মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩১ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>৩১ জুলাই, ১৯৭১</b><br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>৪র্থ বেঙ্গলের ‘ডি’ কোম্পানীর যোদ্ধারা কসবার উত্তরে পাকসেনাদের গোসাই স্থান ঘাঁটি আক্রমণ করে। ২/৩ ঘন্টাব্যাপী যুদ্ধে পাকসেনাদের কয়েকটি বাঙ্কার ধ্বংস হয় ও অনেক সৈন্য হতাহত হয়। আক্রমণের প্রবল চাপে টিকতে না পেরে পাকসেনারা গোসাইস্থান পরিত্যাগ করে পিছনে পলায়ন করে। </li> </ul> <ul> <li>সকালে পাকবাহিনীর একটি কোম্পানী চৌদ্দগ্রাম থেকে এবং আরেকটি কোম্পানী জগন্নাথ দিঘী থেকে ট্রাঙ্করোড হয়ে মুক্তিবাহিনীর নানকারা এ্যামবুশ অবস্থানের দিকে অগ্রসর হয়। পাকসেনারা এ্যামবুশ অবস্থানের কাছাকাছি এলে মুক্তিযোদ্ধারা অতর্কিতে গুলি চালায়। এতে রাস্তার উত্তর ও দক্ষিণে মোট ২৬ জন পাকসৈন্য হতাহত হয়। সংঘর্ষের পর মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান পরিত্যাগ করে হরিশ্বরদার হাটের কাছে নতুন অবস্থান নেয়। </li> </ul> <ul> <li>জেড ফোর্সের মেজর মঈনুল হোসেন চৌধুরীর ব্যাটালিয়ানের ‘বি’ ও ‘ডি’ কোম্পানী যথাক্রমে ক্যাপ্টেন হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন মমতাজের নেতৃত্বে ময়মনসিংহ জেলার পাকবাহিনীর কামালপুর ঘাঁটি আক্রমণ করে। এতে পাকবাহিনী আর্টিলারী ও ভারী মর্টারের সাহায্যে পাল্টা আক্রমণ চালায়। এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর ৫৯ জন নিহত ও ৬০ জন আহত হয়। অপরদিকে মুক্তিবাহিনীর ‘ডি’ কোম্পানীর কমান্ডার ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন মমতাজ সহ ৩১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং ৬৫ জন যোদ্ধা আহত হয়। এই অভিযানে মুক্তিযোদ্ধারা পুরোপুরি সফলকাম না হলেও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এটি কামালপুরের যুদ্ধ হিসেবে খ্যাত। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনীর দুই কোম্পানী যোদ্ধা ব্রহ্মপুত্র নদীর পারে পাকবাহিনীর বাহাদুরাবাদ ঘাট অবস্থানের ওপর তুমুল আক্রমণ চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে একঘন্টা গুলি বিনিময় হয়। এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর গোলাবারুদ বোঝাই একটি বার্জ পানিতে ডুবে যায়এবং ১০০ জন পাকসেনা হতাহত হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধারা ব্রহ্মপুত্র নদ পার হয়ে ২ মাইল ভিতরে একটি চরে অবস্থান নেয়। </li> </ul> <ul> <li>জাতিসংঘের মহাসচিব উ‘থান্টের কাছে প্রেরিত বার্তায় বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র দফতর জানায়, দেশের জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে পাশ কাটিয়ে শরণার্থী সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অত্যাচারে পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আশ্রয়গ্রহণকারী শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৭১ লাখ ৩৩ হাজার ৪ জন। </li> </ul> <ul> <li>রাওয়ালপিন্ডিতে জনৈক সামরিক মুখপাত্র ঘোষণা করেন, পাকিস্তান সরকার শিগ্গির বেআইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের দেশদ্রোহিতামূলক কর্মকান্ডের ওপর একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে। </li> </ul> <ul> <li>গেরিলা আক্রমণের আশঙ্কায় সামরিক বাহিনী ঢাকা শহর ও শহরতলীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে। </li> </ul> <ul> <li>মৌলভীবাজারে মিসিরুল্লাহ, এনামুল্লাহ, জালালউদ্দিন প্রমুখ স্থানীয় দালালরা একত্র হয়ে এলাকার ৯ জন করে সদস্য নিয়ে ৩টি সাব কমিটি গঠন করে। কমিটির কাজ নির্ধারিত হয় শান্তি কমিটির বিস্তৃতি বাড়ানো এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ধ্বংস করতে বিভিন্ন এলাকায় দালালদের মধ্যে সমন্বয় ও উৎসাহ সৃষ্টি করা।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩১ জুলাই, ১৯৭১

৩১ জুলাই, ১৯৭১ ৪র্থ বেঙ্গলের ‘ডি’ কোম্পানীর যোদ্ধারা কসবার উত্তরে পাকসেনাদের গোসাই স্থান ঘাঁটি আক্রমণ করে। ২/৩ ঘন্টাব্যাপী যুদ্ধে পাকসেনাদের কয়েকটি বাঙ্কার ধ্বংস হয় ও অনেক সৈন্য হতাহত হয়। আক্রমণের প্…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩০ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>৩০ জুলাই, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিযোদ্ধা ইমামুজ্জামানের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর এক প্লাটুন যোদ্ধা চৌদ্দগ্রামের চার মাইল দক্ষিণে নানকরা নামক স্থানে পাকবাহিনীর ২৯তম বেলুচ রেজিমেন্টের ‘সি’ কোম্পানীর একটি জীপকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকবাহিনীর ৬ জন সৈন্য নিহত ও ড্রাইভার আহত অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে বন্দী হয়। মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের অনেক অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করে নিরাপদে ঘাঁটিতে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকার এক নম্বর সামরিক আদালত বিশিষ্ট চলচ্চিত্র শিল্পী (চিত্রনায়িকা) কবরী চৌধুরী ও কণ্ঠশিল্পী আব্দুল জব্বারকে ১৩ আগষ্টের মধ্যে এবং ছাত্রনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মহসীন মন্টু, কামরুল আনাম খান খসরু ও আব্দুল গণি মনুকে ১৬ আগষ্টের মধ্যে আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দেয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উপস্থিত না হলে তাঁদের অনুপস্থিতিতেই বিচার অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করা হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সামরিক আদালতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ১৩ জন তরুণকে আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দেয়। এরা হচ্ছেন মোহাম্মদ ইদ্রিস(চাঁদপুর), আব্দুল ওহাব(দাউদকান্দি), আব্দুর রহমান (বেগমগঞ্জ), ভুলু সেনবাগ), মুজিবুর রহমান (দেবীদ্বার), কালুগাজী, শফি, কাফী, সাদী, মান্নান, বারেক, খালেক ও শরাফত (সবাই ঢাকার রায়পুরার বাসিন্দা)। আদেশে নির্দিষ্ট সময়ে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার করা হবে বলে উল্লেখ্য করা হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেট রেজিস্টার ময়দানে ডঃ আবদুল মজিদের সভাপতিত্বে স্বাধীনতা বিরোধীদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন মওলানা আব্দুল লতিফ ফুলতলী, সাবেক মন্ত্রী আজমল আলী চৌধুরী। সভাশেষে রাজাকাররা কুচকাওয়াজ করে।</li> </ul> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩০ জুলাই, ১৯৭১

৩০ জুলাই, ১৯৭১ মুক্তিযোদ্ধা ইমামুজ্জামানের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর এক প্লাটুন যোদ্ধা চৌদ্দগ্রামের চার মাইল দক্ষিণে নানকরা নামক স্থানে পাকবাহিনীর ২৯তম বেলুচ রেজিমেন্টের ‘সি’ কোম্পানীর একটি জীপকে এ্যামব…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৯ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></div> <br /> ২৯ জুলাই, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: left;"> <ul style="text-align: justify;"> <li>১১নং সেক্টরের আফছার ব্যাটালিয়নের কোম্পানী কমান্ডার চাঁন মিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল পারুলদীয়া বাজারে পাকবাহিনীর গুপ্তচরদের এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকবাহিনীর ৩ জন সহযোগী নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুমিল্লায় লেঃ হেলাল মুর্শেদের নেতৃত্বে এক কোম্পানী যোদ্ধা পাকবাহিনীর মুকুন্দপুর-হরশপুর রেলস্টেশন ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকসেনাদের বেশ ক্ষতি হয়। আক্রমণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সুনামগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা ইপিআর আব্দুল হাই, জগৎজ্যোতি দাস ও মুজাহিদ মিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর তিনটি দল পাকবাহিনীর সাচনা ও জামালগঞ্জ ঘাঁটি আক্রমণ করে। মুক্তিবাহিনীর ত্রিমুখী আক্রমণে পাকসেনারা তাদের সাচনা ও জামালগঞ্জ ঘাঁটি পরিত্যাগ করে দুর্লভপুর অভিমুখে পলায়ন করে। মুক্তিবাহিনীর বীর যোদ্ধা সিরাজ সাচনা বাজার যুদ্ধক্ষেত্রে পাকবাহিনীর গুলিতে শহীদ হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং নয়াদিল্লীতে বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশ সমস্যা উত্থাপণ করার কোনো ইচ্ছা বর্তমানে ভারতের নেই। তিনি জানান, বাংলাদেশ সঙ্কট সম্পর্কে বিবেচনা করার উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব উ‘থান্ট নিরাপত্তা পরিষদের কোনো আনুষ্ঠানিক বা ঘরোয়া বৈঠক আহ্বানের পরামর্শ দেননি। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো করাচীর প্রেসিডেন্ট ভবনে ইয়াহিয়া খানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক প্রশাসক ও গভর্নর টিক্কা খান মুক্তিবাহিনীর মোকাবেলা করার জন্যে পাকিস্তানের আদর্শে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের প্রতি মুজাহিদ বাহিনী গড়ে তোলার আহ্বান জানান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জামায়াতে ইসলামীর প্রাদেশিক আমীর গোলাম আজম ভবিষ্যৎ বংশধরদের খাঁটি পাকিস্তানি করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পাঠ্যপুস্তক থেকে অবাঞ্ছিত অংশ বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণে লেঃ জেনারেল টিক্কা খানকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, জাতীয় আদর্শভিত্তিক নতুন সিলেবাস ভবিষ্যৎ নাগরিকদের খাঁটি মুসলিম হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়ক হবে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>যুগান্তর পত্রিকার রায়গঞ্জ সংবাদদাতার প্রতিবেদন : দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়,বোদা, তেতুলিয়া এবং দেবীগঞ্জ এখন বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর সম্পূর্ণ দখলে। এসব অঞ্চলের সরকারি ও বেসরকারি ভবনে বাংলাদেশের পতাকা উড়ছে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নিয়মিত কথিকামালা বিশ্বজনমত: </li> </ul> <div style="text-align: justify;"> <blockquote class="tr_bq"> <div> আমেরিকার বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক ‘নিউজ উইক’ পত্রিকার 'The Bengali's strike back' শীর্ষক নিবন্ধে বলা হয়, ‘ইয়াহিয়ার জন্যে দুঃখ হয়, কেননা তিনি যা দাবী করেছেন প্রকৃত ঘটনা তার সম্পূর্ণ বিপরীত। সমগ্র বাংলাদেশে মুক্তিবাহিনীর প্রতিরোধ অভিযান ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। এ অভিযান গোড়া থেকেই পরিচালিত হচ্ছে এবং উন্নত সমরসজ্জায় সজ্জিত পাকিস্তান সামরিক বাহিনী চরমভাবে ঘায়েল হচ্ছে।’ </div> </blockquote> <blockquote class="tr_bq"> <div> সম্প্রতি বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল সফরকারী নিউজউইক-এর সংবাদদাতা লোরেন জেনকিন্স এখানে মুক্তিবাহিনীর হাতে দু‘জন দালালের ‘লালরঙা চিঠি’ প্রাপ্তি ও কড়া সামরিক পাহাড়াধীন থেকেও শোচনীয় মৃত্যুর খবর জানান। </div> </blockquote> <blockquote class="tr_bq"> <div> ‘লন্ডন টাইমস’ পত্রিকার সংবাদদাতা মাইকেল হর্নসবি জানান, বাংলাদেশে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী অহরহ মুক্তিবাহিনীর গেরিলাদের দ্বারা আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের সকল শহরে বিশেষ করে ঢাকা শহরে গেরিলা বাহিনীর আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রতিহিংসাপরায়ণ পাকবাহিনী আশপাশের এলাকার বেসামরিক বাসিন্দাদের ওপর উৎপীড়ন করে থাকে।</div> </blockquote> </div>  তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৯ জুলাই, ১৯৭১

২৯ জুলাই, ১৯৭১ ১১নং সেক্টরের আফছার ব্যাটালিয়নের কোম্পানী কমান্ডার চাঁন মিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল পারুলদীয়া বাজারে পাকবাহিনীর গুপ্তচরদের এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকবাহিনীর ৩ জন সহযোগী নিহত হয়।…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৮ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div> <b><table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> </b></div> <div> <b>২৮ জুলাই, ১৯৭১</b></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>কুমিল্লায় পাকসেনাদের একটি শক্তিশালী দল বিজনা ব্রিজ পরিদর্শনে এলে মুক্তিবাহিনীর কামান গর্জে ওঠে। মুক্তিযোদ্ধাদের গুলির মুখে পাকসেনারা অবস্থান পরিত্যাগ করে কায়েম গ্রামের দিকে পলায়ন করে। এই অভিযানে পাকবাহিনীর ৩ জন সৈন্য নিহত ও ৭ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>হোমনা থানার সাঘুটিয়া লঞ্চঘাটে সুবেদার গিয়াসের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাকহানাদারদের একটি টহলদার লঞ্চকে এ্যামবুশ করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে একঘন্টা ব্যাপী প্রচন্ড সংঘর্ষ হয়। পরে পাকসেনারা লঞ্চ নিয়ে পলায়ন করে। এ সংঘর্ষে পাকবাহিনী বেশ ক্ষতির শিকার হয়। </li> </ul> <ul> <li>ক্যাপ্টেন হুদার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল ইছামতির তীরে পাকবাহিনীর উস্কা ঘাঁটির কাছে একটি খুঁটিতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করে চারপার্শ্বে এন্টি পারসনাল মাইন পুঁতে নিকটবর্তী ধানক্ষেতে ওৎপাতে। পাকবাহিনীর কয়েকজন সৈন্য পাশ দিয়ে যাবার সময় পতাকাটি দেখতে পেয়ে তেলে-বেগুনে জ¦লে ওঠে এবং পতাকাটি নামানোর জন্য অগ্রসর হয়। এতে প্রচন্ড বিস্ফোরণ ঘটে এবং পাকসেনাদের সবাই নিহত হয়।পরে ক্যাপ্টেন হুদা পাকসেনাদের পরিত্যক্ত অস্ত্র উদ্ধার করে দলের সবাইকে নিয়ে নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসেন। </li> </ul> <ul> <li>৬নং সেক্টরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী মুক্তিবাহিনীর সুবেদার হাফিজের কোম্পানীর প্রধানপাড়া, ডাঙ্গাপাড়া ও নুনিয়াপাড়া অবস্থানের ওপর আকস্মিক আক্রমণ চালায়। আক্রমণ শেষে পাকসেনারা চাওই নদীর তীরে তাদের মূল ঘাঁটিতে ফিরে যায়। পাকহানাদারদের এ আক্রমণে মুক্তিবাহিনীর বেশ ক্ষতি হয়। </li> </ul> <ul> <li>সিনেটর জে. ডাবলিউ. ফুলব্রাইট মার্কিন সিনেটে বলেন, যতদিন পর্যন্ত পাকিস্তানের উভয় অংশের মধ্যে একটি সন্তোষজনক রাজনৈতিক সমঝোতা হচ্ছে এবং ভারতে অবস্থানরত শরণার্থীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ গৃহীত না হবে ততোদিন পর্যন্ত পাকিস্তানে মার্কিন অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ রাখা উচিত। </li> </ul> <ul> <li>বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার অ্যালেক ডগলাস হিউম লন্ডনে বলেন, পাকিস্তানের পূর্ব অংশের জনসাধারণ যে ধরনের রাজনৈতিক সমাধানের ব্যাপারে উদগ্রীব তা একমাত্র পাকিস্তান সরকারই করেতে পারেন। </li> </ul> <ul> <li>তিনি বলেন, পাকিস্তানের সাহায্য পাঠানোর আগে পূর্ব পাকিস্তানে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাঠামোর প্রতিষ্ঠা অবশ্যই প্রয়োজন। </li> </ul> <ul> <li>সামরিক প্রশাসন দিনাজপুর জনসংযোগ বিভাগের মাধ্যমে ঘোষণা করে : যারা বাড়ি-ঘর ত্যাগ করেছে, তারা যদি আর একদিনের মধ্যে তাদের নিজ নিজ বাড়ীতে ফিরে না আসে তবে মালিকানা বাজেয়াপ্ত করা হবে। </li> </ul> <ul> <li>দিনাজপুরে সামরিক শাসক পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রত্যেহ রাত ১০টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা করে। এই সময়ের মধ্যে কাউকে ঘরের বাইরে কিংবা রাস্তায় পাওয়া গেলে গুলি করার হুমকি দেয়া হয়।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৮ জুলাই, ১৯৭১

২৮ জুলাই, ১৯৭১ কুমিল্লায় পাকসেনাদের একটি শক্তিশালী দল বিজনা ব্রিজ পরিদর্শনে এলে মুক্তিবাহিনীর কামান গর্জে ওঠে। মুক্তিযোদ্ধাদের গুলির মুখে পাকসেনারা অবস্থান পরিত্যাগ করে কায়েম গ্রামের দিকে পলায়ন করে। …

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৭ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> <b><table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> </b></div> <div style="text-align: justify;"> <b>২৭ জুলাই, ১৯৭১</b></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>ল্যান্সনায়েক মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে ললিতাবাড়ী থানার তন্তর ও মায়াঘাসিতে পাকিস্তানি সৈন্যের একটি টহলদার দলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে ১৬ জন পাকসেনা নিহত হয়। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা ল্যান্সনায়েক মেজবাহ উদ্দিন গুরুতর আহত হন। </li> </ul> <ul> <li>চট্টগ্রামে ক্যাপ্টেন মাহফুজের নেতৃত্বে এক প্লাটুন মুক্তিযোদ্ধা পাকবাহিনীর হিয়াকু ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই আক্রমণে ৪ জন পাকসেনা নিহত ও অনেকে আহত হয়। পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধদের ঘিরে ফেলার চেষ্টা চালালে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul> <li>সিলেটে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর ছোটলেখা চা বাগান ঘাঁটি আক্রমণ করে। পাকসেনারা পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। দু‘ঘন্টা যুদ্ধের পর পাকসেনারা অবস্থান ত্যাগ করে পালাতে শুরু করে। এ যুদ্ধে ৪ জন পাকসেনা গুরুতর আহত হয়। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন গুরুতর আহত হন। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনীর সিলেটের মনুনদী অবস্থানের ওপর পাকহায়েনার দল অতর্কিত আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে ৪ ঘন্টা যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে ২০ জন পাকসেনা নিহত হয়। অপরদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সোহবান বাবুল শহীদ হন। </li> </ul> <ul> <li>সুনামগঞ্জের বিরামপুরে মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে ৭ জন পাকসেনা নিহত ও অনেকে আহত হয়। অপরদিকে মুক্তিবাহিনীর একজন বীর মুক্তিসেনা শহীদ হন। </li> </ul> <ul> <li>সিনেটর প্রক্সমায়ার ও সিনেটর উইলিয়াম স্যাক্সবি মার্কিন সিনেটে বলেন, অবশ্যই বাংলাদেশের ট্র্র্যাজেডির অবসান হওয়া উচিত। গণহত্যা, তা যে ভ’খন্ডেই সংঘটিত হোক না কেন কখনোই সমর্থন পেতে পারে না। ধর্মীয় বিশ্বাসবোধের কারণে হাজার হাজার নরনারী-শিশু বর্বরতার শিকার হবে, তাদের ওপর ধ্বংসযজ্ঞ চলবে, কোনো সভ্য মানুষ তা মেনে নিতে পারে না। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের রায়ের প্রতিই কেবল বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেননি, লাখ লাখ অধিবাসীকে মাতৃভূমি ত্যাগে বাধ্য করেছেন। এসব হতভাগ্য মানুষের সামনে এখন অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। পূর্বপাকিস্তানে এখনো বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন চলছে। অধিকাংশ মানুষ সেখানে সন্ত্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। যে কোনো মূহুর্তে তাদের ওপর চরম ব্যবস্থা নেমে আসতে পারে বলে তারা মনে করছেন। মাতৃভ’মিকে মুক্ত করার জন্য ইতিমধ্যে হাজার হাজার তরুণ গেরিলা বাহিনীতে যোগ দিয়েছে। তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। পাকিস্তান সরকার এ মূহুর্তে প্রকৃত প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে সত্যিকার রাজনৈতিক মীমাংসার উদ্যোগ না নিলে কেবল পাকিস্তানে নয় গোটা অঞ্চলের ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পাড়ে। </li> </ul> <ul> <li>কুষ্টিয়ার ইউনাইটেড স্কুলে কুষ্টিয়ার মুজাহিদদের প্রথম দল আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেয়। কুষ্টিয়া জেলা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমদ ও আহমদ আলী মুজাহিদদের বাংলা ও উর্দুতে শপথ বাক্য পাঠ করান।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৭ জুলাই, ১৯৭১

২৭ জুলাই, ১৯৭১ ল্যান্সনায়েক মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে ললিতাবাড়ী থানার তন্তর ও মায়াঘাসিতে পাকিস্তানি সৈন্যের একটি টহলদার দলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে ১৬ জন পাকসেনা নিহত হ…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৬ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>২৬ জুলাই, ১৯৭১</b><br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী কুমিল্লার পাকবাহিনীর মনোরা সেতু অবস্থানের ওপর মর্টার ও মেশিনগানের সাহায্যে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের গোলাগুলিতে পাকসেনারা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে এবং মনোরা সেতু অবস্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। এ সংঘর্ষে ৪ জন পাকসেনা নিহত ও অনেকে আহত হয়। ক্যাপ্টেন আইনউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি এ্যামবুশ দল নওগাঁও এবং আকসিনার মাঝামাঝি রাস্তায় পাকসেনাদের একটি দলকে এ্যামবুশ করে। এতে ৭ জন পাকসেনা নিহত ও ৪ জন আহত হয়। অপরদিকে একজন মুক্তিযোদ্ধা গুরুতরভাবে আহত হন। এ্যামবুশ দল নিজ ঘাঁটিতে ফেরার পথে সাইদাবাদ থেকে কসবাগামী পাকবাহিনীর এক কোম্পানী সৈন্যকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ২১ জন পাকসেনা ও ১ জন দালাল নিহত এবং ৯ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী কুমিল্লার নরসিংহের কাছে ৭ জন পাকদালালকে এ্যামবুশ করে বন্দী করে। মুক্তিযোদ্ধারা দালালদের কাছ থেকে ২টি রাইফেল, ৪টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ১টি ওয়্যারলেস সেট এবং ১২০ রাউন্ড গুলি দখল করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভোর পাঁচটায় ঘাটাইল থানার কালিদাস পাড়ায় মুক্তিবাহিনী ও পাক দালালদের মধ্যে দু‘ঘন্টা ব্যাপী খন্ড যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে ১৯ জন রাজাকার নিহত ও ৭ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>নোয়াখালীতে সুবেদার ওয়ালীউল্লা নরিমপুর রেকি করতে এলে পাকদালালরা তাঁকে কৌশলে ঘিরে ফেলে ও বন্দী করে। তৎক্ষণাৎ ওয়ালী উল্লা পিস্তল দিয়ে একজন দালালকে গুলি করে দৌড়াতে থাকেন এবং শেষপর্যন্ত দালালদের কাছ থেকে জীবন বাঁচাতে সক্ষম হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জাতিসংঘ মহাসচিব উ‘থান্ট ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রদূতের সাথে দুই দেশের সীমান্তে অব্যাহত উত্তেজনা সম্পর্কে আলোচনার জন্য পৃথক পৃথক বৈঠকে মিলিত হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ন্যাপ প্রধান মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এক বিবৃতিতে বাম শক্তিসমূহকে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ নেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা বাম, ডান কিংবা মধ্য-যে পন্থীই হই না কেন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত মাতৃভ’মির স্বাধীনতা।’ তিনি আরো বলেন, ‘কিছু লোক সম্পূর্ণ ব্যাক্তি স্বার্থে আমাদের মধ্যে বিভেদের চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের সবাইকে এসব মীরজাফরদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।’</li> </ul> <div style="text-align: left;"> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৬ জুলাই, ১৯৭১

২৬ জুলাই, ১৯৭১ মুক্তিবাহিনী কুমিল্লার পাকবাহিনীর মনোরা সেতু অবস্থানের ওপর মর্টার ও মেশিনগানের সাহায্যে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের গোলাগুলিতে পাকসেনারা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে এবং মনোরা সেত…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৫ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> <b>২৫ জুলাই, ১৯৭১</b></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>ময়মনসিংহে মেজর আফছার উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর মল্লিকবাড়ি ঘাঁটির ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ১৬ জন সেনা নিহত ও কয়েকজন আহত হয়। আক্রমণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul> <li>কুমিল্লার ক্যাপ্টেন আইনউদ্দিনের নির্দেশে মুক্তিবাহিনীর একটি কমান্ডো কোম্পানীর ছাতুরার কাছে রাজাকার ক্যাম্পের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায় এই আক্রমণে ১৬ জন রাজাকার নিহত ও ৬ জন আহত হয়। এই এলাকার রাজাকাররা ভীত হয়ে সম্পূর্ণভাবে মুক্তিযোদ্ধারদের কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং মুক্তিবাহিনীর সাথে সহায়তা করার অঙ্গীকার করে। </li> </ul> <ul> <li>লেঃ হারুনের এ্যামবুশ দল কুমিল্লার নরসিংহের কাছে পাকসেনাদের ৬ জন দালালকে এ্যামবুশ করে এবং তাদেরকে বন্দী করে ঘাঁটিতে নিয়ে আসে। মুক্তিযোদ্ধরা দালালদের কাছ থেকে ১৪ পাউন্ড বিস্ফোরক ও তিনটি গ্রেনেড দখল করে। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল পুবাইলের কাছে পাকবাহিনীর একটি ট্রেন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেয়। ইঞ্জিনসহ তিনটি বগী লাইনচ্যুত হয় এবং আগুন লেগে ইঞ্জিন বিধ্বস্ত হয়। এতে ট্রেনের আরোহী ৩০/৩৫ জন পাকিস্তানি পুলিশ নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>প্রধান নির্বাচনী কমিশনার বিচারপতি আবদুস সাত্তার ইসলামাবাদ থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছান। </li> </ul> <ul> <li>‘খ’ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক ও গভর্নর লেঃ জেনারেল টিক্কা খান কুমিল্লায় বলেন, আমরা শান্তি চাই কিন্তু ভারত সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা জিইয়ে রেখেছে। </li> </ul> <ul> <li>তিনি বলেন, শান্তি রক্ষা ও দুষ্কৃতকারীদের (মুক্তিবাহিনী) নির্মূল করার কাজে জনসাধারণকে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যেই শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়েছে। </li> </ul> <ul> <li>মাওলানা মান্নান ও শর্ষিনার পীরের নেতৃত্বে জমিয়তুল মোরদার্রেছীন ও জমিয়তুর মাশায়েখের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল পশ্চিম পাকিস্তান সফর করেন। তারা উদ্বিগ্ন পশ্চিম পাকিস্তানিদের আশস্ত করে বলেন, ‘আমাদের সকল অনুসারীরা পাকিস্তানের সংহতি রক্ষার্থে বিদ্রোহীদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবে।’ </li> </ul> <ul> <li>মোবারক হোসেনের নেতৃত্বে ইসলামপুর ইউনিয়নের শান্তি কমিটির দালালরা মিলিত হয়। তারা প্রত্যেক ইউনিট থেকে ২৫ জন সদস্য নিয়ে রাজাকার বাহিনী গঠনের সীদ্ধান্ত নেয়। </li> </ul> <ul> <li>‘মুক্তিযুদ্ধ’ পত্রিকার সম্পাদকীয়তে বলা হয়ঃ ‘বাংলাদেশের হাজার হাজার ছাত্র যুবক মুক্তিবাহিনীতে যোগদানের উদ্দেশ্যে আগাইয়া আসিতেছে। তাহাদের ট্রেনিং-এর সুযোগ-সুবিধা আরো উন্নত ও সম্প্রসারিত করিতে হইবে এবং রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত কারণে কাহারো বিরুদ্ধে বৈষ্যম্যমূলক আচারণ করা চলিবে না।’</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৫ জুলাই, ১৯৭১

২৫ জুলাই, ১৯৭১ ময়মনসিংহে মেজর আফছার উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর মল্লিকবাড়ি ঘাঁটির ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ১৬ জন সেনা নিহত ও কয়েকজন আহত হয়। আক্রমণ শেষে মুক…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৪ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <b>২৪ জুলাই, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুমিল্লায় পাকহানাদার বাহিনী এক কোম্পানীর সৈন্য গোঙ্গজ পার হয়ে মুক্তিবাহিনীর কাটেশ্বর ঘাঁটিরদিকে অগ্রসর হলে মুক্তিবাহিনীর অগ্রবর্তী অবস্থানের যোদ্ধারা মর্টার ও হালকা মেশিন গানের সাহায্যে বাধা দেয়। দু‘ঘন্টা যুদ্ধের পর পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের গুলির মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। এ সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ১৫ জন সৈন্য হতাহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বিকেল পাঁচটায় ক্যাপ্টেন গাফফারের নেতৃত্বে এক প্লাটুন যোদ্ধা কুমিল্লায় ৫০/৬০ জন পাকসেনা ও স্থানীয় দালালদের নওগাঁও স্কুল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকসেনাদের ৩০ জন সৈন্য ও ৭ জন দালাল নিহত হয়। এতে সমাবেশ ভেঙ্গে যায় এবং পাকসেনারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বরিশালে পাকহানাদার বাহিনী দু‘টি গানবোটের সাহায্যে মুক্তিবাহিনীর সাতলা বাগদার পেয়ারা বাগান ঘাঁটি আক্রমণ করে। মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি এলাকা পাকসেনাদের কাছে নিহ্নিত হয়ে যাওয়ায় যোদ্ধারা ঘাঁটি ছেড়ে গৌরনদী থানার মহিলারা জমিদার বাড়িতে নতুন ঘাঁটি স্থাপন করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>যুগান্তর পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধি বাংলাদেশের কনিষ্ঠতম মুক্তিসেনা হোসেন জোযারদারের কথা লিখেন। তাঁর ভাষায়, ওর সাথে আরো প্রায় ৫০০ তরুন ট্রেনিং নিয়েছে। ওর চোখে ফ্রন্টের স্বপ্ন। গাছ ছাড়া অন্য কোন লক্ষ্যভেদ এখনো করেনি। এবার আসল লক্ষ্য শত্রুসেনা। হাতের টিপ ঠিক আছে-এবার ফ্রন্ট। ওর চোখে-মুখে উল্লাস। ও ফ্রন্টে যাবে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকার সামরিক কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেন, আগামীকাল (২৫ জুলাই) বে-আইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগ নেতা তাজউদ্দিন আহমদ, আবদুল মান্নান ও দি পিপল পত্রিকার সম্পাদক আবিদুর রহমানের সম্পত্তি প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করা হবে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন আরউইন ভারতে বাংলাদেশের শরণার্থী প্রসঙ্গে সিনেটের বিচার বিভাগীয় সাব-কমিটিতে বলেন, শরণার্থীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য পূর্ব-পাকিস্তান ভারত সীমান্তে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দল মোতায়েনের প্রস্তাবকে পাকিস্তান স্বাগত জানিয়েছে কিন্তু ভারত তা গ্রহণ করেনি। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঈশ্বরদী থানা শান্তি কমিটির আহবায়ক আরিফুদ্দিনের সভাপতিত্বে স্বাধীনতা বিরোধীদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাবেক মন্ত্রী ফকরুদ্দিন বলেন, ‘দুনিয়ায় এমন কোনো শক্তি নেই যা পাকিস্তানকে ধ্বংস করতে পারে।’ তিনি সবাইকে গ্রাম রক্ষীবাহিনীতে যোগ দিতে আহ্বান জানান। সভায় কাউন্সিল মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তান শাখার প্রচার সম্পাদক বলেন, ‘পাকিস্তান বিভক্ত করার চক্রান্তে লিপ্ত দৃষ্কৃতকারী দমনে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।’</li> </ul> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৪ জুলাই, ১৯৭১

২৪ জুলাই, ১৯৭১ কুমিল্লায় পাকহানাদার বাহিনী এক কোম্পানীর সৈন্য গোঙ্গজ পার হয়ে মুক্তিবাহিনীর কাটেশ্বর ঘাঁটিরদিকে অগ্রসর হলে মুক্তিবাহিনীর অগ্রবর্তী অবস্থানের যোদ্ধারা মর্টার ও হালকা মেশিন গানের সাহায্য…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৩ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div>  ২৩ জুলাই, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>লেঃ মাহবুবের নির্দেশে মুক্তিবাহিনীর ১৫ জনের একটি কমান্ডো প্লাটুন পাকসেনাদের মিয়া বাজার ক্যাম্পের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। একঘন্টা ব্যাপী যুৃদ্ধে ২০ জন পাকসেনা নিহত ও ১০ জন আহত হয়। সফল অভিযান শেষে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul> <li>কসবায় মুক্তিবাহিনীর একটি এ্যামবুশ দল কল্যাণ সাগরের কাছে পাকসেনাদের একটি বড় দলকে আক্রমণ করে। এই আক্রমণে ২০ জন পাকসেনা ও ১ জন দালাল নিহত হয়এবং ৮ জন আহত হয়। ২/৩ ঘন্টা যুদ্ধের পর পাকসেনারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান ত্যাগ করে নিজ ঘাঁটিতে চলে আসে। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনীর একটি গেরিলা দল কুড়িগ্রামে পাকবাহিনীর বড়খাতা ঘাঁটি আক্রমণ করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সিপাহী আনোয়ার হোসেন ইপিআর শহীদ হন। </li> </ul> <ul> <li>ডেমোক্র্যাট দলীয় সিনেটের স্টুয়ার্ট সিমিংটন মার্কিন সিনেটে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তানে অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ বন্ধ না করার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানে যে অস্ত্র প্রেরণ শুরু হয়েছে তা আইনসঙ্গত অধিকার বলেই বন্ধ করা যেত। কিন্তু প্রশাসন ইচ্ছা করেই সে সিদ্ধান্ত নেননি। </li> </ul> <ul> <li>মুসলিম লীগ নেতা কাজী কাদের বলেন, ‘পাকিস্তান চিরদিন অবিভাজ্য থাকবে, কোনো শক্তি নেই পাকিস্তানকে বিভক্ত করে। শেখ মুজিব পাকিস্তানকে বিভক্ত করতে চেয়েছিলো। তাই মুসলিম লীগ সব সময়ই আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করেছে। পাকিস্তানের মাটিতে শেখ মুজিবের ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি টিকবে না।’ </li> </ul> <ul> <li>স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নিয়মিত কথিকামালা বিশ্ব জনমতঃ </li> </ul> <blockquote class="tr_bq"> সিয়েয়া লিওনের ফ্রিটাউন থেকে প্রকাশিত ‘মেইল’ পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠা জুড়ে এক দীর্ঘ রিপোর্ট বের হয়। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ শরণার্থী সম্পর্কে লিখতে গিয়ে সংবাদদাতা সোম সোর্ট প্রশ্ন করেন: বাংলাদেশে যা ঘটেছে তার চেয়ে বেশী কিছু কি ঘটতে পারতো?</blockquote> </div> <blockquote> <div style="text-align: justify;"> তিনি লেখেন, বাংলাদেশে যে ভয়ঙ্কর একটা কিছু ঘটেছে এবং এখনও ঘটছে, তা বোঝার জন্য বা তা বিশ্বাস করার জন্যে এব চেয়ে বেশী প্রমাণের প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। </div> </blockquote> <blockquote> <div style="text-align: justify;"> বাংলাদেশের ঘটনাবলীর প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদদাতা সোম সোর্ট আরো লেখেন, পাকিস্তান সরকারের নীতি ও কার্যকলাপের পশ্চাতে যে একটা ভীষণ ষড়যন্ত্র বা ভয়াবহ একটা কিছু আছে তা আমি বুঝতে পেরেছি। পশ্চিম পাকিস্তানিদের বর্বরতা ক্রমে বেড়েই চলেছে, যুদ্ধ যতো দীর্ঘস্থায়ী হবে বাংলাদেশে ধ্বংস ও মৃত্যু ততো বেড়ে যাবে। পৃথিবীর সকল দেশের মানুষই তো এখন এখানকার ঘটনাবলীর অল্প বিস্তর জানতে পেরেছে কিন্তু তবু আমরা আমাদের নিজ নিজ দেশের সরকারকে পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টিতে বাধ্য করতে পারছি না কেন?- এই রক্তস্নানের কি কোন শেষ নেই? </div> </blockquote> <div> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৩ জুলাই, ১৯৭১

 ২৩ জুলাই, ১৯৭১ লেঃ মাহবুবের নির্দেশে মুক্তিবাহিনীর ১৫ জনের একটি কমান্ডো প্লাটুন পাকসেনাদের মিয়া বাজার ক্যাম্পের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। একঘন্টা ব্যাপী যুৃদ্ধে ২০ জন পাকসেনা নিহত ও ১০ জন আহত হয়। সফ…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২২ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> <b><table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> </b></div> <div style="text-align: justify;"> <b>২২ জুলাই, ১৯৭১</b></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার যেসব পরিকল্পনা নিয়েছে তার মূল লক্ষ্য দেশ উদ্ধার। সেদিন দূরে নয় যেদিন আমাদের প্রিয় মাতৃভ’মি সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত হবে।’ </li> </ul> <ul> <li>৭নং সেক্টরে নায়েব সুবেদার মবাছারুলের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল মীরগঞ্জ রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করে। এ আক্রমণে ৫ জন রাজাকার নিহত হয় এবং রাজাকারদের মীরগঞ্জের সাথে চরঘাটের টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। </li> </ul> <ul> <li>মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাথরঘাটার ৫/৬ মাইল পশ্চিমে বাশাইল থানার কাছে পাকহানাদারদের একটি টহলদার দলকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের সাহায্যে আক্রমণ করে। এ আক্রমণে ৪ জন পাকসেনা নিহত ও ১ জন আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা অনেক অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে এবং নিরাপদে নিজ অবস্থানে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul> <li>জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মিয়া মোহাম্মদ তোফায়েল করাচীতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সরকারের প্রতি এই মর্মে দাবি জানান, আওয়ামী লীগের যেসব সদস্য গোলযোগে অংশ নিয়েছিলেন, সেসব সদস্যের আসন বাতিল করে গত নির্বাচনে যারা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন সেসব আসনে তাদের নির্বাচিত বলে ঘোষণা করতে হবে। </li> </ul> <ul> <li>ঢাকায় পাকিস্তান সামরিক শাসক ১৫৭,১৫৮ এবং ১৫৯ নং সামরিক আদেশ জারি করে। এ আদেশে দালাল রাজাকারদের যে কোনো লোককে গ্রেফতার করার ক্ষমতা দেয়া হয়। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান ভাইস এডমিরাল মুজাফফর হাসান চট্টগ্রামে নৌসেনাদের উদ্দেশে বলেন, নৌবাহিনী আরো কার্যকর করার উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা নেয়া হবে। </li> </ul> <ul> <li>নোয়াখালীর কালিতারা বাজারে জেলা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট সায়েদুল হকের সভাপতিত্বে স্বাধীনতা বিরোধীদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা মুক্তিযোদ্ধা ও দুষ্কৃতকারীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্যে দৃঢ়তা প্রকাশ করেন।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২২ জুলাই, ১৯৭১

২২ জুলাই, ১৯৭১ বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার যেসব পরিকল্পনা নিয়েছে তার মূল লক্ষ্য দেশ উদ্ধার। সেদিন দূরে নয় যেদিন আমাদ…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২১ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ২১ জুলাই, ১৯৭১<br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>৪র্থ বেঙ্গলের ‘এ’ কোম্পানীর এক প্লাটুন যোদ্ধা পাকহানাদার বাহিনীর শালদা নদী অবস্থানে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে ৮ জন পাকসেনা নিহত ও ৭ জন আহত হয়। দেড়ঘন্টা যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান ত্যাগ করে নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে। মুক্তিবাহিনীর একটি এ্যামবুশ দল চাঁদপুর থেকে আশিকাটির দিকে আগত পাকবাহিনীর একটি টহলদার কনভয়কে মেশিনগানের সাহায্যে আক্রমণ চালায়। এতে কনভয়ের প্রথম তিনটি জীপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রাস্তা থেকে পড়ে যায় এবং অবশিষ্ট গাড়ীগুলোরও যথেষ্ট ক্ষতি সাধিত হয়। পাকসেনারা গাড়ী থেকে নেমে পাল্টা আক্রমণে চেষ্টা চালালে মুক্তিযোদ্ধাদের গুলির মুখে টিকতে না পেরে পালিয়ে যায়। এ অভিযানে ১০ জন পাকসেনা নিহত ও ২৫ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী আশিকর্টির ৩ মাইল পশ্চিমে পাকবাহিনীর একটি কনভয়কে এ্যামবুশ করে। এতে পাকসেনাদের ৩ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয় এবং একটি ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয। এ্যামবুশের খবর পেয়ে পাকবাহিনীর হাজীগঞ্জ ক্যাম্প থেকে একটি শক্তিশালী কোম্পানী ঘটনাস্থলে এলে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে ১২ জন পাকসেনা নিহত ও ১০ জন আহত হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান পরিত্যাগ করে নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী এম. মনসুর আলী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ প্রদান করেন। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সাহায্য সংস্থা পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক সাহায্য বন্ধ করায় তাদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আজ দু‘টি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র রাষ্ট্র। সুতরাং বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক সাহায্য চাওয়ার কোনো অধিকার ইসলামাবাদ সরকারের নেই। তিনি বলেন, একমাত্র সাড়ে সাত কোটি বাঙালির নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমেই বাংলাদেশে বৈদেশিক সাহায্য আসতে পারে। অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ইয়াহিয়া সরকারকে সাহায্য করার অর্থই হচ্ছে বাংলাদেশে গণহত্যায় সক্রিয় অংশ নেয়া। তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র সেহেতু ২৫ মার্চের পর থেকে বাংলাদেশের যাবতীয় খাজনা ও ট্যাক্স একমাত্র বাংলাদেশ সরকারেরই প্রাপ্য। কোনো বিদেশী সরকারের এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই।</li> </ul> </div> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ফাইনানসিয়াল টাইমসের সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ভারত যদি পূর্ব পাকিস্তানের যে কোনো অংশে আক্রমণ চালায় বা এর যে কোনো অংশ দখল করতে চেষ্টা করে তাহলে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে এবং সে পরিস্থিতিতে পাকিস্তান একা থাকবে না।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ইসলামী সেক্রেটারিয়েট মহাসচিব টুঙ্কু আবদুর রহমান পূর্ব পাকিস্তান সফরে ঢাকা আসেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা নবাবজাদা খান বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের অধিকাংশ জাতীয় পরিষদ সদস্য দেশ ত্যাগ করায় এই পরিষদের গুরুত্ব ও প্রয়োজন শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে জাতীয় পরিষদ আঞ্চলিক পরিষদে পরিণত হয়েছে।</li> </ul> <div style="text-align: left;"> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২১ জুলাই, ১৯৭১

২১ জুলাই, ১৯৭১ ৪র্থ বেঙ্গলের ‘এ’ কোম্পানীর এক প্লাটুন যোদ্ধা পাকহানাদার বাহিনীর শালদা নদী অবস্থানে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে ৮ জন পাকসেনা নিহত ও ৭ জন আহত হয়। দেড়ঘন্টা যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধার…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২০ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ২০ জুলাই, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং রাজ্যসভায় বক্তৃতাকালে বাংলাদেশের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রাত আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান সাড়ে ৭ কোটি মানুষের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নেতা। তিনি বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। একটি দেশের রাষ্ট্রপতি ও সরকার প্রধানের বিচার করার অধিকার অপর কোনো রাষ্ট্রের নেই। </li> </ul> <ul> <li>সকাল ৯টায় এক প্লাটুন মুক্তিযোদ্ধা পাকবাহিনীর ইয়াকুবপুর, চন্দ্রপুর ও ওবাগাবাড়ী অবস্থানের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। এতে ১৩ জন পাকসেনা নিহত ও ১০ জন আহত হয়। আক্রমণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজ অবস্থানে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul> <li>সকাল সাড়ে ১০টায় মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল কুমিল্লা শহরে পাকসেনাদের বিভিন্ন অবস্থানের ওপর মর্টার আক্রমণ চালায়। একটি গোলা আজাদ স্কুলে, একটি গোলা সাধনা ঔষাধালয়ের কাছে, একটি গোলা গোয়ালপট্টিতে, একটি গোলা কালীবাড়ীর কাছে ও একটি গোলা এস-ডি-ও অফিসের কাছে বিস্ফোরিত হয়। গোলাগুলি বিস্ফোরণে পাকসেনাদের মনোবল ভেঙ্গে যায় এবং ভীত সন্ত্রাস্ত হয়ে কুমিল্লা সেনানিবাসের দিকে ছুটাছুটি শুরু করে। </li> </ul> <ul> <li>বগুড়ায় মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর সার্কিট হাউস ক্যাম্পের ওপর বোমা হামলা চালায়। এতে একজন পাক প্রহরী নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>রাজশাহী শহরে মুক্তিবাহিনীর এ্যামবুশ দল পাকবাহিনীর একটি টহলদার দলকে ফুদকিপাড়ায় এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ৪ জন পাকসেনা নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>মেজর গিয়াসউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল লালপুর থানা রেইড করে। এতে ৭ জন অবাঙ্গালী পুলিশ নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>সিলেটে ক্যাপ্টেন হকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল পাকবাহিনীর দিলখুশা চা বাগান ঘাঁটি আক্রমণ করে। এ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের একজন পথ প্রদর্শক শহীদ হন এবং ক্যাপ্টেন হক ও মুক্তিযোদ্ধা বাবু আহত হন। </li> </ul> <ul> <li>লাহোরে পিপলস পার্টি প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো সাংবাদিকদের বলেন, পুর্ব পাকিস্তানে এখানে-সেখানে কিছু বিস্ফোরণ ঘটছে কিংবা সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি চলছে যা মোটেই সহনীয় নয়। কিন্তু তাই বলে পুরোপুরি স্বাভাবিকতা ক্ষমতা হস্তান্তরের পূর্ব শর্ত হতে পারে না। তাঁর দল ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য আর তিন মাস ধৈর্য ধরবে, এর বেশি নয়। </li> </ul> <ul> <li>কাউন্সিল মুসলিম লীগ সভাপতি মিয়া দৌলতানা বলেন, তাঁর দল পাকিস্তানের অস্তিত্বের বিনিময়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পক্ষপাতি নয়। তাঁর দল দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ব্যাপারে সরকারের যে কোনো পদক্ষেপকে স্বাগত জানাবে। </li> </ul> <ul> <li>ইসলামী সেক্রেটারিয়েটের মহাসচিব টুঙ্কু আবদুর রহমান প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সাথে ইসলামাবাদে সাক্ষাৎ করেন।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২০ জুলাই, ১৯৭১

২০ জুলাই, ১৯৭১ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং রাজ্যসভায় বক্তৃতাকালে বাংলাদেশের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রাত আহ্ব…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৯ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> ১৯ জুলাই, ১৯৭১<br /> <ul> <li>কুমিল্লায় মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল বাবুরহাটে পাকহানাদারদের একটি গাড়ীর ওপর গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এই আক্রমণে ৫ জন পাকসেনা নিহত ও ৭ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>সুবেদার মেজর লুৎফর রহমানের নির্দেশে সুবেদার ওয়ালীউল্লাহ, হাবিলদার মতিন ও শাহাবউদ্দিনের মুক্তিযোদ্ধা দল রাজাকারসহ হানাদার বাহিনীর এক কোম্পানী সৈন্যের মান্দারীবাজার ক্যাম্প আক্রমণ করে। এ যুদ্ধে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তানিদের পাঞ্জাব রেজিমেন্টের একটি কোম্পানী একজন মেজরের কমান্ডে করুইয়াবাজার অবস্থানে ভারতে গমনরত প্রায় দুইশত শরণার্থীকে আটকে রেখে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছিল। ক্যাপ্টেন মাহফুজের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল পাকহানাদারদের অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এই সময় ক্যাপ্টেন মাহফুজ শরণার্থীদের পালিয়ে আসতে বললে প্রায় দেড়শ শরণার্থী নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসে ও কিছু শরণার্থী গোলাগুলিতে নিহত হয়। এ যুদ্ধে পাকবাহিনীর ৩০ জন সৈন্য নিহত হয়। মুক্তিবাহিনী কোনো ক্ষতি স্বীকার না করে নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর ভালুকা থানার বাজার ঘাঁটি আক্রমণ করে। এ আক্রমণে হানাদারদের ঘাঁটি বিধ্বস্ত হয় এবং ২২ জন পাকসেনা নিহত ও ১১ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>ভারত সরকারের তথ্যানুযায়ী ভারতে বাংলাদেশের শরণার্থীদের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭০ লাখ ২১ হাজার ৪শ‘ ৯০ জন। </li> </ul> <ul> <li>কাউন্সিল মুসলিম লীগ প্রধান মিয়া মমতাজ মোহাম্মদ খান দৌলতানা রাওয়ালপিন্ডিতে বলেন, জাতীয় জীবনের এ সঙ্কটকালে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি দেশদ্রোহিতামূলক। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তান মুসলিম লীগের সভাপতি খান আবদুল কাইউম খান বলেন, দেশের রাজনৈতিক দল হিসেবে শুধুমাত্র পাকিস্তান মুসলিম লীগই প্রথম থেকে ৬ দফার বিরোধীতা করে এসেছে, ৬ দফাকে একটি ‘টাইম বোমা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। </li> </ul> <ul> <li>পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক এ.এন.এম. ইউসুফ নারায়ণগঞ্জে শান্তি কমিটি ও রাজাকারদের কর্মতৎপরতা দেখতে যান। তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জে রাজাকাররা দুষ্কৃতকারী (মুক্তিযোদ্ধা) দমনের জন্য কঠিন পরিশ্রম করছে এবং যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ট্রেনিং নিচ্ছে। </li> </ul> <ul> <li>মুসলিম লীগ সেক্রেটারী লুন্দখোর গাফফার খান ও ওয়ালী খানের বিদেশ যাওয়া বন্ধ করার দাবি জানায়। তিনি বলেন, ‘এসব লালকোর্তাধারীরা বিদেশে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালায়।’ </li> </ul> <ul> <li>ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে অনুষ্ঠিত ইসলামী ছাত্র সংঘের সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা শওকত ইমরান। সভায় মুক্তিযুদ্ধকে ‘ভারতীয় ব্রাহ্মণ্যবাদের ষড়যন্ত্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তা প্রতিহত করার নির্দেশ দেয়া হয়।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৯ জুলাই, ১৯৭১

১৯ জুলাই, ১৯৭১ কুমিল্লায় মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল বাবুরহাটে পাকহানাদারদের একটি গাড়ীর ওপর গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এই আক্রমণে ৫ জন পাকসেনা নিহত ও ৭ জন আহত হয়। সুবেদার মেজর লুৎফর রহমানের নির্দেশে সুবেদার ও…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৮ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>১৮ জুলাই, ১৯৭১</b><br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>পাকসেনাদের একটি দল শালদা নদী ঘাঁটি থেকে দক্ষিণদিকে মনোরা ব্রিজের দিকে অগ্রসর হলে ৪র্থ বেঙ্গলের ‘এ’ কোম্পানীর যোদ্ধারা মর্টার ও কামানের সাহায্যে আক্রমণ করে। ফলে পাকসেনাদের ৪ জন সৈন্য নিহত ও ১০ জন আহত হয়। পরে পাকসেনারা সামনে অগ্রসর না হয়ে পিছু হটে মনোরা ব্রিজের উত্তরে অবস্থান নেয়।</li> </ul> <ul> <li>ক্যাপ্টেন আইনউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি রেইডিংপার্টি কসবার উত্তরে কাসিমপুর সেতুর কাছে অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে ১৭ জন পাকসেনা নিহত হয় এবং যারা বেঁচে ছিল তারা অবস্থানটি পরিত্যাগ করে খাইরাতুল্লাতে পালিয়ে যায়।</li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনীর একটি গেরিলা দল গোসইরহাট থানার দামুদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পুলিশ ফাঁড়িটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয় এবং গেরিলা দল ৫টি রাইফেল, একটি ওয়্যারলেস সেট ও প্রচুর গোলাবারুদ দখল করে।</li> </ul> <ul> <li>কুমিল্লায় সুবেদার আবদুল ওহাবের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল নওগাঁ নামক জায়গায় পাক ডিফেন্সের ও-পি পোস্ট আক্রমণ করে। মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র আক্রমণে পাকবাহিনীর ২ জন অফিসার, ১ জন জেসিও ও ২ জন সিপাই নিহত হয় এবং ১ জন সিপাই আহত অবস্থায় ও-পি পোস্টের ওপর হতে নীচে পড়ে যায়।</li> </ul> <ul> <li>পাকবাহিনীর এক বিগ্রেড সৈন্য লেঃ কর্নেল হেলাল মুর্শেদের কোম্পানী ও ক্যাপ্টেন নাসিমের কোম্পানীর ওপর আক্রমণ চালায়।</li> </ul> <ul> <li>জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংক্রান্ত হাই কমিশনার প্রিন্স সদরুদ্দিন আগা খান জেনেভায় বলেন, ভারতে পূর্ব পাকিস্তানের শরণার্থীদের জন্য আরো বিপুল পরিমাণ সাহায্য প্রয়োজন। কিন্তু তাদের স্বেচ্ছায় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন হবে এ সমস্যার সর্বোৎকৃষ্ট সমাধান।</li> </ul> <ul> <li>নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেপলেন অসলোতে বলেন, নরওয়ে পূর্ব পাকিস্তানের ব্যাপারে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না এবং বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেবে না কারণ এতে ত্রাণ কাজে জটিলতার সৃষ্টি হবে।</li> </ul> <ul> <li>মানিকগঞ্জের ঘিওর থানার পাকহানাদাররা ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। তেরশ্রীর জমিদার সিদ্ধেশ্বর রায়প্রসাদ চৌধুরীকে হানাদাররা জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে।</li> </ul> <ul> <li>হামিদুল হক চৌধুরী ও মাহমুদ আলী নিউইয়র্কে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টকে ‘ভয়ঙ্কর অতিরঞ্জিত’ বলে অভিহিত করে বলেন, এ রিপোর্ট লোকমুখে শোনা কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে রচিত। তারা আরো বলেন, পূর্ব পাকিস্তানি হানাদারদের (মুক্তিবাহিনী) আশ্রয় দেয়ায় ভারতীয় নীতি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টির ইন্ধন হিসেবে কাজ করবে।</li> </ul> </div> <div> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৮ জুলাই, ১৯৭১

১৮ জুলাই, ১৯৭১ পাকসেনাদের একটি দল শালদা নদী ঘাঁটি থেকে দক্ষিণদিকে মনোরা ব্রিজের দিকে অগ্রসর হলে ৪র্থ বেঙ্গলের ‘এ’ কোম্পানীর যোদ্ধারা মর্টার ও কামানের সাহায্যে আক্রমণ করে। ফলে পাকসেনাদের ৪ জন সৈন্য নি…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৭ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>১৭ জুলাই, ১৯৭১</b><br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li> শালদা নদীর রেলওয়ে স্টেশনের এক হাজার দক্ষিণে মনোরা রেলওয়ে ব্রিজ পর্যন্ত পাকবাহিনীর সৈন্যরা অগ্রসর হয়ে ব্রিজের চতুর্দিকে বাঙ্কার তৈরীর প্রত্তুতি নেয়। এ সময় ৪র্থ বেঙ্গলের ‘এ’ কোম্পানীর একটি প্লাটুন মর্টারসহ পাকসেনাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে পাকসেনারা সম্পূর্ণভাবে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং অনেক পাকসৈন্য হতাহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিযোদ্ধাদের গুলির মুখে পাকসেনারা উপায়ান্তর না দেখে তাদের শালদা নদী ঘাঁটিতে ফিরে যায়। </li> </ul> <ul> <li>কুমিল্লা-চাঁদপুর রাস্তার আশীকাটি গ্রামের নিকট মুক্তিবাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা পাকবাহিনীর একটি কনভয়ের ওপর গ্রেনেড আক্রমণ চালায়। এই আকমণে ৮ জন পাকসেনা নিহত ও অনেক আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>নিয়মিত ও গণবাহিনীর একটি সম্মিলিত কোম্পানী হাজীগঞ্জের কাছে পাকবাহিনীর নরসিংপুর ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকহানাদার বাহিনীর ১৩ জন সৈন্য নিহত ও অনেক সৈন্য আহত হয়। আক্রমণ শেষে মুক্তিযোদ্ধা দল নিরাপদে নিজ অবস্থানে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul> <li>লেঃ হুমায়ুন কবিরের এক প্লাটুন যোদ্ধা একদল পাকসেনাকে লাটুমুড়া থেকে চন্দ্রপুর যাওয়ার পথে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকবাহিনীর ৪ জন নিহত ও একজন আহত হয় এবং বাকী সৈন্য প্রাণ বাঁচাতে লাটুমুড়ার দিকে পালিয়ে যায়। </li> </ul> <ul> <li>কুমিল্লা-দাউদকান্দি সড়কে পুটিয়া গ্রামের সামনে পাকবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন একটি ওয়াপদা ট্রাক হাবিলদার গিয়াসের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের পুঁতে রাখা এন্টি-ট্যাংক মাইনের ওপর বিস্ফোরিত হয়। ফলে ট্রাকটি ধ্বংস হয় এবং ট্রাকে অবস্থানরত একজন পাকসৈন্য, দু‘জন রাজাকার ও ড্রাইভারসহ সবাই নিহত হয়। পরে পাকসেনাদের আর একটি জীপ ও ট্রাক এন্টি-ট্যাংক মাইনের বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়। এতে ৫ জন পাকসৈন্য, ১ জন পাক মেজর ও ৬ জন রাজাকার নিহত হয়। এই সংবাদ পেয়ে কুমিল্লা থেকে পাকসেনারা ৩০টি গাড়ীতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। সামনের গাড়ী থেকে পাকসৈন্যরা নেমে আস্তে আস্তে ঘটনাস্থলের দিকে অগ্রসর হলে এন্টিপার্সোনাল মাইন বিস্ফোরণে ৬/৭ জন সৈন্য নিহত ও অনেক আহত হয়।</li> </ul> <ul> <li>রামগঞ্জের উত্তরে নরিমপুর হতে এক কোম্পানী পাক রেঞ্জার্স ও রাজাকার দল মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের দিকে অগ্রসর হলে হাবিলদার জাকির হোসেনের নেতৃত্বে এক প্লাটুন যোদ্ধা তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। কিছুক্ষন যুদ্ধের পর পাকসেনারা দু‘জন রাজাকারের লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।</li> </ul> <ul> <li>রাজশাহী জেলার শাহপাড়ে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর একটি টহলদার দলের ওপর আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে পাকবাহিনীর ২২ জন সৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>গফরগাঁও থানার দেইল পাড় গ্রামে মুক্তিবাহিনী ও পাকসেনাদের মধ্যে প্রচন্ড সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ১৭ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তানের ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান লেঃ জেনারেল এ.এম.কে. নিয়াজী টাঙ্গাইল শেরপুর ও হালুয়াঘাটের সেনাবাহিনীর ঘাঁটিসমূহ পরিদর্শন করে। শেরপুর ও হালুয়াঘাটে নিয়াজী রাজাকারের সশস্ত্র ট্রেনিং দেখেন এবং তাদেরকে সেনাবাহিনীর পাশে থেকে কাজ করার নির্দেশ দেন।</li> </ul> <ul> <li>মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক ও সামরিক সাহায্য বন্ধের সুপারিশ গৃহীত হয়।</li> </ul> </div> <div> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৭ জুলাই, ১৯৭১

১৭ জুলাই, ১৯৭১ শালদা নদীর রেলওয়ে স্টেশনের এক হাজার দক্ষিণে মনোরা রেলওয়ে ব্রিজ পর্যন্ত পাকবাহিনীর সৈন্যরা অগ্রসর হয়ে ব্রিজের চতুর্দিকে বাঙ্কার তৈরীর প্রত্তুতি নেয়। এ সময় ৪র্থ বেঙ্গলের ‘এ’ কোম্পানীর এ…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৬ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> <b>১৬ জুলাই, ১৯৭১</b></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যদের এক সমাবেশে বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে আমাদের স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হয়েছিল আর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের আরেকটি আম্রকাননে দাঁড়িয়ে আমরা বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। পরিষদ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা মনে রাখবেন আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা পরাজিত হবার জন্য রণক্ষেত্রে অস্ত্র ধারণ করেনি। আমাদের বীর সন্তানেরা জয়লাভ করার জন্যই অস্ত্র ধারণ করেছে। জয় আমাদের হবেই আপনারা জেনে রাখুন, যেখানে বিশ্বের জনমত আপনাদের পক্ষে সেখানে বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেবেই। আমাদের মহান বন্ধু প্রতিবেশী ভারত বর্ষ আমাদের ৬০/৭০ লাখ শরণার্থীকে কেবল আশ্রয়ই দেয়নি, আমাদের দাবির নায্যতাকে স্বীকার করে নিয়ে আমাদের সাহায্য করার জন্য স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছেন। সেজন্য ভারত সরকারের কাছে আমি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। </li> </ul> <ul> <li>বল্লাতে আটকে পড়া সৈন্যদের উদ্ধারের জন্য পাকবাহিনী ৫টি নৌকায় সৈন্য ও বিপুল অস্ত্রশস্ত্র বোঝাই করে অগ্রসর হলে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা চারান নামক স্থানে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। আকস্মিক আক্রমণে পাকসেনারা দিশেহারা হয়ে পড়ে। মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিতে পাকবাহিনীর তিনটি নৌকা বিধ্বস্ত হয়ে নদীতে ডুবে যায়। ফলে নৌকা তিনটির সকল পাকসৈন্য নিহত হয়। অপরদিকে, নদীর তীরে হেঁটে আসা পাকসেনারা পালাতে শুরু করলে বল্লায় অবস্থানরত পাকবাহিনী তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা মনে করে প্রচন্ড গুলি বর্ষণ ও মর্টারের শেলিং করে। এতে বহু সংখ্যক পাকসৈন্য নিহত হয়। বল্লার এই ঘটনায় পাকবাহিনীর মোট ৫১ জন সৈন্য নিহত ও বহুসংখ্যক আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>মুন্সিগঞ্জ মহকুমা শান্তি কমিটির সদস্য খলিলুদ্দিন শিকদার মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা অভিযানে নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল বারি ও ধান গবেষনা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডঃ আমিরুল ইসলামকে যথাক্রমে ঢাকা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত করা হয়। </li> </ul> <ul> <li>পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর গোলাম আজম রাজশাহীতে বলেন, পাকিস্তানের সংহতি রক্ষা করার জন্যই কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দেশ থেকে রাষ্ট্রবিরোধীদের নির্মূল করার জন্য এখন দেশপ্রেমিক জনসাধারণকে একত্রিত করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) নিজেদের শক্তি নেই, তারা হিন্দুস্থানের সাহায্যের ওপর নির্ভর করে স্বাধীন হতে চায়। হিন্দুস্তানী ফৌজ এদেশ দখল করলে তাদের অধীনতা থেকে স্বাধীনতা লাভ করা কিভাবে সম্ভব?</li> </ul> <ul> <li>মুসলিম লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির কার্যনির্বাহক কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার আখতার উদ্দিন আহমদ বরিশালে স্বাধীনতা বিরোধীদের সভায় নির্দেশ দেন কঠোর হাতে দুস্কৃতকারী মুক্তিযোদ্ধাদের দমন করার।</li> </ul> <ul> <li>স্বাধীনতা বিরোধীরা দেওভোগ আলমাস আলীর নেতৃত্বে ‘রক্ষিবাহিনী’ নামে একটি ঘাতক বাহিনী গঠন করে।</li> </ul> <ul> <li>রাজশাহীর গোগরা বিলে রাজাকার ও সশস্ত্র দালালরা মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দলের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। ঘাতকদের অমানুষিক নির্যাতনে দুইজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হককে আটক করে হানাদারদের হাতে তুলে দেয়।</li> </ul> </div> <div> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৬ জুলাই, ১৯৭১

১৬ জুলাই, ১৯৭১ জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যদের এক সমাবেশে বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে আমাদের স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হয়েছিল আর ১৯৭১ সালে বাং…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৫ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>১৫ জুলাই, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>কলকাতা ৮ নম্বর থিয়েটার রোডের অফিস ভবনে মুক্তিবাহিনীর সকল সেক্টর কমান্ডারগণ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। এই অনুষ্ঠানে সেক্টর কমান্ডারগণ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে শপথ গ্রহণ করেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ আওয়ামী লীগের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, সামরিক বিজয়ই বাংলাদেশ সমস্যার একমাত্র সমাধান। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় দেশকে শত্রুমুক্ত করা।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>আওয়ামী লীগের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যদের বৈঠকে মুক্তিবাহিনী নৌ ও বিমান শাখা গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে পরিষদের সদস্যরা বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবার শপথ গ্রহণ করেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেটের শাহবাজপুর এলাকায় মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের অবস্থানের ওপর এক গেরিলা অভিযান চালায়। এ অভিযানে পাকহানাদার বাহিনীর ১৩ জন সৈন্য নিহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বল্লার রণাঙ্গনে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনসহ ৬০ জন সৈন্যকে চারদিক থেকে ঘিরে সাঁড়াশি আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ৫১ জন সৈন্য নিহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জামায়াতে ইসলামীর অস্থায়ী আমীর মিয়া তোফায়েল কুষ্টিয়ায় এক সমাবেশে বলেন, এক ব্যক্তি এক ভোট নীতি প্রবর্তনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া চিরদিনের জন্য পাকিস্তানে বাঙালীদের প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছেন। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার দল আওয়ামী লীগ নিশ্চিত ক্ষমতা দখল করে দাবি প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে বাঙালীদের এক চিরস্থায়ী দুর্ভোগের মুখে ঠেলে দিয়েছেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ইসলামাবাদে জনৈক সরকারি মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তান সরকার কমনওয়েলথের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রশ্নটি বর্তমানে বিবেচনা করেছেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হামিদুল হক চৌধুরী ও পি.ডি.পি নেতা মাহমুদ আলী জাতিসংঘ মহাসচিব উ’থান্টের সাথে সাক্ষাৎ করেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের জনৈক মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তানে বিরাজিত পরিস্থিতি বিবেচনা করে উন্নয়ন পরিকল্পনার একটি নয়া তালিকা পেশ না করা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানে আর্থিক ও কারিগরি সাহায্য দান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে পূর্ব পাকিস্তানে মানবিক সাহায্য প্রেরণ অব্যাহত থাকবে। মুখপাত্র আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পাকিস্তানের সকল রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে একটি সন্তোষজনক রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন। অবশ্য পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত কোনো ফর্মুলার প্রস্তাব দেয়নি। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হামিদুল হক চৌধূরী ও পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির সহ-সভাপতি মহামুদ আলী ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট রবার্ট ম্যাকনামারার সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং পূর্ব পাকিস্তান সম্পর্কে বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্ট পুর্নবিবেচনা করার আবেদন জানান।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ডাঃ এ.এম. মালিককে তার বিশেষ সহকারী নিযুক্ত করেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কনভেনশন মুসলিম লীগের প্রাদেশিক কমিটির সভাপতি শামসুল হুদা ঢাকা সিটি কমিটি বাতিল করে এ. এইচ. মোহাম্মদ হোসেনকে প্রেসিডেন্ট ও নাসির উদ্দিনকে সেক্রেটারি করে নতুন কমিটি গঠন করেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুষ্টিয়া জেলা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান সাদ আহমদ রাজাকারদের দুস্কৃতকারীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য সর্বান্তঃকরণে চেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>তিনি জানান, রাজাকারা দুস্কৃতকারীদের (মুক্তিযোদ্ধা) উৎখাত ও জনসাধারণের মধ্যে মনোবল সুদৃঢ় করার কাজ করে যাচ্ছে। বিপুল সংখ্যক দেশপ্রেমিক রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিচ্ছে। রাজাকাররা ইতিমধ্যে বহু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে ও দুষ্কৃতকারী দমন করেছে।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৫ জুলাই, ১৯৭১

১৫ জুলাই, ১৯৭১ কলকাতা ৮ নম্বর থিয়েটার রোডের অফিস ভবনে মুক্তিবাহিনীর সকল সেক্টর কমান্ডারগণ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। এই অনুষ্ঠানে সেক্…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৪ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> <b>১৪ জুলাই, ১৯৭১</b></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>পাকবাহিনীর বেলাবো আক্রমণ প্রতিহত করার লক্ষ্যে সুবেদার বাশারের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল বেলাবোর নিকটবর্তী এলাকা টোকের কাছে এ্যামবুশ তৈরী করে। বিশ্বাসঘাতকদের সহযোগিতায় পাকহানাদার বাহিনী এ্যামবুশের কথা জানতে পারে। ফলে তারা লঞ্চে না এসে নৌকাযোগে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান অতিক্রম করে। পরে একটি খালি লঞ্চ এলে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাবাহিনী মনে করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের গুলি বর্ষণের সাথে সাথে পাকসেনারা পিছন দিক থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘিরে ফেলে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক ঘন্টা গুলি বিনিময় হয়। এই যুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার আবুল বাশার, সিপাহী আবদুল বারী, সিপাহী নূরুল ওহাব, সিপাহী সোহরাব হোসেন, সিপাহী মমতাজ উদ্দীন, সিপাহী আব্দুল হক ও সিপাহী আবদুস সালাম শহীদ হন। অবশেষে মুক্তিযোদ্ধারা পশ্চাদপসরণ করে।</li> </ul> <ul> <li>কুড়িগ্রামে মুক্তিবাহিনীর একদল গেরিলা পাকবাহিনীর বড়খাতা অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে পাকহানাদার বাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা সিপাহী মুহাম্মদ আলী বর্বরদের গুলিতে শহীদ হন।</li> </ul> <ul> <li>ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগজীবন রাম লোক সভায় বলেন, একটি জিনিস আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে, আর তা হলো মুক্তিফৌজের সাহসিকতার ফলে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ একদিন স্বাধীন হবেই।</li> </ul> <ul> <li>ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং লোকসভায় বলেন, পশ্চিম পাকিস্থানের শাসকচক্র বাংলাদেশের জনগণের ভাবাবেগের ওপর জঘন্য সামরিক হস্তক্ষেপের ফলে তার ঔপনিবেশিক চক্রান্তের মুখোশ খুলে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, ভারত সরকার মনে করেন বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে যারা পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করছেন তারা পক্ষান্তরে পাকিস্তানের সামরিক শাসকবর্গকে বাঙালী জনগণের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাবার উৎসাহ দিচ্ছেন। পাকিস্তানের সামরিক শাসকবর্গ বাংলাদেশের জনগণের ব্যাপারে অযথা হস্তক্ষেপ করছেন বলে সরকার মনে করছেন।</li> </ul> </div> <div> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৪ জুলাই, ১৯৭১

১৪ জুলাই, ১৯৭১ পাকবাহিনীর বেলাবো আক্রমণ প্রতিহত করার লক্ষ্যে সুবেদার বাশারের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল বেলাবোর নিকটবর্তী এলাকা টোকের কাছে এ্যামবুশ তৈরী করে। বিশ্বাসঘাতকদের সহযোগিতায় পাকহানাদার বাহিনী …

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৩ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>১৩ জুলাই, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>সন্ধ্যা ৬টায় ক্যাপ্টেন গাফফারের নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা মর্টারের সাহায্যে কুমিল্লার পাকবাহিনীর মন্দভাগ বাজার ও নাক্তেরবাজার অবস্থানের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>এই আক্রমণে পাকসেনাদের ১২ জন সৈন্য নিহত হয় ও কয়েকটি বাঙ্কার ধ্বংস হয়। পাকবাহিনী মুক্তিকবাহিনীর অবস্থানের ওপর কামানের সাহায্যে পাল্টা আক্রমণ চালালে মুক্তিবাহিনীর একজন নায়েব ও ৩ জন সেপাই আহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>রাত ১০ টায় ২নং সেক্টরে ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের নেতৃত্বে দুইদল মুক্তিযোদ্ধা পাকবাহিনীর দত্তসারদিঘী ও আমতলা অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে পাকহানাদার বাহিনীর ১৫ জন আহত ও কিছু সৈন্য নিহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>দাউদকান্দির উত্তরে গোমতী নদীতে মুক্তিবাহিনীর এ্যামবুশ দল পাকবাহিনীর একটি টহলদারি স্পীডবোটকে আক্রমণ করে। এই এ্যামবুশে একজন লেফটেন্যান্ট সহ ২১ জন পাকসেনা নিহত হয়। এ্যামবুশ দল প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুষ্টিয়ার ভারতীয় বাহিনীসহ মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর দর্শনা ক্যাম্প আক্রমণ করে। এই অভিযানে ১২/১৪ জন পাকসেনা নিহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ল্যান্সনায়েক মান্নানের নেতৃত্বে ১৩ জন যোদ্ধা ও স্থানীয় ২০০ জন মুক্তিযোদ্ধা যৌথভাবে ফুলবাড়িয়া থানার লক্ষ্মীপুর গ্রামে পাক আর্মির একটি টহলদার দলকে এ্যামবুশ করে । এই এ্যামবুশে মুক্তিযোদ্ধারা ৪৩টি রাইফেল, ৩টি এল-এম-জি, ১টি চীনা এল-এম-জি, ২টি চীনা রাইফেল ও ২টি এস-এম-জি দখল করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিযোদ্ধারা ফেনী-গুনবতী রেলপথে স্বরিসদি ব্রিজ পাহারারত সশস্ত্র দালালদের আক্রমণ করে। এতে কিছু দালাল নিহত হয় ও বাকীরা পালিয়ে যায়। পরে মুক্তিযোদ্ধারা ডিমোলিশন লাগিয়ে ব্রিজটি ধবংস করে দেয়। ফলে পাকসেনাদের ফেনী ও গুনবতীর মধ্যে রেল যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ক্যাপ্টেন হাফিজউদ্দিন আহমদের ব্যাটালিয়নের কমাডিং অফিসার হিসেবে মেজর মঈনুল হোসেন চৌধুরী নিযুক্ত হন এবং ক্যাপ্টেন হাফিজউদ্দিনের কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুৃট্টো করাচীতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, তিনি তেহরানে বলেছিলেন বে-আইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে নয়, যেসব সদস্য বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না তাদের সাথে সরকারের আলোচনা করা উচিত। তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান আলোচনার প্রথম থেকেই অবাস্তব মনোভাব পোষণ করে আসছিলেন। আলোচনায় শেখ মুজিবুর রহমান যখন জাতীয় পরিষদকে দু‘টো কমিটিতে বিভক্ত করার কথা বলেছিলেন তখনই বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন সুষ্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ জন্যই পরে সরকার আওয়ামী লীগ বেআইনী ঘোষণা করেন এবং শেখ সাহেবকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো বলেন, জাতীয় পরিষদ ঠিকই থাকবে। আওয়ামী লীগের যেসব সদস্য বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে যোগদান করেছেন কেবল তাঁরাই পরিষদের সদস্যপদ হারিয়েছেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কনভেনশন মুসলিম লীগ নেতা ও সাবেক প্রাদেশিক মন্ত্রী ফকরুদ্দিন আহমেদকে আহবায়ক ও এ.ই.বি. রেজাকে সেক্রেটারী করে ময়মনসিংহ শহরের নতুন বাজার শান্তি কমিটি গঠিত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার আ্যালেক ডগলাস হিউম পার্লামেন্টে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, পাকিস্তানের গোলযোগে নিহত লোকের সঠিক সংখ্যা নির্ণয়ে ভারত ও পাকিস্তান দূতাবাস ব্যর্থ হয়েছে।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৩ জুলাই, ১৯৭১

১৩ জুলাই, ১৯৭১ সন্ধ্যা ৬টায় ক্যাপ্টেন গাফফারের নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা মর্টারের সাহায্যে কুমিল্লার পাকবাহিনীর মন্দভাগ বাজার ও নাক্তেরবাজার অবস্থানের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকসেনাদের…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১২ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>১২ জুলাই, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুমিল্লায় ক্যাপ্টেন গাফফারের কোম্পানী ও ফাস্টফিল্ড রেজিমেন্ট পাকবাহিনীর মন্দভাগ বাজার ঘাঁটি আক্রমণ করে। মুক্তিযোদ্ধাদের অতর্কিত আক্রমণে অনেক বাঙ্কার ও ঘর ধ্বংস হয় এবং অন্তত ৬০/৭০ জন পাকসৈন্য হতাহত হয়। দু‘ঘন্টা যুদ্ধের পর মন্দভাগ বাজার ও প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে আসে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>রাত ৮ টায় পাকহানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীর শালদা নদী ঘাঁটি আক্রমণ করে। ৪র্থ বেঙ্গলের ‘এ’ কোম্পানীর মেজর সালেকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ চালালে পাকসেনারা পর্যুদস্ত হয়ে আক্রমণ পরিত্যাগ করে। এতে পাকবাহিনীর অনেক সৈন্য হতাহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>নারায়ণগঞ্জ ও দাউদকান্দি সড়কে বাউসিয়া সেতু এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের ডিমোলিশন পার্টির ওপর পাকবাহিনী ও রাজাকার দল অকস্মাৎ আক্রমণ চালায়। এতে ডিমোলিশন দলের ৩ জন গেরিলা গুরুতরভাবে আহত হয়। এ সংঘর্ষে ডিমোলিশন দল আহত গেরিলাদের সহ নিরাপদে মুরাদনগর ঘাঁটিতে ফিরে আসাতে সক্ষম হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেটে ময়না মিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল পাকবাহিনীর শাহবাজপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ২ জন সৈন্য নিহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পিপলস পার্টির জুলফিকার আলী ভুট্টো তেহরান থেকে কাবুল না গিয়ে আকস্মিকভাবে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জামায়াতে ইসলামীর আমীর মওলানা আবুল আলা মওদুদী এক বিবৃতিতে ভুট্টো উত্থাপিত পাকিস্তান সরকার কর্তৃক শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের মধ্যে আপোষ মীমাংসার পরামর্শকে 'রাজনৈতিক হঠকারিতা ও দুরভিসন্ধিমূলক' বলে অভিহিত করেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কনভেনশন মুসলিম লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী লাহোরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, পূর্ব-পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক, তবে ভারতের দালালরা সেখানে সক্রিয় রয়েছে। এদের হুমকি মোকাবেলা করার জন্য দেশপ্রেমিক নাগরিক আজ ঐক্যবদ্ধ।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জামায়াতে ইসলামীর আমীর মিয়া তোফায়েল ঢাকা শহরে জামায়াতের এককর্মী সমাবেশে বলেন, ২৫ মার্চের পূর্বে বাঙালীদের অধিকার আদায়ের নামে যে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালানো হয়েছিল তা ছিল পাকিস্তানকে ধ্বংস করার জন্যে দুশমনদের একটি সুসংগঠিত চক্রান্ত। তিনি বলেন, ‘দুশমনদের চক্রান্ত থেকে মহান সেনাবাহিনী দেশকে রক্ষা করছে। আমাদেরকেই এই অবস্থা ধরে রাখতে হবে।’</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"></ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১২ জুলাই, ১৯৭১

১২ জুলাই, ১৯৭১ কুমিল্লায় ক্যাপ্টেন গাফফারের কোম্পানী ও ফাস্টফিল্ড রেজিমেন্ট পাকবাহিনীর মন্দভাগ বাজার ঘাঁটি আক্রমণ করে। মুক্তিযোদ্ধাদের অতর্কিত আক্রমণে অনেক বাঙ্কার ও ঘর ধ্বংস হয় এবং অন্তত ৬০/৭০ জন পা…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১১ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>১১ জুলাই, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>কলকাতার ৮ নম্বর থিয়েটার রোডের অফিস ভবনে মুক্তিবাহিনীর সেক্টর কমান্ডারদের প্রথম সম্মেলন (১১-১৭ জুলাই) শুরু হয়। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ। অধিবেশনে মুক্তিযোদ্ধাদের নানা ধরনের সমস্যা ও সমন্বিত ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সকাল ১১ টায় মুক্তিবাহিনীর এ্যামবুশ দল পাকবাহিনীর একটি কোম্পানীকে মিয়াবাজারের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় এ্যামবুশ করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। ৪ ঘন্টাব্যাপী যুদ্ধে পাকবাহিনীর ১০/১৫ জন হতাহত হয়। পরে পাক হানাদাররা যুদ্ধক্ষেত্র পরিত্যাগ করে পিছু হটে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>লেঃ শামসুল আরেফিনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল পাইকগাছা থানার কপিলমুনির রাজাকার ঘাঁটি আক্রমণ করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ হয়। যুদ্ধ শেষে মুক্তিযোদ্ধা দল নিরাপদে বড়দল ঘাঁটিতে ফিরে আসে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সকাল ৮ টায় পাকবাহিনী ভারী কামান ও মর্টারের সাহায্যে মুক্তিবাহিনীর শালদা নদী অবস্থানের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। সমস্তদিন গোলাগুলির ফলে মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়। গোলাগুলিতে ৪র্থ বেঙ্গলের হাবিলদার তাজুল মিয়া ও সিপাই আব্দুর রাজ্জাক মারাত্মকভাবে আহত হয়। এছাড়াও ২ জন বেসামরিক লোক নিহত ও ৮ জন বেসামরিক লোক আহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বিকেল সাড়ে ৬ টায় মুক্তিবাহিনীর ২ জন গেরিলা চাঁদপুর পাওয়ার স্টেশনের সামনে পাহারারত ২ জন পাকসেনা ও ২ জন পাকপুলিশের ওপর গ্রেনেড ছোঁড়ে। এতে সবাই নিহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পূর্ব-পাকিস্তান রেডক্রসের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ.কে.এম. নূরুল ইসলাম জেনেভা সফর শেষে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সহকারী ডঃ হেনরি কিসিঞ্জার গোপনে চীন সফর শেষে পাকিস্তান প্রত্যাবর্তন করেন এবং প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সাথে একান্ত বৈঠকে মিলিত হন। পরে তিনি প্যারিসের পথে তেহরান রওনা হন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পশ্চিম পাকিস্তান পি.ডি.পি'র সভাপতি নওয়াবজাদা নসরুল্লাহ খান লাহোরে এক বিবৃতিতে বলেন, একটি ইরানী দৈনিকের সাথে সাক্ষাৎকারে পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো বে-আইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও তার নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে বর্তমান সরকারের একটি মীমাংসাভিত্তিক ফর্মুলার ব্যাপারে আলাপ আলোচনা করা উচিত বলে যে পরামর্শ দিয়েছিল তা দুঃখজনক। জনাব খান বলেন, বে-আইনী আওয়ামী লীগের সাথে পাকিস্তানের যেই আলোচনা করতে যাবেন তিনিই জাতীয় স্বার্থ বিরোধী কাজ করবেন।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১১ জুলাই, ১৯৭১

১১ জুলাই, ১৯৭১ কলকাতার ৮ নম্বর থিয়েটার রোডের অফিস ভবনে মুক্তিবাহিনীর সেক্টর কমান্ডারদের প্রথম সম্মেলন (১১-১৭ জুলাই) শুরু হয়। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ। অধি…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১০ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>১০ জুলাই, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>শালদা নদী এলাকায় মঈনপুর নামক স্থানে সুবেদার আব্দুল ওয়াহাবের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল পাকবাহিনীর সৈন্য বোঝাই একটি স্পীডবোটকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকিস্থানি সেনাবাহিনীর ২ জন লেঃ কর্নেল, ২ জন মেজর ৩ জন ক্যাপ্টেন, ১ জন নায়েব সুবেদার, ৩ জন সিপাই ও ১ জন অবাঙ্গালী ব্যবসায়ী নিহত হয়। ‘কুমিল্লার জল্লাদ’ হিসেবে পরিচিত ক্যাপ্টেন বোখারীও এই আক্রমণে নিহত হয়। এ্যামবুশ দল একটি ম্যাপ (শত্রুর অবস্থান চিহ্নিত), একটি ওয়ারলেস সেট ও কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে। পরে পাকবাহিনী এলাকায় ঘোষণা করে: যে লোক সুবেদার ওয়াহাবের মৃত লাশ নিয়ে আসবে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কৃত করা হবে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>শালদা নদীর কাছে মুক্তিবাহিনীর সাগরতলা অবস্থানের ওপর পাকহানাদার বাহিনী আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধারা মর্টার ও মেশিনগানের সাহায্যে পাল্টা আক্রমণ চালালে হানাদার বাহিনীর ৩০/৪০ জন সৈন্য হতাহত হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের গুলির মুখে পাকসেনারা ছত্রভঙ্গ হয়ে শালদা নদী অবস্থানে ফিরে যায়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় মুক্তিবাহিনীর একদল গেরিলা ধানমন্ডির ২ নং সড়কের মোড়ে পাকবাহিনীর একটি টহলদার পুলিশের গাড়ীর ওপর গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এত একজন অফিসারসহ ৫ জন পাকিস্তানি পুলিশ নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>নওগাঁয় মকাই চৌধুরীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল মধইল নামক স্থানে পাকবহিনীর ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এতে ৬ জন পাকসৈন্য নিহত হয় ও মুক্তিযোদ্ধারা কিছু হালকা অস্ত্র দখল করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>নয়াদিল্লীতে কানাডার পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে বাংলাদেশ ও শরণার্থী প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পূর্বাঞ্চলের পাকিস্তানি কমান্ডার লেঃ জেনারেল এ.এম.কে. নিয়াজী চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাক সেনাবাহিনীর অবস্থানসমূহ পরিদর্শন করেন। সেখানকার সামরিক কর্মকর্তা ও স্থানীয় শান্তি কমিটির দালালরা নিয়াজীকে আশ্বস্ত করে যে, চট্টগ্রামে দুস্কৃতকারীদের আক্রমণের সকল স্থল ও নৌপথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে দুস্কৃতকারীদের সম্পূর্ণরূপে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।</li> </ul> <div style="text-align: left;"> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১০ জুলাই, ১৯৭১

১০ জুলাই, ১৯৭১ শালদা নদী এলাকায় মঈনপুর নামক স্থানে সুবেদার আব্দুল ওয়াহাবের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল পাকবাহিনীর সৈন্য বোঝাই একটি স্পীডবোটকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকিস্থানি সেনাবাহিনীর ২ জন লেঃ …

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৯ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ০৯ জুলাই, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকবাহিনীর এক প্লাটুন সৈন্য শালদা নদী থেকে নায়নপুর যাবার পথে মেজর সালেকের ৫ সদস্যের ডিমোলিশন পার্টির পুতে রাখা এন্টিপার্সোনাল মাইনের ওপর পড়ে যায়। মাইন বিস্ফোরণে ১০ জন পাকসেনা নিহত এবং আরো অনেকে আহত হয়। পাকসেনারা বিপর্যস্ত হয়ে শালদা নদী ঘাঁটিতে ফিরে যায়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সন্ধ্যায় মেজর সালেকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল পাকবাহিনীর শালদা নদী অবস্থানের ওপর কামান ও মর্টারের সাহায্যে প্রচন্ড গোলাবর্ষণ করে। প্রায় আধঘন্টাব্যাপী গোলাবর্ষণে পাকবাহিনীর ১৯ জন সৈন্য নিহত ও ১১ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুমিল্লায় মুক্তিবাহিনীর কটেশ্বর অবস্থানের ওপর পাকবাহিনীর দুই কোম্পানী সৈন্য হামলা চালায়। পরে আরো দুই কোম্পানী সৈন্য পাকসেনাদের শক্তিবৃদ্ধি করে। ৩/৪ ঘন্টা যুদ্ধের পর পাকসেনাদের আক্রমণ ব্যাহত হয় এবং তারা পিছু হটে। এই যুদ্ধে পাকসেনাদের ২৪/২৫ জন সৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>চতুর্থ বেঙ্গলের ‘বি’ কোম্পানীর এক প্লাটুন যোদ্ধা একটি ট্রাক ও দু‘টি জীপ বোঝাই পাকসেনাদের চৌদ্দ গ্রামের বালুজুরি ভাঙ্গাপুলের কাছে আক্রমণ চালায়। ৩/৪ ঘন্টাব্যাপী প্রচন্ড সম্মুখযুদ্ধে পাকবাহিনীর ৩০ জন সৈন্য নিহত ও ৬ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সহকারী ডঃ হেনরি কিসিঞ্জার উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চীপ অব স্টাফ জেনারেল আব্দুল হামিদ খানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। মধ্যরাতে ডঃ কিসিঞ্জার গোপনে পিকিং যাত্রা করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>নেজামে ইসলামের যুগ্ম-সম্পাদক মওলানা আবদুল মতিন ও দলের পার্লামেন্টারি বোর্ডের সভাপতি সৈয়দ মঞ্জুরুল আহসান এক যুক্ত বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার ভাষনকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে কোনো রকম আপোষ হতে পারে না। পাকিস্তান স্থায়ী হবার জন্যই প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। তারা আশা প্রকাশ করেন, পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার জন্য যথাবিহিত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারা এ উদ্দেশে গৃহীত প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন ও সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকা জেলার ফুলপুর থানার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৬৫০ জন রাজাকার ট্রেনিং শেষ করে। ট্রেনিং সমাপনী অনুষ্ঠানে ১৬০ জন দক্ষ রাজাকারের মধ্যে সার্টিফিকেট ও পুরস্কার দেয়া হয়।</li> </ul> <div style="text-align: left;"> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৯ জুলাই, ১৯৭১

০৯ জুলাই, ১৯৭১ পাকবাহিনীর এক প্লাটুন সৈন্য শালদা নদী থেকে নায়নপুর যাবার পথে মেজর সালেকের ৫ সদস্যের ডিমোলিশন পার্টির পুতে রাখা এন্টিপার্সোনাল মাইনের ওপর পড়ে যায়। মাইন বিস্ফোরণে ১০ জন পাকসেনা নিহত এবং …

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৮ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>০৮ জুলাই, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেটে ডাউকি ক্যাম্প থেকে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর জৈন্তাপুর অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। এই অতর্কিত আক্রমণে বহু পাকসেনা নিহত হয়। অপরদিকে, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর মুত্তালিব আহত হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেটের মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর শাহবাজপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘাঁটি আক্রমণ করে। এতে ৭ জন পাকসেনা হতাহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সান্ধ্যভোজে ধানমন্ডির ‘সাংহাই’ চাইনিজ রেস্টুরেন্টে আগত পাকিস্তানি অফিসারদের ওপর মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল গ্রেনেড ছোঁড়ে। ফলে ২/৩ জন পাকিস্তানি অফিসার নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মেজর গাফফার বেলুনিয়া থেকে ফিরে এসে কোনাবনে পুনরায় তার বাহিনীর সদরদপ্তর স্থাপন করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকবাহিনীর সাথে দু‘দিনব্যাপী প্রচন্ড যুদ্ধের পর মুক্তিবাহিনী দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুমা শহর দখল করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>আকাশবানীর খবওে বলা হয়ঃ মুক্তিবাহিনী প্রচন্ড আক্রমণ চালিয়ে ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলার তিনটি থানা হানাদার মুক্ত করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেট, কুমিল্লা, ফেনী, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ প্রভৃতি রণাঙ্গনে মুক্তিবাহিনীর তৎপরতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সর্বত্রই ইয়াহিয়া খানের দস্যুবাহিনী নাস্তানাবুদ হচ্ছে। বিপুল সংখ্যক পাকসেনা নিহত হয়েছে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সকালে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর নবীনগর অবস্থানের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৭ জন পাকসেনা ও ৫ জন দালাল নিহত হয়। অপরদিকে একজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সহকারী ডঃ হেনরি কিসিঞ্জার সকালে নয়াদিল্লী থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে আসেন। সন্ধ্যায় তিনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সাথে একান্ত বৈঠকে মিলিত হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান শান্তি ও জনকল্যান কাউন্সিলের সভাপতি মৌলভী ফরিদ আহমদ পাকিস্তান সরকারের বিশেষ দূত হিসেবে মিসর ও সৌদী আরব সফর শেষে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করে এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি দেশের বর্তমান গুরুতর সঙ্কটের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে ঘোষণা করা হয়ঃ মার্কিন সরকারের বিধিনিষেধ আরোপ সত্ত্বেও মার্কিন সামরিক সাজসরঞ্জাম পাকিস্তানে প্রেরিত হবে। এর মুল্য এক থেকে দেড় কোটি ডলার। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সাবেক এম.এন.এ. এবং পাকিস্তান জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলামের ওয়াকিং প্রেসিডেন্ট আতাহার আলী জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে পাকিস্তানের ঐক্য ও সংহতি রক্ষা করার জন্য আরো উদ্যমের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।</li> </ul> <div style="text-align: left;"> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৮ জুলাই, ১৯৭১

০৮ জুলাই, ১৯৭১ সিলেটে ডাউকি ক্যাম্প থেকে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর জৈন্তাপুর অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। এই অতর্কিত আক্রমণে বহু পাকসেনা নিহত হয়। অপরদিকে, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর মুত্তালিব আহত হন। সিলে…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৭ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>০৭ জুলাই, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>প্রথম ইস্ট বেঙ্গল, তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল, অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল এই তিনটি নিয়মিত পদাতিক বাহিনীর সমন্বয়ে মুক্তিবাহিনীর প্রথম ব্রিগেড ‘জেড ফোর্স’ গঠিত হয়। মেজর জিয়াউর রহমানের নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে এই ব্রিগেডের নামকরণ করা হয় ‘জেড ফোর্স’। ‘জেড ফোর্স’-এর ব্রিগেড কমান্ডের দায়িত্ব মেজর জিয়াউর রহমানকে ও ব্রিগেড মেজর - এর দায়িত্ব ক্যাপ্টেন অলি আহমদকে প্রদান করা হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেটে একদল মুক্তিযোদ্ধা পাকবাহিনীর বারইগ্রাম স্কুল ঘাঁটি আক্রমণ করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচন্ড গোলা বিনিময় হয়। এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর ৩ জন সৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেটের তেলিয়াপাড়া চা বাগান এলাকায় মুক্তিবাহিনীর ও পাকবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৩৯ জন সৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সহকারী ডঃ হেনরি কিসিঞ্জার নয়াদিল্লীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণ সিং-এর সাথে পৃথক পৃথক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিনেটর ফ্রাঙ্ক চার্চ মার্কিন সিনেটে নিক্সন প্রশাসনের সমালোচনা করে অবিলম্বে পাকিস্তানে প্রেরিত অস্ত্রবাহী জাহাজ ফেরৎ আনার জন্য আহ্বান জানান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পশ্চিম পাকিস্তান পি.ডি.পি-র সভাপতি নওয়াবজাদা নসরুল্লাহ খান লাহোরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে যতো শিগগির সম্ভব আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার অনুষ্ঠানের দাবি জানান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জাতীয় যুব কাউন্সিলের সভাপতি ও ঢাকা হাইকোর্টের এডভোকেট মাহবুবুর রহমান এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের অখন্ডতা বিনষ্টের জঘন্য চক্রান্তের বিরুদ্ধে দৃঢ় ও সাহসিকতাপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পাকিস্তান সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রয়োজনে বৃটেনের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহবান জানান। তিনি দেশপ্রেমিক ও স্বাধীনতাপ্রিয় নাগরিকদের প্রতি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের (মুক্তিযোদ্ধা) বিরুদ্ধে সাহসিকতাপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বেগম আখতার সোলায়মান বিবিসি-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইয়াহিয়ার প্রশংসা করে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে সত্যিই খুব আন্তরিক।’ </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সাভারের বিরলিয়া গ্রামে মোঃ এখলাস মিয়ার নেতৃত্বে ‘গ্রামরক্ষী দল’ গঠিত হয়।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৭ জুলাই, ১৯৭১

০৭ জুলাই, ১৯৭১ প্রথম ইস্ট বেঙ্গল, তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল, অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল এই তিনটি নিয়মিত পদাতিক বাহিনীর সমন্বয়ে মুক্তিবাহিনীর প্রথম ব্রিগেড ‘জেড ফোর্স’ গঠিত হয়। মেজর জিয়াউর রহমানের নামের প্রথম অক্ষর দি…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৬ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> <b>০৬ জুলাই, ১৯৭১</b></div> <ul style="text-align: justify;"> <li>দাউদকান্দি থানার মাসিমপুর বাজারের আধমাইল পশ্চিমে জয়পুর গ্রামে গোমতীর শাখানদীর পারে হাবিলদার গিয়াসের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল দাউদকান্দি থেকে আগত পাকসেনাবাহী দুটি লঞ্চকে এ্যামবুশ করে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে তুমুল গোলা বিনিময় হয়। এই সংঘর্ষে ২০/২৫ জন পাকসেনা নিহত হয় এবং পাকবাহিনী পিছু হটে দাউদকান্দি ফিরে যায়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুমিল্লার পাকবাহিনীর এক ব্যাঠালিয়ন সৈন্য মন্দভাগ বাজার থেকে শালদা নদী এনক্লেভ-এর দিকে অগ্রসর হলে ২নং সেক্টরের ‘এ’ ও ‘সি’ কোম্পানী যথাক্রমে মেজর সালেক এবং ক্যাপ্টেন গাফফরের নেতৃত্বে প্রচন্ড বাধা দেয়। এতে পাকসেনারা কামানের সাহায্যে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের ওপর এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে তীব্র গোলাবর্ষণ করে। এই গোলাবর্ষণে ১১ জন মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়। এবং ৩২ জন বেসামরিক লোক হতাহত হয়। প্রচন্ড গোলাবিনিময়ের পর পাকসেনারা পিছু হটে মন্দভাগ বাজারে অবস্থান নিতে বাধ্য হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুমিল্লার-চাঁদপুর রাস্তায় হবিগঞ্জের নিকট রামচন্দ্রপুর ফেরীঘাটে পাকবাহিনীর একদল সৈন্যকে মুক্তিবাহিনীর একটি কোম্পানী আক্রমণ চালায়। প্রায় একঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে ৪ জন পাকসেনা নিহত হয়। পরে চাঁদপুর থেকে দু‘কোম্পানী সৈন্য পাকসেনাদের সাহায্য করতে এলে মুক্তিযোদ্দাদের সাথে তুমুল যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে পাকসেনারা পুরো ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং ৩১ জন পাকসৈন্য নিহত ও ৫৪ জন আহত হয়। অপরদিকে দুইজন মুক্তিযোদ্ধা গুরুতরভাবে আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিযোদ্ধারা সিলেটের দিরাই থানা আক্রমণ করে। এতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও একজন দালাল নিহত হয়। থানা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার বিশেষ দূত হিসেবে পিপলস পার্টির প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো ইরান ও আফগানিস্থান সফরের প্রথম পর্যায়ে তেহরানের উদ্দেশ্যে করাচী ত্যাগ করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লে. জেনারেল এ.এম. কে. নিয়াজি সিলেট এলাকার সীমান্ত ঘাঁটিসমূহ পরিদর্শন করেন এবং জোয়ানদের মনোবল অটুট রাখার পরামর্শ দেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেটে শান্তি কমিটির নেতা মকবুল আলী চৌধুরী, শাহাবুদ্দিনসহ ৫ সদসস্যে একটি দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান নূরুল আমিনের সঙ্গে দেখা করে কর্ম পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>শায়খে জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জ শাখার প্রাক্তন সদস্য সচিব মওলানা আতাহার আলী, পাকিস্তানের অখন্ডতারক্ষায় ‘মুজাহিদ বাহিনী’-তে সকল মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষক ও পাকিস্তানের আদর্শে বিশ্বাসী ইসলাম প্রিয় যুবকদের যোগ দেয়া অবশ্য কর্তব্য বলে জানান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সাবেক ডেপুটি স্পীকার এ.টি.এম. আব্দুল মতিন ইয়াহিয়াকে সত্যিকার ‘গণতন্ত্রী’ আখ্যায়িত করে বলেন, পাকিস্তানের অখন্ডতা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রেসিডেন্টের আন্তরিকতায় তিনি মুগ্ধ হয়েছেন।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৬ জুলাই, ১৯৭১

০৬ জুলাই, ১৯৭১ দাউদকান্দি থানার মাসিমপুর বাজারের আধমাইল পশ্চিমে জয়পুর গ্রামে গোমতীর শাখানদীর পারে হাবিলদার গিয়াসের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল দাউদকান্দি থেকে আগত পাকসেনাবাহী দুটি লঞ্চকে এ্যামবুশ করে। এত…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৫ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>০৫ জুলাই, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>ইপিআর ল্যান্সনায়েক আব্দুল মান্নান এবং আফসার উদ্দিন আহমদ-এর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল ভালুকা থানার ভাউলিয়া পাক ঘাঁটি আক্রমণ করে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই যুদ্ধে পাকবাহিনী পর্যুদস্ত হয় ও ৬০ জন পাকসেনা নিহত হয়। অপরদিকে ১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। মুক্তিযোদ্ধারা প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সুনামগঞ্জের মুক্তিবাহিনীর সাথে পাকবাহিনীর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ২ জন পাকসৈন্য ও ১ জন আনসার মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বন্দী হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত কৃষিমন্ত্রী ফখরুদ্দিন আলী আহমদ সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর শেষে কায়রোয়া পৌঁছান এবং প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদতের সাথে আলোচনা করেন। তিনি শরণার্থী সমস্যা সম্পর্কে ভারত সরকারের মনোভাব ব্যাখ্যা করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো করাচীতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, দেশের বর্তমান সঙ্কট অতিক্রমের জন্য এখন প্রয়োজন জনপ্রিয় নেতৃত্ব ও সত্যিকার রাজনৈতিক পদক্ষেপ। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পূর্ব-পাকিস্তানের গভর্নর ও সামরিক প্রশাসক লেঃ জেনারেল টিক্কাখান রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও নাটোরস্থ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ব্যারাকসমূহ পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় শান্তি কমিটির সদস্যদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পশ্চিম জার্মান পার্লামেন্টের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল করাচী থেকে ঢাকা আসেন। সন্ধ্যায় তাঁরা জেনারেল টিক্কা খানের সাথে সাক্ষাৎ করেন।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৫ জুলাই, ১৯৭১

০৫ জুলাই, ১৯৭১ ইপিআর ল্যান্সনায়েক আব্দুল মান্নান এবং আফসার উদ্দিন আহমদ-এর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল ভালুকা থানার ভাউলিয়া পাক ঘাঁটি আক্রমণ করে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই যুদ্ধে পাকবাহিনী…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৪ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>০৪ জুলাই, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকবাহিনীর দুই কোম্পানী সৈন্য ফেনী থেকে বেলুনিয়া যাওয়ার পথে শালদা বাজারে সাময়িক অবস্থান নেয়। এ সময় ক্যাপ্টেন জাফল ইমামের এক প্লাটুন যোদ্ধা ৩ ইঞ্চি মর্টারসহ পাকসেনাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ৩০ জন সৈন্য নিহত ও ২০ জন সৈন্য আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকবাহিনীর একদল সৈন্য মুক্তিবাহিনীর কুমিল্লার কোটেশ্বর ঘাঁটির সম্মুখবর্তী হলে মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক আক্রমণ চালায়। ২/৩ ঘন্টা যুদ্ধের পর পাকসেনারা ৫০০/৬০০ গজ পিছু হটে সারিপুরের দিক থেকে আবার অগ্রসর হবার চেষ্টা চালায়। এতেও মুক্তিযোদ্ধাদের গুলির সামনে টিকতে না পেরে সম্পূর্ণ পর্যুদস্ত হয়ে পিছু হটে। এ যুদ্ধে পাকবাহিনীর কমপক্ষে ৩০ জন সৈন্য হতাহত হয়। অপরদিকে একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>দিনাজপুরে মেজর নাজমুল হকের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর একটি দল পাকবাহিনীর কাঞন সেতু ঘাঁটি আক্রমণ করে। আড়াই ঘন্টা ব্যাপী তুমুল সংঘর্ষের পর মুক্তিযোদ্ধারা কোনো ক্ষতি স্বীকার না করে পিছু হটে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পূর্ব-দিনজিপুরের পঁচাগড়ের ৮ মাইল উত্তরে পাকবাহিনীর অমরাখানা সীমান্ত ঘাঁটির ওপর মুক্তিবাহিনী তুমুল আক্রমণ চালায়। তীব্র যুদ্ধ শেষে অমরাখানা সীমান্ত ঘাঁটি মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে আসে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>রংপুরের গড্ডিমারীতে মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী ঠাকুরগাঁওয়ের ১৪ মাইল উত্তর-পশ্চিমে পাকবাহিনীর লাহিড় চৌকির ওপর কামান ও মর্টারের সাহায্যে তীব্র আক্রমণ চালায়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান বৃটেনের কাছে বৃটিশ পার্লামেন্ট, বিবিসি ও সংবাদপত্রে বাংলাদেশের পক্ষে ও পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রচারণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। প্রতিবাদ লিপিতে লন্ডনে বাংলাদেশ সংগ্রাম কমিটির মাধ্যমে দায়িত্বপূর্ণ বৃটিশ নাগরিক ও বিদেশীরা (বাঙালিরা) যে কর্মতৎপরতা চালাচ্ছেন তার প্রতি বৃটিশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। লিপিতে বলা হয় - গ্রেট বৃটেনে বাংলাদেশের জন্য অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনার উদ্দেশ্যে তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রতিবাদলিপিতে বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার এ্যালেক ডগলাস হিউমের ২৩ জুনের বিবৃতিকে পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ বলে উল্লেখ করা হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় সামরিক কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে- সাতক্ষীরা থেকে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য এডভোকেট আব্দুল গফফার ভারত থেকে ফিরে এসে নিজেকে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের কাছে সোপর্দ করেছেন। ফেনী থেকে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য ওবায়দুল্লাহ মজুমদার বর্তমানে সপরিবারে ঢাকায় অবস্থান করছেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেড হাসান জাহেদী পাকিস্তানের সংহতি ও ঐক্য রক্ষার কাজে পাকিস্তানের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৪ জুলাই, ১৯৭১

০৪ জুলাই, ১৯৭১ পাকবাহিনীর দুই কোম্পানী সৈন্য ফেনী থেকে বেলুনিয়া যাওয়ার পথে শালদা বাজারে সাময়িক অবস্থান নেয়। এ সময় ক্যাপ্টেন জাফল ইমামের এক প্লাটুন যোদ্ধা ৩ ইঞ্চি মর্টারসহ পাকসেনাদের ওপর অতর্কিত আক্রম…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৩ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"><br /></td></tr> </tbody></table> <b>০৩ জুলাই, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>একজন ক্যাপ্টেনসহ পাকবাহিনী একটি মাইক্রোবাসকে চট্টগ্রামের রামগড়- করেরহাট সড়কে চিকনছড়া নামক স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদল এ্যামবুশ করে। এ এ্যামবুশে ক্যাপ্টেনসহ ৪ জন পাকসেনা নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>রাজশাহীর কামালপুরে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং পার্লামেন্টে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দান প্রসঙ্গে জনৈক সদস্যের উত্থাপিত প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে বলেন, ভারত সরকার এ মুহূর্তে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না। এখনো স্বীকৃতি দেয়ার উপযুক্ত সময় আসেনি বলে সরকার মনে করেন। তবে বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তানি শাসকচক্র বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে ‘জালিয়াত’ আখ্যা দিয়ে বলে, ‘এই ব্যক্তি ইন্দো বৃটিশ অর্থের সাহায্যে চক্রান্তমূলকভাবে জঘণ্য কার্যকলাপ ও মিথ্যা প্রচারণায় নিয়োজিত।’ </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>স্বাধীনতাবিরোধী দালালরা নোয়াখালীতে একত্র হয়। তাদের নেতৃত্ব দেন জেলা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দুল হক, অধ্যাপক ফজলে আজিজ প্রমুখ। দালালরা মুক্তিযোদ্ধাদের ধ্বংস করার জন্য হানাদারদের সর্বাত্মক সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নেয়।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৩ জুলাই, ১৯৭১

০৩ জুলাই, ১৯৭১ একজন ক্যাপ্টেনসহ পাকবাহিনী একটি মাইক্রোবাসকে চট্টগ্রামের রামগড়- করেরহাট সড়কে চিকনছড়া নামক স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদল এ্যামবুশ করে। এ এ্যামবুশে ক্যাপ্টেনসহ ৪ জন পাকসেনা নিহত হয়। রাজশাহীর কা…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০২ জুলাই, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>০২ জুলাই, ১৯৭১</b><br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>মোঃ হুমায়ূন কবিরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল কুমিল্লার লাটুমুড়ায় পাকহাদারদের অবস্থানের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ১২ জন সৈন্য নিহত ও ৪ জন আহত হয়। জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল পাকিস্তানি পুলিশ ও রেঞ্জারদের অবস্থান মতলব থানা আক্রমণ করে। এতে ৫ জন পুলিশ নিহত ও ৭ জন আহত হয় । অপরদিকে একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সুনামগঞ্জ শহরের কাছে মুক্তিবাহিনীর একটি দল পাকবাহিনীর একটি টহলদার দলের ওপর আক্রমণ চালায়। মুক্তিবাহিনী এই অতর্কিত আক্রমণে পাকসেনাদের পুরো দল নিশ্চিহ্ন হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিনেটর চার্লস এ্যাথিয়ান ও সিনেটর বেডফোর্ড মোর্সে পাকিস্তানে নতুন করে সমরাস্ত্র সরবরাহের লাইসেন্স প্রদান বন্ধ এবং মঞ্জুরীকৃত লাইসেন্স বাতিল জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উভয় পরিষদে প্রস্তাব উত্থাপন করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিফৌজ নেতা মেজর খালেদ মোশাররফ বৃটিশ টেলিভিশন রিপোর্টারদের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বাংলাদেশে একটি লোক ও জীবিত থাকা পর্যন্ত এই সংগ্রাম চলবে। বাংলাদেশ থেকে পাকসেনা খতম করে তবে থামব। নিজ পরিবার সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অন্যান্য বহু পরিবারের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা আমি নিজের চোখেই দেখেছি। নিজের কথা চিন্তা করার অধিকার এখন আর আমার নেই। বাংলাদেশই আমার পরিবার। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতে আশ্রিত বাংলাদেশের শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৪শ’ ৪৬ জন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বাংলাদেশের পক্ষে প্রচারণা চালানোর সুযোগ করে দেয়ার প্রতিবাদে পাকিস্তান কমনওয়েলথের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান সরকার বাণিজ্য সংক্রান্ত ছাড়া সকল প্রকার বেসরকারী পর্যায়ের বিদেশ ভ্রমন বন্ধ করে দেয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিরিয়া ও গাম্বিয়া পাকিস্তানের অখন্ডতার সপক্ষে তাদের পূর্ণ সমর্থনের কথা ঘোষণা করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>তাহরিক-ই-ইশতেকলাল পার্টি প্রধান এয়ার মার্শাল (অবঃ) আসগর খান সপ্তাহব্যাপী সফর শেষে ঢাকা ত্যাগের প্রাক্কালে বলেন, পাকিস্তানের ভবিষ্যতের জন্য আগামী তিনমাস সঙ্কটপূর্ণ। সরকারকে জনগণের ন্যায্য দাবি-দাওয়া মিটিয়ে দিতে হবে। কে সরকার গঠন করবে তা বড় সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে আদৌ কোনো সরকার গঠন করা যাবে কিনা এবং দেশের গণতন্ত্র টিকবে কি না। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>আখাউড়ায় স্বাধীনতা বিরোধীদের এক সভায় জামায়াত নেতা আব্দুল খালেক বলেন, "তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা দুষ্কৃতকারীরা দেশকে ধ্বংস করতে চায়। এরা ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দুস্তানের প্রচারণা ও কুমতলবে মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ এনেছে।"</li> </ul> <div style="text-align: left;"> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০২ জুলাই, ১৯৭১

০২ জুলাই, ১৯৭১ মোঃ হুমায়ূন কবিরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল কুমিল্লার লাটুমুড়ায় পাকহাদারদের অবস্থানের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ১২ জন সৈন্য নিহত ও ৪ জন আহত হয়। …

Read more »