A+ A-
Voice of 71 Voice of 71 Author
Title: মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৯ জুলাই, ১৯৭১
Author: Voice of 71
Rating 5 of 5 Des:
০৯ জুলাই, ১৯৭১ পাকবাহিনীর এক প্লাটুন সৈন্য শালদা নদী থেকে নায়নপুর যাবার পথে মেজর সালেকের ৫ সদস্যের ডিমোলিশন পার্টির পুতে রাখা এন্টিপা...
০৯ জুলাই, ১৯৭১
  • পাকবাহিনীর এক প্লাটুন সৈন্য শালদা নদী থেকে নায়নপুর যাবার পথে মেজর সালেকের ৫ সদস্যের ডিমোলিশন পার্টির পুতে রাখা এন্টিপার্সোনাল মাইনের ওপর পড়ে যায়। মাইন বিস্ফোরণে ১০ জন পাকসেনা নিহত এবং আরো অনেকে আহত হয়। পাকসেনারা বিপর্যস্ত হয়ে শালদা নদী ঘাঁটিতে ফিরে যায়।
  • সন্ধ্যায় মেজর সালেকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল পাকবাহিনীর শালদা নদী অবস্থানের ওপর কামান ও মর্টারের সাহায্যে প্রচন্ড গোলাবর্ষণ করে। প্রায় আধঘন্টাব্যাপী গোলাবর্ষণে পাকবাহিনীর ১৯ জন সৈন্য নিহত ও ১১ জন আহত হয়।
  • কুমিল্লায় মুক্তিবাহিনীর কটেশ্বর অবস্থানের ওপর পাকবাহিনীর দুই কোম্পানী সৈন্য হামলা চালায়। পরে আরো দুই কোম্পানী সৈন্য পাকসেনাদের শক্তিবৃদ্ধি করে। ৩/৪ ঘন্টা যুদ্ধের পর পাকসেনাদের আক্রমণ ব্যাহত হয় এবং তারা পিছু হটে। এই যুদ্ধে পাকসেনাদের ২৪/২৫ জন সৈন্য নিহত হয়।
  • চতুর্থ বেঙ্গলের ‘বি’ কোম্পানীর এক প্লাটুন যোদ্ধা একটি ট্রাক ও দু‘টি জীপ বোঝাই পাকসেনাদের চৌদ্দ গ্রামের বালুজুরি ভাঙ্গাপুলের কাছে আক্রমণ চালায়। ৩/৪ ঘন্টাব্যাপী প্রচন্ড সম্মুখযুদ্ধে পাকবাহিনীর ৩০ জন সৈন্য নিহত ও ৬ জন আহত হয়।
  • মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সহকারী ডঃ হেনরি কিসিঞ্জার উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চীপ অব স্টাফ জেনারেল আব্দুল হামিদ খানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। মধ্যরাতে ডঃ কিসিঞ্জার গোপনে পিকিং যাত্রা করেন।
  • নেজামে ইসলামের যুগ্ম-সম্পাদক মওলানা আবদুল মতিন ও দলের পার্লামেন্টারি বোর্ডের সভাপতি সৈয়দ মঞ্জুরুল আহসান এক যুক্ত বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার ভাষনকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে কোনো রকম আপোষ হতে পারে না। পাকিস্তান স্থায়ী হবার জন্যই প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। তারা আশা প্রকাশ করেন, পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার জন্য যথাবিহিত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারা এ উদ্দেশে গৃহীত প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন ও সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
  • ঢাকা জেলার ফুলপুর থানার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৬৫০ জন রাজাকার ট্রেনিং শেষ করে। ট্রেনিং সমাপনী অনুষ্ঠানে ১৬০ জন দক্ষ রাজাকারের মধ্যে সার্টিফিকেট ও পুরস্কার দেয়া হয়।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

About Author

Advertisement

Post a Comment Blogger

Post a Comment

 
Top