঘাঁটি পরিত্যাগ করে পালিয়ে যায়। </li> </ul> <ul> <li>২নং সেক্টরের কপিতলা নামক স্থানে মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর প্রায় ৬০০ সৈন্যের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। প্রায় ৬ ঘন্টাব্যাপী এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর অনেক সৈন্য গুরুতরভাবে আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী সিলেটের পাকসেনাদের কামারগাঁও ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ১০ জন সৈন্য নিহত হয়। আক্রমণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজেদের অবস্থানে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul> <li>কুমিল্লায় মুক্তিবাহিনী অকুলপুর পাকসেনা ঘাঁটির ওপর মর্টারের সাহায্যে ব্যাপক আক্রমণ চালায়। এতে পাকবাহিনীর ৩ জন সৈন্য নিহত হয়। অপর এক ঘটনায় মুক্তিবাহিনীর ‘মুজিব ব্যাটারি’-র আক্রমণে অকুলপুরে পাকবাহিনীর আরো ২ জন নিহত ও ৩ জন সৈন্য আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>ময়মনসিংহে মুক্তিবাহিনী শ্যামগঞ্জ-শম্ভুগঞ্জ এলাকায় পাকসেনাদের একটি টহলদার দলকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকবাহিনীর ৭ জন সৈন্য নিহত ও ৫ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>প্যারিসে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জ্যাকুইস শবন দেলমাসের মধ্যে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে ইন্দিরা গান্ধী ফরাসি প্রেসিডেন্ট জর্জ পম্পিদুর সাথে মত বিনিময় করেন। </li> </ul> <ul> <li>প্যারিসে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ভারতে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার প্রতি যে হুমকি দেখা দিয়েছে তার নিরসন ঘটাতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশ সমস্যার একটি রাজনৈতিক সমাধান বের করতে হবে এবং এই সমাধান কার্যকর করতে হলে তা সেখানকার জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে অবশ্যই গ্রহণ যোগ্য হতে হবে। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তান সরকার ঘোষণা করেন, পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ৭৮টি শূন্য আসনের উপনির্বাচনে ৫৮ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৫ জন জামায়াত, ১২ জন পিডিপি, ২০ জন মুসলিম লীগ, ৬ জন নেজামে ইসলামী ও ৫ জন পিপিপি-র প্রার্থী। </li> </ul> <ul> <li>ওয়াশিংটনে মার্কিন সরকারের একজন মুখপাত্র ঘোষণা করেন, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের ৩৬ লাখ ডলার মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম রফতানির লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছেন। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান সিবিএস টেলিভিশনের সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, যদি ভারত পাকিস্তান আক্রমণ করে চীন অবশ্যই হস্তক্ষেপ করবে। </li> </ul> <ul> <li>রাওয়ালপিন্ডিতে প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ও পিপিপি প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টোর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। </li> </ul> <ul> <li>ঢাকার বিশেষ সামরিক আদালত এক রায়ে ১৩ জন সিএসপি, ৪২ জন ইপিসিএম অফিসার ও ৪ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের প্রত্যেককে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ডসহ অর্ধেক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত অধ্যাপকরা হচ্ছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমদ চেীধুরী (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), আবদুর রাজ্জাক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), সারওয়ার মুর্শেদ (ইংরেজী) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাজহারুল ইসলাম (বাংলা)। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি নূরুল আমিন জামায়াতে ইসলামীর প্রধান মওলানা মওদুদীর সঙ্গে দলের সদর দপ্তরে দীর্ঘ বৈঠকে মিলিত হন। মওদুদীর সঙ্গে বৈঠক শেষে নূরুল আমিন ঘোষণা করেন, দেশের সবক‘টি দক্ষিণপন্থী দল মৈত্রী জোট গঠনে সম্মত হয়েছে। জোট গঠনের ব্যাপারে শিজ্ঞিরই সম্মিলিত ঘোষণা দেয়া হবে। </li> </ul> <ul> <li>হিন্দুস্থান স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়: সিলেট জেলা মুক্ত হওয়া এখন শুধু মাসখানেকের ব্যাপার। কেননা মুক্তিফৌজ ৩/৪ ভাগে বিভক্ত হয়ে হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ সাবডিভিশনের গোয়াইনঘাট, সারি, শালুটিকর, কানাইঘাট, শ্রীমঙ্গল, শমসেরনগরে প্রতাপের সাথে যুদ্ধ করে এলাকাগুলো তাদের দখলে রেখেছে। এছাড়াও মুক্তিফৌজ গেরিলাদের ১০ হাজার সদস্য পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরূদ্ধে সফলতার সাথে যুদ্ধ করছে।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৯ নভেম্বর, ১৯৭১

০৯ নভেম্বর, ১৯৭১ মুক্তিবাহিনী ১০ম বেঙ্গলের দুই কোম্পানী যোদ্ধা রাত সাড়ে এগারোটায় পরশুরাম ও বেলুনিয়া পাকঘাঁটির ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই অভিযানে অনেক পাকসৈন্য নিহত হয় এবং মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের …

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৮ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ০৮ নভেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>পাবনায় পাকহানাদাররা মুক্তিবাহিনীর শাহবাজপুর ঘাঁটি আক্রমণ করে। এতে মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ চালালে পাকবাহিনীর ৩ জন সৈন্য নিহত ও ৩ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরে হানাদার দল মুক্তিবাহিনীর কায়খালী অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে ২ জন পাকসৈন্য নিহত ও অনেক আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>যশোরের মসল্লা নামক স্থানে মুক্তিবাহিনীর একটি এ্যামবুশ দল পাকসেনাদের একটি জীপকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে মাইন বিস্ফোরণে পাকসেনাদের জীপটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয় এবং গাড়ীর আরোহী ৩ জনই ঘটনাস্থলে নিহত হন। </li> </ul> <ul> <li>১ নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী রামগড়-করেরহাট সড়কে পাকবাহিনীর একটি টহলদার দলকে এ্যামবুশ করে। মুক্তিযোদ্ধারা এল.এম.জি, কারবাইন ও হাত বোমার সাহায্যে পাকসেনাদের ওপর আক্রমণ চালালে ৪ জন পাকসৈন্য নিহত ও ২ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>ফেনীতে মুক্তিবাহিনীর ১নং সেক্টর হেড কোয়ার্টারের যোদ্ধা, ২নং সেক্টরের ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের একদল যোদ্ধা এবং মিত্রবাহিনীর ২য় রাজপুত্র ও ৩য় ভোগবার ২টি কোম্পানী সম্মিলিতভাবে পরশুরামে পাকসেনাদের ওপর আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে পাকহানাদাররা পালিয়ে যায় এবং পরশুরাম মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে। </li> </ul> <ul> <li>চট্টগ্রামে মুক্তিবাহিনীর ৪র্থ বেঙ্গল ও ‘মুজিব’ ব্যাটারীর যোদ্ধারা পাকবাহিনীর হিয়াকু অগ্রবর্তী ঘাঁটিতে অবস্থানরত ৪০/৫০ জন সৈন্যের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা গোলন্দাজ বাহিনীর সাহায্যে আক্রমণ চালালে পাকসেনারা টিকতে না পেরে ফটিকছড়ির দিকে পালিয়ে যায়। এতে হিয়াকু বাজার মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে চলে আসে । </li> </ul> <ul> <li>মার্কিন সাময়িকী ‘নিউজ উইক’-এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান বলেন, ভারত বিদ্রোহীদের পূর্ব-পাকিস্তানে অনুপ্রবেশে সাহায্য করে চলেছে। ভারতীয় টেনিং প্রাপ্ত বিদ্রোহীরা পূর্ব-পাকিস্তানের নাশকতা মূলক কাজে লিপ্ত। আমি এ ব্যাপারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। তিনি আরো বলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের ধুঁয়া তুলে পূর্ব পাকিস্তান দখলের চেষ্টা করে তাহলে যুদ্ধ বাধবেই। সে যুদ্ধ কেবল পূর্বাঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকবে না এবং সে যুদ্ধে নিশ্চয়ই আমি পরাজিত হবো না। যুদ্ধ বাধলে চীন আমাকে অস্ত্র দেবে সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। </li> </ul> <ul> <li>চীন সফর শেষে করাচী ফিরে জুলফিকার আলী ভুট্টো প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেন। </li> </ul> <ul> <li>প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খান পাকিস্তান সরকারের অর্থনৈতিক সমন্বয় ও বৈদেশিক সাহায্য বিভাগের যুগ্মসচিব এম.এ. রশীদ, পরিকল্পনা বিভাগের আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ আবদুস সাত্তার, নয়াদিল্লীস্থ পাকিস্তান ডেপুটি হাই কমিশনের সহকারী প্রেস এ্যাটাচি মাকসুদ আলীকে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য ঘোষনার জন্যে চাকরি থেকে বহিষ্কার করেন। </li> </ul> <ul> <li>জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মিয়া তোফায়েল জানান, দেশের গোলযোগপূর্ণ বা যুদ্ধাবস্থায় জামায়াতে ইসলামী যে কোনো দলের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি মন্ত্রীসভায় জামায়াতের অংশগ্রহণ সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা ক্ষমতা লাভের জন্যে নয়, বরং দেশের অখন্ডতা রক্ষার জন্যেই সরকারের দায়িত্বে অংশগ্রহণ করেছি।’ </li> </ul> <ul> <li>জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম (হাজারভী গ্রুপ)-এর সম্পাদক মওলানা মুফতী মাহমুদ পাকিস্তানবাদী সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ‘জেহাদ’ ঘোষণার আহ্বান জানান। তিনি জানান, যুদ্ধ ঘোষণার মাধ্যমে স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৮ নভেম্বর, ১৯৭১

০৮ নভেম্বর, ১৯৭১ পাবনায় পাকহানাদাররা মুক্তিবাহিনীর শাহবাজপুর ঘাঁটি আক্রমণ করে। এতে মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ চালালে পাকবাহিনীর ৩ জন সৈন্য নিহত ও ৩ জন আহত হয়। ৮নং সেক্টরে হানাদার দল মুক্তিবাহিনী…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৭ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ০৭ নভেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী ঘাটাইল থানার ধরাপাড়া নামক স্থানে ভোর সারে চারটা থেকে প্রায় ৫০০ পাকসৈন্যের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে ৬ ঘন্টাব্যাপী তীব্র সংঘর্ষ হয়। এই যুদ্ধে হানাদার বাহিনীর একজন মেজরসহ ৬ জন সৈন্য ও ৩ জন রাজাকার নিহত এবং অনেক আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>৭নং সেক্টরে ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন চৌধুরীর মুক্তিযোদ্ধা দল পাকবাহিনীর শাহপুর বিওপি আক্রমণ করে। এতে ৩ জন রাজাকার নিহত ও অনেক আহত হয়। আক্রমণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul> <li>কুমিল্লায় মুক্তিবাহিনী শালদা নদী পাকসেনা ঘাঁটির ওপর আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের এই অভিযানে ২ জন পাকসৈন্য নিহতও ৪ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>২নং সেক্টরের কায়েমপুর এলাকায় মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৩ জন সৈন্য নিহত ও কয়েকজন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী কুমিল্লা জেলার মন্দভাগ এলাকায় পাকসেনাদের একটি শক্তিশালী দলকে আক্রমণ করে। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ১৫ জন সৈন্য হতাহত হয়। অপরদিকে মুক্তিবাহিনীর ৩ জন যোদ্ধা আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>রংপুর জেলায় মুক্তিবাহিনী কারানি এলাকায় অবস্থানরত রাজাকারদেও ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৮ জন রাজাকার ৫টি রাইফেলসহ মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে বন্দি হয়। এছাড়া পাহারপুকুর এলাকায় মুক্তিবাহিনীর সফল অবিযানে ১০ জন পাকসৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা নারায়ণগঞ্জ শান্তি কমিটির নেতা আফি সরদারের বাড়ি আক্রমণ করে। এতে আফি সরদার ও তার পরিবারের ৮ জন সদস্য নিহত এবং ৩ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রধান নুরুল আমিন লাহোরে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সাথে বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠক শেষে নুরুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন উপ- নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হবার পর পূর্বপাকিস্থানে দুষ্কৃতকারীদের(মুক্তিবাহিনী) নাশকতামূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ জন্য তিনি পূর্বাঞ্চলে রাজাকারদের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তাদের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করার জন্যে প্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ করেছেন। </li> </ul> <ul> <li>জামায়াত নেতা আব্বাস আলী খান পশ্চিম পাকিস্থানে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, পূর্ব পাকিস্তানের পুরো অবস্থা সেনাবাহিনী ও রাজাকারদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় বেসামাল হয়ে ভারতীয় চররা চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে শান্তি বিনষ্ট করছে। </li> </ul> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৭ নভেম্বর, ১৯৭১

০৭ নভেম্বর, ১৯৭১ মুক্তিবাহিনী ঘাটাইল থানার ধরাপাড়া নামক স্থানে ভোর সারে চারটা থেকে প্রায় ৫০০ পাকসৈন্যের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে ৬ ঘন্টাব্যাপী তীব্র সংঘর্ষ হয়। এই যুদ্ধে হানাদার বাহিনী…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৬ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"><br /></td></tr> </tbody></table> ০৬ নভেম্বর, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>ওয়াশিংটনে নিক্সন-ইন্দিরা দ্বিতীয় দফা বৈঠক শেষে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধ এড়াতে ভারত সম্ভাব্য সব কিছু করবে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ওয়াশিংটনস্থ জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে ইন্দিরা গান্ধী বলেন, ‘কোনো সমাধানে উপনীত হতে হলে তা পূর্ববঙ্গের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের উপস্থিতি ছাড়া ভারত-পাকিস্তান আলোচনা অর্থবহ হতে পারে না। বরং তা সমাধানে পৌঁছাতে আরো জটিলতার সৃষ্টি করবে।’ </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকার শাহবাগ মোড়ে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা যোদ্ধাদের সাথে রাজাকার দলের ব্যাপক গোলা বিনিময় হয়। এতে একজন রাজাকার নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী ময়মনসিংহ জেলার জামালপুর মহকুমার মিলান্দা-মাহম্মদপুর এলাকায় পাকসেনাদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর একজন জুনিয়ার কমিশন্ড অফিসারসহ ১২ জন সৈন্য নিহত হয়। অপরদিকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।</li> </ul> <div style="text-align: left;"> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৬ নভেম্বর, ১৯৭১

০৬ নভেম্বর, ১৯৭১ ওয়াশিংটনে নিক্সন-ইন্দিরা দ্বিতীয় দফা বৈঠক শেষে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধ এড়াতে ভারত সম্ভাব্য সব কিছু করবে। ওয়াশিংটনস্থ জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাং…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৫ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ০৫ নভেম্বর, ১৯৭১<br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী ফুলবাড়িয়া থানার আছিম পোড়াবাড়িতে অবস্থানরত পাকহানাদারদের ওপর গোলন্দাজ বাহিনীর সহায়তায় ব্যাপক আক্রমণ চালায়। প্রায় ৬ ঘন্টা স্থায়ী এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর ১৪ জন সৈন্য নিহত ও ৬ জন আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রণের মুখে টিকতে না পেরে হানাদাররা বিপুল ক্ষতি স্বীকার করে পোড়াবাড়ি অবস্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী চট্টগ্রামের হরিণখোলায় পাকসেনাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ৭ জন সৈন্য নিহত ও ৮ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনীর গেরিলা কমান্ডোরা টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রায় ৫০টি গ্রেনেড ছোঁড়ে। এতে হানাদারদের কয়েকজন হতাহত হয়। টাঙ্গাইলের প্রধান ডাকঘরের পিছনে রাজাকারদের অবস্থানের ওপর কয়েকটি গ্রেনেড বিস্ফোরণে ৩ জন রাজাকার নিহত ও ৪ জন গুরুতরভাবে আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনীর এক প্লাটুন যোদ্ধা ৮নং সেক্টরের বানপুর সাবসেক্টরে রাজাকারদের দেবীনগর অবস্থানের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ২ জন রাজাকার নিহত হয় । মুক্তিযেদ্ধারা রাজাকারদের কাছ থেকে ৬টি ৩০৩ রাইফেল দখল করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ওয়াশিংটনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের মধ্যে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পিপিপি প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো পিকিং সফর শেষে করাচি ফিরে বলেন, চীন পাকিস্তানের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন। মিশন একশ’ভাগ সফল। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ফ্রান্স যাত্রার প্রাক্কালে ওয়াশিংটনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সাথে তাঁর আলোচনার কিছু নেই। এটি ইসলামাবাদ ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যকার বিষয়। বর্তমান উত্তেজনা নিরসনে প্রথমে বাংলাদেশে অধিকতর শান্তিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি করতে হবে। বর্তমান সমস্যা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার কোনো বিরোধ নয়। কিন্তু এতে ভারত জড়িয়ে পড়েছে এজন্য যে, ভারতে শরণার্থীরা যাচ্ছে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>তিনি আরো বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আলোচনাই বর্তমান সমস্যার কার্যকর সমাধান। কারণ, তিনিই বাঙ্গালি জনগণের স্বীকৃত নেতা। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের অনুমোদনের ভিত্তিতে যে কোনো সমাধানই সম্ভব। ওটি তাদের দেশ, তাদের আন্দোলন এবং তাদেরকেই চুরান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। বাঙ্গালিরা তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেবে, তা বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>চীন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি তারা সম্ভবত কোনো বিরোধে জড়াবেন না। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রেস সেক্রেটারি জিগলার ওয়াশিংটনে বলেন, পূর্ব পাকিস্থানের সঙ্কট প্রশ্নে প্রেসিডেন্ট নিক্সন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি মিমাংসার অপেক্ষায় রয়েছেন। উভয়পক্ষ চাইলে তিনি এ লক্ষ্যে একটি সুস্পষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। যুক্তরাষ্ট্র ভারত- পাকিস্তান যুদ্ধ চায় না। চায় শান্তিপূর্ণ মিমাংসা। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>চীনের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী চী চোং ফী এক ভোজ সভায় পাকিস্তান প্রতিনিধিদলকে পূর্ণ আশ্বাস দিয়ে বলেন, চীন পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষায় সর্বতোভাবে সহযোগিতা করবে। ভোজ সভায় চীনা প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাইসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ইসলামী ছাত্র সংঘ ‘বদর দিবস’ উপলক্ষে বায়তুল মোকাররমে সমাবেশ এবং পরে মিছিলের আয়োজন করে। সমাবেশে বক্তারা ব্রাহ্মণ্যবাদী সকল চক্রান্ত নস্যাৎ করে পাকিস্তানকে পবিত্র রাখার শপথ নেয়। তারা ঘোষণা করেন, “আমাদের রক্তে পাকিস্তান টিকে থাকবে।” </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>আড়াই মাস বিদেশে সফর করে বেগম আখতার সোলায়মান দেশে ফিরে সাংবাদিকদের জানান, বিদেশে পাকিস্তানি পররাষ্ট্র মিশনগুলোতে শতকরা ৯৯ জন পূর্ব পাকিস্তানি দেশপ্রেমের মনোভাব নিয়ে কাজ করছে। </li> </ul> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৫ নভেম্বর, ১৯৭১

০৫ নভেম্বর, ১৯৭১ মুক্তিবাহিনী ফুলবাড়িয়া থানার আছিম পোড়াবাড়িতে অবস্থানরত পাকহানাদারদের ওপর গোলন্দাজ বাহিনীর সহায়তায় ব্যাপক আক্রমণ চালায়। প্রায় ৬ ঘন্টা স্থায়ী এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর ১৪ জন সৈন্য নিহত ও ৬ …

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৪ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="331" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>০৪ নভেম্বর, ১৯৭১</b><br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>ঋষিমুখ সাবসেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন শামসুল হুদা রাত সাড়ে আটটায় মৃতুবরণ করেন। তিনি এই সময় ৩টি কোম্পানি নিয়ে বেলুনিয়া অবস্থান করছিলেন। তীব্র যুদ্ধের দিনে এই দেশপ্রেমিক বীর অত্যন্ত মর্মান্তিকভাবে মৃতুর কোলে ঢলে পড়লেন। (অনেকের মতে ক্যাপ্টেন শামসুল হুদা পারিবারিক কারণেই আত্মহত্যা করেছেন)। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী ময়মনসিংহের বারহাট্টা পুলিশ স্টেশন এবং তানতার এলাকার পশিচম পাকিস্তানী পুলিশের সাথে এক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। মুক্তিবাহিনী পুলিশ স্টেশনটি দখল কওে এবং ১০৫ জন রাজাকারকে আটক করে। এছাড়া পুলিশ স্টেশন থেকে ৮০টি রাইফেল ও ১টি এল.এম.জি উদ্ধার করে। তানতার এলাকা থেকে মুক্তিবাহিনী কিছু মর্টার ও ১২টি বোমা উদ্ধার করে। </li> </ul> <ul> <li>পূর্বাঞ্চল কম্যান্ডের কম্যান্ডোর ও ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ.এ.কে.নিয়াজি বলেন, ভারত প্রতিদিন আমাদের সীমন্তিবর্তী গ্রামগুলোর ওপর গোলাবর্ষণ করে বহু নিরাপরাধ নারী- পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করছে। তারা পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের শুভাকাক্সক্ষী হতে পারে না। </li> </ul> <ul> <li>চট্টগ্রামে মুক্তিবাহিনীর একটি দল বন্দরে ‘মাহতাব জাবেদ’ নামের বিশাল তৈলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জাহাজটি ডুবিয়ে দিতে সক্ষম হয়। এতে ফায়ারম্যান-সহ ৭ জন নাবিক ডুবে মারা যায়। </li> </ul> <ul> <li>যুব শিবিরে নবাগতদের ভর্তির ব্যাপারে শিবির পরিচালকের কয়েকটি জরুরী নির্দেশ জারী এতে বলা হয় আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ নিম্মলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে: </li> </ul> <blockquote class="tr_bq"> ১.যুব শিবিরে নবাগতদের সকলকেই পরিচয়পত্র প্রদান করতে হবে। নিকটবর্তী থানা কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয় এই কাজে পর্যাপ্ত অর্থ প্রদান করবার জন্য।</blockquote> </div> <blockquote> <div style="text-align: justify;"> ২.ক্যাম্প কর্তৃপক্ষকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে যেন রিক্রুটেট ছাড়া অন্য কেউ এই কার্ড না পায়। </div> </blockquote> <blockquote> <div style="text-align: justify;"> ৩.ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ অবশ্যই স্থানীয় থানাকে যে কোন সন্দেহজনক ব্যক্তির আগমন সম্পর্কে অবহিত করবেন। থানা কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে সন্দেহজনক ব্যক্তিকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করবেন।</div> </blockquote> <div> তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৪ নভেম্বর, ১৯৭১

০৪ নভেম্বর, ১৯৭১ ঋষিমুখ সাবসেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন শামসুল হুদা রাত সাড়ে আটটায় মৃতুবরণ করেন। তিনি এই সময় ৩টি কোম্পানি নিয়ে বেলুনিয়া অবস্থান করছিলেন। তীব্র যুদ্ধের দিনে এই দেশপ্রেমিক বীর অত্যন্ত মর্ম…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৩ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></div> <br /> ০৩ নভেম্বর, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>টোকিওতে পাকিস্তানী দূতাবাসের প্রেস এটাচি এস. এম. মাসুদ ও থার্ড সেক্রেটারী মোহাম্মদ আবদুর রহমান পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেন। সুইজারল্যান্ডে পাকিস্তানের চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স ওয়াকিলুর রহমান সরকারের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেন । </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদেও সামরিক তৎপরতা চালানোর কাজে সাহায্য না করা এবং পাকিস্তানের সাথে সকল বিবাদ সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলার জন্য গণচীন ভারতের প্রতি হুশিয়ারি জানায়। </li> </ul> <ul> <li>বিপ্লবী বাংলাদেশ পত্রিকার এক রিপোর্টে বলা হয়- অসম- সাহসী মুক্তিসেনারা ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ শহর হানাদার মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া এই মহকুমার পাকুন্দিয়া, হোসেনপুর, কটিয়াদি,অষ্টগ্রাম, করিমগঞ্জ, ইটনা ও নিকলি থানাগুলি পূর্বেই মুক্তিবাহিনীর দখলে এসেছে। কিশোরগঞ্জে কয়েকদিনের সম্মুখযুদ্ধে প্রায় ২০ জন হানাদার সেনা নিহত এবং বহুসংখ্যক আহত হয়েছে। </li> </ul> <ul> <li>ক্যাপ্টেন হুদার নির্দেশে লেঃ অলীক গুপ্ত একটি ই.পি.আর. প্লাটুন নিয়ে মাসলিয়ায় নিকটবর্তী হিজলী বি.ও.পি-তে পাকসেনাদেও এ্যামবুশ করলেন। তীব্র গোলাগুলির মুখে পাকসেনাদের দলটি ক্ষতি স্বীকার করে পিছনে সরে যায়। কিন্তু পাকিস্তানীরা কিছুক্ষনের মধ্যে বিপর্যস্ত অবস্থা কাটিয়ে রিয়ার সাপোর্টে লেঃ গুপ্তের উপর ব্যাপকভাবে প্রতি-আক্রমণ চালায়। তরুন অফিসার লেঃ অলীক গুপ্ত অত্যন্ত ধৈর্য্যসহকারে পাকিস্তানীদের মোকাবিলা করেন। মুক্তিবাহিনীর চরম অবস্থার খবর কমান্ডার নাজমুল হুদার নিকট পৌছুলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে দুটি প্লাটুন নিয়ে পাকিস্তানীদের উপর পাল্টা আক্রমণ চালান। এতে পাকিস্তানীরাদিশেহারা হয়ে পড়ে। প্রচুর অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং ১২ জনের মৃতদেহ ফেলে পালিয়ে অবশিষ্টরা কোনোরকমে জীবন বাঁচায়। </li> </ul> <ul> <li>চট্টগ্রাম বন্দরে মুক্তিবাহিনীর নৌ-কমান্ডোদের পাতা মাইনে একটি তেলবাহী জাহাজ নিমজ্জিত হয়। বিস্ফোরণে জাহাজের ৮ জন নাবিক প্রাণ হারায়।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৩ নভেম্বর, ১৯৭১

০৩ নভেম্বর, ১৯৭১ টোকিওতে পাকিস্তানী দূতাবাসের প্রেস এটাচি এস. এম. মাসুদ ও থার্ড সেক্রেটারী মোহাম্মদ আবদুর রহমান পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেন। সুইজারল্যা…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০২ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ০২ নভেম্বর, ১৯৭১<br /> <div> <ul style="text-align: left;"> <li>মুক্তিবাহিনী কুমিল্লা জেলার পাকসেনাদের কায়েমপুর ঘাঁটির ওপর মর্টারের সাহায্যে আক্রমণ চালায়। এতে পাকবাহিনীর ২ জন সৈন্য নিহত ও ৪ জন আহত হয়।</li> </ul> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০২ নভেম্বর, ১৯৭১

০২ নভেম্বর, ১৯৭১ মুক্তিবাহিনী কুমিল্লা জেলার পাকসেনাদের কায়েমপুর ঘাঁটির ওপর মর্টারের সাহায্যে আক্রমণ চালায়। এতে পাকবাহিনীর ২ জন সৈন্য নিহত ও ৪ জন আহত হয়। তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। …

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০১ নভেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <br /> ০১ নভেম্বর, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী একদল পাকসেনাকে বেলছড়ি নামক স্থানে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকবাহিনীর ২ জন সৈন্য নিহত ও ৫ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী যশোর জেলার নোয়াপাড়ায় পাকবাহিনীর একদল সৈন্যকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকবাহিনীর ৬ জন সৈন্য নিহত ও ৪ জন আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul> <li>সিলেটে ‘জেড’ ফোর্সের যোদ্ধারা মিত্রবাহিনীর দুই ব্যাটালিয়ান সৈন্যসহ পাকসেনাদের ধলাই বিওপি এবং ফ্যাক্টরী ঘাঁটির ওপর প্রচন্ড আক্রমণ চালায়। এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর ৩০তম ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্টের ২ কোম্পানী সৈন্য (প্রায় ২০০ জন) নিহত ও অনেক সৈন্য আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী একদল যোদ্ধা কাহুর নামক স্থানে পাকসেনাদের একটি দলকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকবাহিনীর ২ জন সৈন্য নিহত ও ৩ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>ময়মনসিংহ জেলায় মুক্তিবাহিনীর একটি এ্যামবুশ দল বিড়িসিড়ি- বিজয়পুর সড়কে মাইন পুঁতে ওৎ পাতে। পাকসেনাদের একটি দল এ্যামবুশ এলাকায় এলে মাইন বিস্ফোরণে ১ জন পাকসেনা নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>লন্ডনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের মধ্যে বাংলাদেশ প্রশ্ন নিয়ে দুই ঘন্টাব্যাপী আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান লন্ডনের ‘ডেইলী মেইল’-এর সাথে সাক্ষাৎকারে বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ আসন্ন। ভারত-পাকিস্তান আক্রমণ করলে চীন তা সহ্য করবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অর্থ কেবল পাকিস্তান খন্ড-বিখন্ড নয়, সেই সাথে হবে ভারতীয় ইউনিয়নের অবসানের সূচনা। </li> </ul> <ul> <li>প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার কৃষি ও পূর্ত উপদেষ্টা এম.এইচ. সূফী সংবাদ সম্মেলনে জানান, দেশে দুর্ভিক্ষের আশংকা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কেননা পূর্ব পাকিস্তানে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই। </li> </ul> <ul> <li>জাতিসংঘের মহাসচিব উ’থান্টের সঙ্গে সাধারণ পরিষদে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের নেতা মাহমুদ আলী সাক্ষাৎ করেন। </li> </ul> <ul> <li>নির্বাচন কমিশন জানায়, আরো ৩ জন উপ-নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়াতে জাতীয় পরিষদে মোট নির্বাচিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫ জন। অর্থাৎ মাত্র ২৩টি আসনে নির্বাচন হবে। </li> </ul> <ul> <li>ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী লন্ডনে ভারতীয়দের এক সমাবেশে বলেন, তিনি বৃটেনকে তার প্রভাব বিস্তার করে বাংলাদেশ প্রশ্নের একটি রাজনৈতিক মিমাংসা ও উদ্বাস্তু সমস্যার একটি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টির অনুরোধ জানিয়েছেন। যুদ্ধ বাধুক ভারত তা কখনো চায় না। কিন্তু এ জন্য ভারত তার জাতীয় স্বার্থকে কখনো ক্ষুন্ন হতে দিতে পারে না। তিনি বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সংকটের দ্রুত একটি নিষ্পত্তি করতে হবে। সীমান্ত পরিস্থিতি দেখে মনে হতে পারে বাংলাদেশ থেকে দলে দলে লোক চলে আসার ফলে এটা হয়েছে কিন্তু বাংলাদেশ সমস্যা এর চেয়েও জটিল। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, জাতি চাইলে বেআইনী আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির প্রশ্নটি তিনি বিবেচনা করে দেখতে পারেন। তিনি বলেন, বর্তমানের বিস্ফোরণোন্মুখ পরিস্থিতিকে তিনি আর বিস্তৃত করতে চান না, তবে ভারত যদি পাকিস্তানের এলাকা দখলে দুস্কৃতকারীদের (মুক্তিযোদ্ধা) অস্ত্রশস্ত্র ও মদদ দান অব্যাহত রাখে এবং ক্রীড়নক বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায় তবে যুদ্ধ বাধবে। </li> </ul> <ul> <li>নুরুল আমিন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। সন্ধ্যায় তিনি বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের জানান, খসড়া শাসনতন্ত্রে পিডিপি-র ৮ দফা মেনিফেস্টো অন্তর্ভুক্ত করার দাবী তিনি প্রেসিডেন্টের কাছে জানাবেন। </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০১ নভেম্বর, ১৯৭১

০১ নভেম্বর, ১৯৭১ ২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী একদল পাকসেনাকে বেলছড়ি নামক স্থানে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকবাহিনীর ২ জন সৈন্য নিহত ও ৫ জন আহত হয়। মুক্তিবাহিনী যশোর জেলার নোয়াপাড়ায় পাকবাহিনীর একদল স…

Read more »