![]() |
- কলকাতায় নিযুক্ত পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনার জনাব এম.ভি হোসেইন আলী বাংলাদেশের প্রতি তাঁর পূর্ণ আনুগত্য ঘোষণা করেন। তিনি সেখানে উপস্থিত কূটনৈতিক ব্যক্তিবর্গের উল্লাসধ্বনির মাধ্যমে সবুজ ও সোনালি রঙের বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। পাকিস্তানিদের গণহত্যার প্রতিবাদে মিশনের সকল বাঙালি কর্মচারিদের নিয়ে তিনি বাংলাদেশের পক্ষে যোগ দেন।
- লর্ড ব্রাকওয়ে লন্ডনে পূর্ব পাকিস্তানে পাক বাহিনীর তৎপরতার তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে বলেন, “এটি হিটলারের পরবর্তী সময়কার চরম নিষ্ঠুরতা ও পাশবিকতার দৃষ্টান্ত।” তিনি এখানে অনুষ্ঠিত ঔপনিবেশিক স্বাধীনতা আন্দোলনের সম্মেলনে বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দানের আহ্বান জানান।
- লন্ডনে “জাস্টিস ফর দ্যা ইস্ট বেঙ্গল” নামে একটি সাহায্যকারী সমিতি গঠন করা হয়। সমিতির সভাপতি শ্রমিক দলীয় এম.পি. ব্রুস ডগলাসম্যান, শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেন।
- পাঁচ হাজারের বেশী বাঙালি লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ারে এক বিক্ষোভ সভায় মিলিত হয়। বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য আবেদনপত্র তারা বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর আবস ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে পেশ করেন। তাঁরা গণহত্যা বন্ধ করা এবং পশ্চিশ পাকিস্তানের উপর যথাযথ চাপ প্রয়োগের জন্য বৃটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
- নেজাম ইসলাম পার্টির সহ-সভাপতি সৈয়দ মাহমুদ আল মোস্তফা আল মাদানীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গর্ভনর টিক্কা খানের সাথে সাক্ষাৎ করে। তারা সরকারের সাথে পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলে টিক্কা খানকে আশ্বাস দেয়।
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

Post a Comment Blogger Facebook
Post a Comment